বিষয়বস্তুতে চলুন

কুর্ট গ্যোডেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুর্ট গ্যোডেল
Kurt Gödel
কুর্ট গ্যোডেল
জন্ম২৮শে এপ্রিল, ১৯০৬
মৃত্যু১৪ই জানুয়ারি, ১৯৭৮ (৭১ বছর বয়সে)
মাতৃশিক্ষায়তনভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণগ্যোডেলের অসম্পূর্ণতা উপপাদ্যসমূহ
পুরস্কারআলবার্ট আইনস্টাইন পুরস্কার (১৯৫১)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রগণিত
প্রতিষ্ঠানসমূহইন্সটিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডি
ডক্টরাল উপদেষ্টাহান্স হান

কুর্ট গ্যোডেল[টীকা ১] (জার্মান: Kurt Gödel কুয়াট্‌ গ্যোড্‌ল্‌, আইপিএ: [kurt gøːdl]) (২৮শে এপ্রিল, ১৯০৬, ব্যর্‌নো, তৎকালীন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র১৪ই জানুয়ারি, ১৯৭৮, প্রিন্সটন, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র) একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ও গণিতের দার্শনিক

গ্যোডেল ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুক্তিবিদ। তার কাজ বিংশ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক চিন্তাধারায় অসামান্য প্রভাব ফেলে। গ্যোডেলের সমসাময়িক গণিতবিদ বার্ট্রান্ড রাসেল, আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেডডাভিড হিলবের্ট যুক্তিবিজ্ঞানসেটতত্ত্বের সাহায্যে গণিতের ভিত্তি অনুধাবন করার চেষ্টা করছিলেন।

গ্যোডেল তার দুটি অসম্পূর্ণতা উপপাদ্যের জন্য বিখ্যাত, যেগুলো তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে, ইউনিভার্সিটি অফ ভিয়েনা থেকে ডক্টরেট পাওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যে, ১৯৩১ সালে প্রকাশ করেন। এই দুইটি উপপাদ্যের মধ্যে যেটি বেশি বিখ্যাত, সেটি বলে যে স্বাভাবিক সংখ্যাগুলির পাটীগণিত (অর্থাৎ পেয়ানো পাটীগণিত) ব্যাখ্যা করতে পারে, এরকম শক্তিশালী যেকোন স্বসংগত (self-consistent) পুনরাবৃত্তিমূলক স্বতঃসিদ্ধ ব্যবস্থার জন্য স্বাভাবিক সংখ্যা বিষয়ে এমন সব সত্য প্রস্তাবনা (true propositions) আছে, যে প্রস্তাবনাগুলি ঐ স্বতঃসিদ্ধগুলি থেকে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। এই উপপাদ্যটি প্রমাণ করার জন্য গ্যোডেল গ্যোডেল সংখ্যায়ন নামের একটি কৌশল বের করেন।

গ্যোডেল আরও দেখান যে অনবচ্ছেদ অনুকল্প (continuum hypothesis) সেট তত্ত্বের স্বীকৃত স্বতঃসিদ্ধগুলির সাহায্যে অপ্রমাণিত (disprove) করা সম্ভব নয়। এছাড়াও তিনি প্রমাণ তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন; চিরায়ত যুক্তিবিজ্ঞান, প্রাতিষ্ঠানিক যুক্তিবিজ্ঞানমোডাল যুক্তিবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ক তিনি পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দেন।

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. এই জার্মান ব্যক্তিনাম বা স্থাননামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ শীর্ষক রচনাশৈলী নিদের্শিকাতে ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।