স্বরলিপি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী:স্বরলিপি যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
Trinanjon (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[File:Bengali Akarmatrik Swaralipi.jpg|thumb|250px|বাংলা আকারমাত্রিক স্বরলিপি]]
[[File:Bengali Akarmatrik Swaralipi.jpg|thumb|250px|বাংলা আকারমাত্রিক স্বরলিপি]]
'''স্বরলিপি''' হল লিখিত চিহ্নের দ্বারা [[সঙ্গীত|সাঙ্গীতিক]] স্বরকে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি। বহু প্রাচীন সভ্যতায় বিভিন্ন প্রতীকের সাহায্যে সুর লিপিবদ্ধ করার প্রচলন থাকলেও তা আধুনিক স্বরলিপির মত স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল না। [[মধ্যযুগ|মধ্যযুগীয়]] ইউরোপে প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বরলিপি লিখন পদ্ধতি গড়ে ওঠে এবং পরবর্তীকালে তা সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীতে গৃহীত হয়।
'''স্বরলিপি''' হল লিখিত চিহ্নের দ্বারা [[সঙ্গীত|সাঙ্গীতিক]] স্বরকে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি। বহু প্রাচীন সভ্যতায় বিভিন্ন প্রতীকের সাহায্যে সুর লিপিবদ্ধ করার প্রচলন থাকলেও তা আধুনিক স্বরলিপির মত স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল না। [[মধ্যযুগ|মধ্যযুগীয়]] ইউরোপে প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বরলিপি লিখন পদ্ধতি গড়ে ওঠে এবং পরবর্তীকালে তা সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীতে গৃহীত হয়।
==আকারমাত্রিক স্বরলিপি==
[[ভারত|ভারতে]] আকারমাত্রিক স্বরলিপি উদ্ভাবন করেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই পদ্ধতির স্বরলিপিতে আ-কার (া)-এর মত চিহ্ন ব্যবহার করে তালের মাত্রা চিহ্নিত করা হয় এবং এ কারণেই এই পদ্ধতির নাম ''আকারমাত্রিক''। এই পদ্ধতিতে সাতটি শুদ্ধ স্বর এবং পাঁচটি বিকৃত স্বর মিলিয়ে মোট বারোটি স্বর লিখিত হয় আ-কার সহযোগে। স্বরগুলি লিখিত হয় এইভাবে, সা (ষড়্‌জ), ঋা (কোমল ঋষভ), রা (শুদ্ধ ঋষভ), জ্ঞা (কোমল গান্ধার), গা (শুদ্ধ গান্ধার), মা (শুদ্ধ মধ্যম), হ্মা (তীব্র বা কড়ি মধ্যম), পা (পঞ্চম), দা (কোমল ধৈবত), ধা (শুদ্ধ ধৈবত), ণা (কোমল নিষাদ), না (শুদ্ধ নিষাদ)। মন্দ্র সপ্তক বা উদারার স্বর চিহ্নিত করতে স্বরের নীচে হসন্ত (্)-এর মত চিহ্ন ব্যবহৃত হয় এবং তার সপ্তক বা তারার স্বর চিহ্নিত করতে স্বরের উপরে রেফ (র্‍)-এর মত চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ, মন্দ্র সপ্তক - সা্ ঋা্ রা্ জ্ঞা্ গা্ মা্ হ্মা্ পা্ দা্ ধা্ ণা্ না্; তার সপ্তক - র্সা র্ঋা র্রা র্জ্ঞা র্গা র্মা র্হ্মা র্পা র্দা র্ধা র্ণা র্না। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] রচিত গান অর্থাৎ [[রবীন্দ্রসংগীত]] সহ অন্যান্য সমস্ত বাংলা গানে এই পদ্ধতিতে স্বরলিপি লিখিত হয়।


[[বিষয়শ্রেণী:সঙ্গীত]]
[[বিষয়শ্রেণী:সঙ্গীত]]

০৬:৫৯, ১৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাংলা আকারমাত্রিক স্বরলিপি

স্বরলিপি হল লিখিত চিহ্নের দ্বারা সাঙ্গীতিক স্বরকে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি। বহু প্রাচীন সভ্যতায় বিভিন্ন প্রতীকের সাহায্যে সুর লিপিবদ্ধ করার প্রচলন থাকলেও তা আধুনিক স্বরলিপির মত স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল না। মধ্যযুগীয় ইউরোপে প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বরলিপি লিখন পদ্ধতি গড়ে ওঠে এবং পরবর্তীকালে তা সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীতে গৃহীত হয়।

আকারমাত্রিক স্বরলিপি

ভারতে আকারমাত্রিক স্বরলিপি উদ্ভাবন করেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই পদ্ধতির স্বরলিপিতে আ-কার (া)-এর মত চিহ্ন ব্যবহার করে তালের মাত্রা চিহ্নিত করা হয় এবং এ কারণেই এই পদ্ধতির নাম আকারমাত্রিক। এই পদ্ধতিতে সাতটি শুদ্ধ স্বর এবং পাঁচটি বিকৃত স্বর মিলিয়ে মোট বারোটি স্বর লিখিত হয় আ-কার সহযোগে। স্বরগুলি লিখিত হয় এইভাবে, সা (ষড়্‌জ), ঋা (কোমল ঋষভ), রা (শুদ্ধ ঋষভ), জ্ঞা (কোমল গান্ধার), গা (শুদ্ধ গান্ধার), মা (শুদ্ধ মধ্যম), হ্মা (তীব্র বা কড়ি মধ্যম), পা (পঞ্চম), দা (কোমল ধৈবত), ধা (শুদ্ধ ধৈবত), ণা (কোমল নিষাদ), না (শুদ্ধ নিষাদ)। মন্দ্র সপ্তক বা উদারার স্বর চিহ্নিত করতে স্বরের নীচে হসন্ত (্)-এর মত চিহ্ন ব্যবহৃত হয় এবং তার সপ্তক বা তারার স্বর চিহ্নিত করতে স্বরের উপরে রেফ (র্‍)-এর মত চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ, মন্দ্র সপ্তক - সা্ ঋা্ রা্ জ্ঞা্ গা্ মা্ হ্মা্ পা্ দা্ ধা্ ণা্ না্; তার সপ্তক - র্সা র্ঋা র্রা র্জ্ঞা র্গা র্মা র্হ্মা র্পা র্দা র্ধা র্ণা র্না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গান অর্থাৎ রবীন্দ্রসংগীত সহ অন্যান্য সমস্ত বাংলা গানে এই পদ্ধতিতে স্বরলিপি লিখিত হয়।