বিষয়বস্তুতে চলুন

নুরুল আজিম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কর্নেল মোঃ নুরুল আজিম (অবঃ)
জন্ম৩১ মার্চ ১৯৫১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
শিক্ষাচিকিৎসা বিজ্ঞান, মনোরোগ বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস, মার্লবরো ইউনিভার্সিটি, রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস অফ গ্লাসগো
পেশাসাইকিয়াট্রিস্ট, সাবেক অধ্যাপকঃ আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট, এএমআই, এফএসআই, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ
দাম্পত্য সঙ্গীডা. রাশিদা আহমেদ (বিয়ে ১৯৭৫)
সন্তানডা. মালিহা আজিম এবং ডা. মাহিন আজিম

কর্নেল (অবঃ) অধ্যাপক মোঃ নুরুল আজিম (জন্ম: ৩১ মার্চ ১৯৫১) হলেন একজন স্বখ্যাত বাংলাদেশী মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ। এছাড়া তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষদের নিয়ে গঠিত সর্ববৃহৎ সংস্থা মেন্‌সার একজন সদস্য।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

মোঃ নুরুল আজিম জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ৩১ মার্চ ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তি হন এবং ১৯৭৫ সালে পাশ করে বের হন। এরপর ১৯৭৬ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবার পর আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট (এএফএমআই) থেকে ১৯৭৮ সালে মনোরোগ বিজ্ঞানে ডিগ্রী নেন। তিনি ১৯৮৪ সালে ফেলো অব কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (এফসিপিএস, সাইকিয়াট্রি), ১৯৮৭ সালে ক্লাসিফিকেশন ইন সাইকিয়াট্রি, ১৯৯৭ সালে সাই ডি (যুক্তরাষ্ট্র), ১৯৯৯ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়ে পিএইচডি (যুক্তরাষ্ট্র), ১৯৯৯ সালে এমডি (যুক্তরাষ্ট্র), ১৯৯৯ সালে এফএসিপি (যুক্তরাষ্ট্র) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এবং ২০০২ সালে স্কটল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস অফ গ্লাসগো থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

নুরুল আজিম ১৯৭৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পরে ১৯৭৬ সালে লেফটেন্যান্ট হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৩ সালে চাকরির মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি পূর্ণ কর্নেল পদবীতে উন্নীত হন, এরপর কিছুকাল তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ডেপুটেশনে ছিলেন। ১৯৯০-২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অন্যতম জ্যেষ্ঠ মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং অক্টোবর, ২০০২-তে স্বাস্থ্যজনিত কারণ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

অধ্যাপক হিসেবে নুরুল ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইন্সটিটিউট (এএফএমআই), বিমান বাহিনীর এয়ার মেডিকেল ইন্সটিটিউট (এএমআই) এবং ফ্লাইট সেফটি ইন্সটিটিউট (এফএসআই) এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ (এএফএমসি)তে কাজ করেন।

তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মনোরোগ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন।[][]

মেন্‌সার সদস্য

[সম্পাদনা]

তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষদের নিয়ে গঠিত সর্ববৃহৎ সংস্থা মেন্‌সার একজন সদস্য। মেনসার সদস্য হতে হলে, মেনসা পরিচালিত অথবা কোন স্বীকৃত আইকিউ পরীক্ষায় প্রায় ১৩২ আইকিউ এর অধিকারী হতে হয়। তিনি আইকিউ পরীক্ষায় ১৭২ আইকিউ লাভ করেন, যা শুধুমাত্র সর্বোচ্চ ১% বুদ্ধিমানদের মধ্যেই বিদ্যমান।

বৈদেশিক প্রশিক্ষণ

[সম্পাদনা]
  • Certified on "Research Methodology & Health Care Delivery System", বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ১৯৮৪
  • Certified on "Physiological Indoctrination Course in Aerospace Medicine", তুরস্ক, ১৯৯৮
  • Certified as a Facilitator in "Desensitization & Reprocessing of Trauma", মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯৯

সম্মান এবং স্বীকৃতি

[সম্পাদনা]
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফেলোশিপ, ১৯৮৫
  • ফেলোশিপ (এফসিপিএস) পরীক্ষা, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস, ১৯৮৬[][]
  • ফেলো, রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস অফ গ্লাসগো, ২০০২
  • ফেলো, রয়্যাল সোসাইটি অফ হেলথ (এফআরএসএইচ), যুক্তরাজ্য
  • ফেলো, রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন (এফআরএসএম), যুক্তরাজ্য
  • ফ্যাসিলিটেটর, ইএমডিআর ইনস্টিটিউট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

এছাড়াও তার সম্মানার্থে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিভিন্ন তালিকায়:

সদস্য

[সম্পাদনা]

প্রকাশনা

[সম্পাদনা]

তার নিবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকায় ও জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে

পারিবারিক জীবন

[সম্পাদনা]

ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন সহপাঠিনী রাশিদা আহমেদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয় এবং আজিম এবং রাশিদা ১৯৭৫ সালে বিয়ে করেন; তারা দুজনেই ১৯৭৬ সালে সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে একই দিনে কমিশন পেয়েছিলেন যদিও রাশিদা সেনাবাহিনীতে মাত্র কয়েক বছর চাকরি করেছিলেন। তাদের দুই কন্যা ডা. মালিহা আজিম এবং ডা. মাহিন আজিম, দুজনই চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ড. ইয়াজউদ্দিনের বক্তব্য এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীনতার তত্ত্ব"News Bangla। মে ২৯, ২০০৯। ৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৩১, ২০১৮ 
  2. "ইয়াজউদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উত্তর দিয়েছেন"munshigonj24.com। মে ২৭, ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৩১, ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "FELLOW WITH EXAM"বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস। আগস্ট ৫, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৬, ২০১৮ 
  4. "All Fellow With Exam List"বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৬, ২০১৮ 
  5. "Re-evaluation of Electro-convulsive therapy (ECT)"The Daily Star। ডিসেম্বর ২৫, ২০০৫। আগস্ট ৬, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৬, ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]