সামুয়েল হানেমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rubinbot (আলোচনা | অবদান)
r2.5.4) (বট যোগ করছে: pnb:سیموئل ہانیمن
৯২ নং লাইন: ৯২ নং লাইন:
[[oc:Samuel Hahnemann]]
[[oc:Samuel Hahnemann]]
[[pl:Samuel Hahnemann]]
[[pl:Samuel Hahnemann]]
[[pnb:سیموئل ہانیمن]]
[[pt:Samuel Hahnemann]]
[[pt:Samuel Hahnemann]]
[[ro:Samuel Hahnemann]]
[[ro:Samuel Hahnemann]]

০৪:২৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
জন্ম১০ এপ্রিল, ১৭৫৫
মৃত্যু২ জুলাই, ১৮৪৩
জাতীয়তাজার্মান
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রহোমিওপ্যাথি

সামুয়েল হানেমান (জার্মান ভাষায়: Samuel Hahnemann) জার্মানির স্যাক্সনি প্রদেশে মেসেন শহরে ১৭৫৫ সালের ১০ এপ্রিল জন্ম নেন। তিনি ১৭৯৯ সালে এমডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি হেনরিয়েটকে বিয়ে করেন। তিনি ১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালু করেন। ১৮১০ সালে অরগানন গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ১৮১২ সালে লিপজিগে অধ্যাপক হন কিন্তু ১৮২১ সালে পদচ্যুত হন। কথ্বেনে এসে সাফল্য পান। ১৮৩৫ সালে মেলানিকে বিয়ে করে প্যারিসে যান। ১৮৪৩ সালে মারা যান।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দে হোমিওপ্যাথিক প্রথম ঔষধ চায়না আবিষ্কার করেন। ডাঃ কালেন সাহেবের মেটিরিয়া মেডিকা অনুবাদ করার সময় তিনি লক্ষ করেন যে সিনকোনার রস একটু বেশী মাত্রায় খেলে কম্প দিয়ে জ্বর হয় । তখন তিনি নিজে উক্ত রস খেয়ে দেখেন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ও বন্ধুবান্ধব দের খাওয়ান। দেখেন সবারই কম্প দিয়ে জ্বর আসচ্ছে ও অন্যান্য কিছু লক্ষন দেখা দিচ্ছে। তিনি উক্ত লক্ষন সমুহ লিপিব্দ্ধ করে রাখেন এবং পরে ঐ রকম লক্ষন যুক্ত কোনো রোগী এলে তাকে সল্প মাত্রার উক্ত সিনকোনার রস খাইয়ে দেখলেন তার ঐ কম্পদিয়ে আসা জ্বর সেরে গেছে ও অন্যান্য লক্ষন গুলিও চলে গেছে। এই সূত্র ধরে তিনি তাঁর জীবিত কাল অবধি ৯৯টা ঔষধ পরীক্ষা করেন। ১৮১০ খ্রীষ্টাব্দে অর্গানন অব মেডিসিন প্রথম সংস্করন লেখেন। ১৮১৮ খ্রীষ্টাব্দে অর্গানন অব মেডিসিন দ্বীতিয় সংস্করন লেখেন। ১৮২৪ খ্রীষ্টাব্দে তৃতীয় সংস্করন লেখেন। ১৮২৯ খ্রীষ্টাব্দে চতুর্থ সংস্করন লেখেন। ১৮৩৩ খ্রীষ্টাব্দে পঞ্চম সংস্করন লেখেন। ১৮৪২ খ্রীষ্টাব্দে ষষ্ট সংস্করন লেখেন। এইটিই তাঁর শেষ অবদান।এবং তিনি বলেন পূর্নাঙ্গের পথে হোমিওপ্যাথি। (অর্গানন অব মেডিসিন ষষ্ট সংস্করনের বাংলা অনুবাদ। অনুবাদক-ডাঃ হরিমোহন চৌধুরী)

