প্রেরিত শিষ্য যোহনের নিকট প্রকাশিত বাক্য
নূতন নিয়মের পুস্তকসমূহ |
---|
সুসমাচার |
মথি · মার্ক · লুক · যোহন |
প্রেরিতদের কার্য |
প্রভু যীশুর প্রেরিত শিষ্যদের কার্যবিবরণী |
পত্রাবলি |
রোমীয় ১ করিন্থীয় · ২ করিন্থীয় গালাতীয় · ইফিসীয় ফিলিপীয় · কলোসীয় ১ থিষলনিকীয় · ২ থিষলনিকীয় ১ তিমথি · ২ তিমথি তীত · ফিলিমন হিব্রু · যাকোব ১ পিতর · ২ পিতর ১ যোহন · ২ যোহন · ৩ যোহন যিহুদা |
অ্যাপোক্যালিপস |
প্রকাশিত বাক্য |
নূতন নিয়ম পাণ্ডুলিপি |
বাইবেলে যোহন |
---|
যোহনীয় সাহিত্য |
রচয়িতা |
সম্পর্কিত সাহিত্য |
আরও দেখুন |
প্রকাশিত বাক্য (রহস্যোদ্ঘাটনের পুস্তক; যোহনের নিকট রহস্যোদ্ঘাটন; যোহনের ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ পুস্তক) হল নূতন নিয়মের একটি পুস্তক। এই পুস্তকটি খ্রিস্টীয় পুনরুত্থানবাদে একটি কেন্দ্রীয় স্থান অধিকার করে রয়েছে। কোইন গ্রিকে লিখিত এই পুস্তকের প্রথম শব্দ apokalypsis (অর্থাৎ,"উন্মোচন" বা "রহস্যোদ্ঘাটন") থেকে এই পুস্তকটির নামকরণ করা হয়েছে। প্রকাশিত বাক্য নূতন নিয়ম অপ্রক্ষিপ্তাংশে ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ একমাত্র পুস্তক (যদিও নূতন নিয়মের সুসমাচার ও পত্রাবলি অংশে ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু সংক্ষিপ্ত পঙ্ক্তি রয়েছে)।[ক]
প্রকাশিত বাক্য পুস্তকের গ্রন্থকার নিজের নাম "যোহন" বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তার সঠিক পরিচয় গবেষকদের মধ্যে একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে রয়ে গিয়েছে। জাস্টিন মারট্যার, আইরেনিয়াস, সার্ডিসের বিশপ মেলিটো, আলেকজান্দ্রিয়ার ক্লিমেন্ট এবং মিউর্যাপটরিয়ান পুথির রচয়িতা প্রকাশিত বাক্য পুস্তকের "যোহন"কে প্রেরিত যোহন বলে চিহ্নিত করেন।[১] আধুনিক গবেষকেরা সাধারণভাবে ভিন্নমত পোষণ করেন।[২] অনেকেই মনে করেন, এই পুস্তকের রচয়িতা একজন খ্রিস্টান নবি (ভবিষ্যদ্বক্তা)[৩] কোনও কোনও আধুনিক গবেষক এই পুস্তকের রচয়িতাকে এক অনুমিত চরিত্র মনে করেন। তাঁরা এই চরিত্রটির নাম দিয়েছেন "প্যাটমোসের জন"। একাধিক প্রথাগত সূত্র থেকে জানা যায়, সম্রাট ডোমিশিয়ানের রাজত্বকালে (৮১-৯৬ খ্রিস্টাব্দ) এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল। এই ধারণার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।[৪]
প্রকাশিত বাক্য পুস্তকটি তিনটি সাহিত্য বর্গের অন্তর্গত: পত্রমূলক, রহস্যোদ্ঘাটনমূলক ও ভবিষ্যদ্বাণীমূলক।[৫] এই পুস্তকের শুরুতে দেখা যায় এজিয়ানের প্যাটমোস দ্বীপ থেকে যোহন "এশিয়ার সপ্ত মণ্ডলী"র উদ্দেশ্যে একটি পত্র রচনা করছেন। এরপর তিনি ভাবদৃষ্টিতে দেখা একাধিক ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এই বিবরণের মধ্যে রয়েছে ব্যাবিলনের মহাগণিকা ও পশু এবং পরিশেষে যিশুর দ্বিতীয় আগমন।
এই পুস্তকের অস্পষ্ট ও অত্যধিক কল্পনামূলক বিবরণগুলিএ একাধিক খ্রিস্টীয় ব্যাখ্যা রয়েছে: ইতিহাসবাদী ব্যাখ্যা অনুসারে, ভাবদৃষ্টিতে দেখা এই ঘটনাগুলি হল ইতিহাসের একটি প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গি; প্রিটারিস্ট ব্যাখ্যা অনুসারে, এই ঘটনাগুলি প্রধানত প্রেরিতদের যুগের (খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দ) বা অনন্তপক্ষে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ইঙ্গিতবাহী; ভবিষ্যৎবাদীরা মনে করেন, এই পুস্তকে উল্লিখিত ঘটনাগুলি ভবিষ্যতের ঘটনার বিবরণ; এবং আদর্শবাদী ও প্রতীকবাদী ব্যাখ্যা অনুসারে, এই ঘটনাগুলি প্রকৃত ঘটনা বা ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের বিবরণ নয়, বরং এগুলি আধ্যাত্মিক পথ এবং সৎ ও অসতের দ্বন্দ্বের একটি রূপক।
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ আদি খ্রিস্টীয় যুগে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী অন্যান্য ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ পুস্তকগুলি প্রামাণ্য শাস্ত্রের স্বীকৃতি পায়নি। কেবলমাত্র ২ এসড্রাস পুস্তকটি (যা এজরার ভবিষৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ পুস্তক নামেও পরিচিত) ইথিওপিয়ান অর্থোডক্স চার্চে প্রামাণ্য শাস্ত্র হিসেবে স্বীকৃত হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Carson, Don (২০০৫)। An Introduction to the New Testament (2nd সংস্করণ)। Grand Rapids, Michigan: Zondervan। পৃষ্ঠা 465ff। আইএসবিএন 0-310-51940-3।
- ↑ Collins 1984, পৃ. 28।
- ↑ Bauckham 1992, পৃ. 2।
- ↑ Stuckenbruck 2003, পৃ. 1535-1536।
- ↑ Stuckenbruck 2003, পৃ. 1536।
প্রেরিত শিষ্য যোহনের নিকট প্রকাশিত বাক্য রহস্যোদ্ঘাটনমূলক পত্রসাহিত্য
| ||
পূর্বসূরী সাধারণ পত্রসাহিত্য of জুডার |
নূতন নিয়ম বাইবেলের পুস্তকসমূহ |
End |