ড. হুদহুদ মোস্তফা অনুসন্ধান ও গবেষণা

ড. হুদহুদ মোস্তফা এক নিবন্ধে লিখেছেন অনেক কথা। ১৯৯৮ সালে লন্ডনে এক সেমিনারে ডা. মোস্তফার সাক্ষাৎ ঘটে এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে। তার নাম উইলিয়াম হ্যানিম্যান। বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানেরই এক উত্তর-পুরুষ তিনি। বিশ্বাসে ক্যাথলিক খৃষ্টান। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান গবেষণার এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি আমৃত্যু ইসলামী বিশ্বাসেই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। যে কারণে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী মাদাম ম্যালনীকে নিয়ে প্যারিসে যান I মাদাম ম্যালনীও স্বামীর সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। হ্যানিম্যানের অনুসন্ধান স্পৃহা অত্যন্ত প্রবল ছিল। তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্বন্ধে ব্যাপক জ্ঞান আহরণের জন্য বহু ভাষা শিক্ষা লাভ করেন। পুরাকালের বিভিন্ন সভ্যতার যুগে চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা করতে গিয়ে ইসলামের স্বর্ণযুগের আবিষ্কার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞান লাভের জন্য আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জন, তদুপরি আরব বণিক ও পরিব্রাজকদের কাছ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের ধর্ম, সম্পর্কেও অবগত হন। আরবী ভাষায় দক্ষতার কারণে মহা কুরআনও তিনি অধ্যয়ন করেন। ক্রমে তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যান। তিনি মনে প্রাণে মুসলমান হয়ে যান। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে হ্যানিম্যানের আত্মীয়-স্বজনরা তার প্রতি বিরূপ হয়ে পড়েন। চির পরিচিত পরিবেশ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে সব সহায় সম্পদ উত্তরাধিকারী ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিলিবণ্টন করে দিয়ে তিনি ইসলামে নবদীক্ষিত স্ত্রী মাদাম ম্যালানীকে নিয়ে প্যারিসের পথে যান Iএ সময়টা ছিল ১৮৩৫ সালের জুন মাস। তারা তাদের জীবদ্দশায় আর কখনও জার্মানীতে ফিরে যাননি।

ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম হ্যানিম্যান আরো কিছু তথ্য দিয়ে সবাইকে কৃতজ্ঞ করেছেন। প্রথমেই তিনি ডা. মোস্তফাকে বলেছিলেন লন্ডনস্থ হ্যানিম্যান মিউজিয়ামে যেতে। ঠিকানা : হ্যানিম্যান মিউজিয়াম পাউইজ প্যালেস, গ্রেট আরমন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, ডব্লিউসি। সেখানে হ্যানিম্যানের ব্যবহৃত বহু জিনিসপত্র আছে। বই-পুস্তকের এক বিরাট সংগ্রহও আছে। এর মধ্যে কুরআন থেকে শুরু করে মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনা বিরচিত আল-কানুন ফিত তিবসহ শতাধিক আরবী গ্রন্থ রয়েছে। ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে মসজিদের নকশা করা জায়নামায, মূল্যবান পাথরের তসবীসহ, একটি টার্কিশ টুপি। ব্যবহৃত জায়নামাযে সেজদার চিহ্ন স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। এসব নিদর্শন ড. মোস্তফার মনে গভীর দাগ কাটে। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান সম্পর্কে তিনি লেখাপড়া ও অনুসন্ধান শুরু করেন। তার অনুসন্ধান ও গবেষণার চার বছর চলছে। বক্ষমান প্রবন্ধে তিনি এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যাদি সংক্ষেপে উল্লেখ করার চেষ্টা করেছেন।  এ  পর্যন্ত  তিনি  নিম্নলিখিত  তথ্যগুলো সত্য ও বাস্তবতার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। ১. ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তার কোন লেখায় খৃষ্টবাদের মূলমন্ত্র ‘তৃতত্ত্ব’ (TRINITY) সম্পর্কে কখনও উল্লেখ করেননি; বরং এক সৃষ্টিকর্তা, God, Creator প্রভৃতি একক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করেছেন। ২. রিচার্ড হ্যাল কর্তৃক লিখিত হ্যানিম্যানের জীবনী গ্রন্থ Samuel Hahnemann : His Life and work-এর দ্বিতীয় খন্ডের ৩৮৯ পৃষ্ঠায় এক রোগীকে লেখা পত্রে উল্লেখ করেন : We feel then we are resting in the friendship of the only One. Do you desire any other religion? There is none. Everything else is a miserable low human conception full of superstition a true destruction of humanity. তিনি একই পৃষ্ঠায় উল্লিখিত অপর এক পত্রে লিখেছেন : I acknowledge with sincere thankfulness the infinite march of the One-great giver of all good. আবার একই পুস্তকে ৩৮৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে : I shall not become a catholic and I would prefer not even to limit myself in the creed of the protestant but rather to hold with you to deism only a higher sense is rather to hold with you to deism only a higher sense is taught by the Seet to that name, as that is the faith which most nearly satisfies? ৩. ড. আর ই ডাজেন কর্তৃক সংগৃহীত হ্যানিম্যান লেসার রাইটিংস গ্রন্থের ৫৭১, ৫৭৯ পৃষ্ঠায় আরবী লেখা উদ্ধৃতি দেয়া আছে। যা হ্যানিম্যানের আরবী ভাষায় গভীর পান্ডিত্যের প্রমাণ বহন করে। ৪. হ্যানিম্যানের ইসলাম গ্রহণ এবং জার্মানী ত্যাগের পর তিনি আর কখনও কোথাও তার পিতৃ প্রদত্ত নাম ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডারিক আদ্য শব্দ দু’টি ব্যবহার করেননি। যে শব্দ দু’টো খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী পরিচয় বহন করে। প্যারিসে চিঠিপত্রসহ সর্বত্র কেবল ‘স্যামুয়েল হ্যানিম্যান’ লিখতেন। স্যামুয়েল ইসরাইল বংশীয় একজন নবীর নাম, যা একজন মুসলমানের নাম হিসাবেও গ্রহণযোগ্য। একথা তার খৃষ্টান ধর্ম ত্যাগের আর একটি শক্তিশালী প্রমাণ। ৫. ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ম্যাগাজিনে ২৫৪ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত হয়েছে : মাদাম ম্যালানী তার স্বামী হ্যানিম্যানের মৃত্যুপূর্ব ইচ্ছা অনুযায়ী কোন অুমসলিমকে তার দাফনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। তিনি দাফনের দিনক্ষণ সবই গুপ্ত রেখে কোন মুসলমানের সাক্ষাৎ পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছিলেন। হ্যানিম্যানের মৃত্যু ২ জুলাই ১৮৪৩ তারিখে। কোন মুসলমানের সাক্ষাৎ না পেয়ে ম্যালানী নিজে তার সমবিশ্বাসী দু’ব্যক্তির সহযোগিতায় চিকিৎসা বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানকে মৃত্যুর ৯ দিন পর ১১ জুলাই কবরস্থ করেন। হ্যানিম্যানেরই ইচ্ছা অনুযায়ী প্যারিসের অখ্যাত মাউন্ট মারাট্টির গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এটি খৃষ্টানদের গোরস্থান হ’লেও একটু আলাদা। পূর্বেই উল্লেখ করেছি হ্যানিম্যান তার সমাজের প্রচলিত খৃষ্টান ধর্ম ত্যাগের কারণে জার্মানীতে পরিচিত পরিবেশ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। নিরাপত্তা ও শান্তির সন্ধানে তিনি ১৮৩৫ সালের জুন মাসে ৮০ বছর ২ মাস বয়সে তার পৈতৃক দেশ জার্মানী ত্যাগ করেন। আর কখনও তিনি বা তার স্ত্রী ফ্রান্স থেকে জার্মানীতে ফিরে যাননি। ড. মোস্তফা লিখেছেন বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান সাহিত্যের যতদূর গভীরে আমি পৌঁছতে পেরেছি আমি উপলব্ধি করেছি হ্যানিম্যানের রচনাবলী ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় ইসলামী আদর্শের গভীর ছাপ বিদ্যমান I

হ্যানিম্যান বলে গেছেন, আমি আমার জীবনে কখনও স্বীকৃতি চাইনি, মানব কল্যাণে আমার আবিষ্কৃত সত্যের জন্য আমি স্বার্থপরতামুক্তভাবে যার বিকাশ ঘটিয়েছি সমগ্র বিশ্বের জন্য, যা সর্বোচ্চ সত্তার নিমিত্তে উৎসর্গিত। Life & Work of Hahnemann-By Richard Raehl. হ্যানিম্যানের প্রবাদ তুল্য উক্তি ‘রোগীকে চিকিৎসা কর রোগকে নয়’

বহিঃসংযোগ