বিষয়বস্তুতে চলুন

মেদিনীপুর

স্থানাঙ্ক: ২২°২৫′২৬″ উত্তর ৮৭°১৯′০৮″ পূর্ব / ২২.৪২৪° উত্তর ৮৭.৩১৯° পূর্ব / 22.424; 87.319
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Midnapur থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মেদিনীপুর
মিদনাপুর
শহর
মেদিনীপুর গেট
মেদিনীপুর গেট
মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
মেদিনীপুর
মেদিনীপুর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মেদিনীপুরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°২৫′২৬″ উত্তর ৮৭°১৯′০৮″ পূর্ব / ২২.৪২৪° উত্তর ৮৭.৩১৯° পূর্ব / 22.424; 87.319
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাপশ্চিম মেদিনীপুর
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকমেদিনীপুর পৌরসভা
 • চেয়ারম্যানসৌমেন খাঁ
উচ্চতা২৪ মিটার (৭৯ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৬৯,১২৭
Languages
 • Officialবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন নং৭২১১০১ - ০২
টেলিফোন কোড৯১-৩২২২
যানবাহন নিবন্ধনWB-৩৩-xxxx, WB-৩৪-xxxx
Lok Sabha কেন্দ্রMedinipur
Vidhan Sabha কেন্দ্রMedinipur, Kharagpur
ওয়েবসাইটpaschimmedinipur.gov.in

মেদিনীপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর ও একটি পৌরসভা এলাকা। এই শহরে মেদিনীপুর বিভাগের সদর দপ্তর অবস্থিত।

ভৌগোলিক উপাত্ত

[সম্পাদনা]

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°২৬′ উত্তর ৮৭°২০′ পূর্ব / ২২.৪৩° উত্তর ৮৭.৩৩° পূর্ব / 22.43; 87.33[] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৪ মিটার (৭৮ ফুট)।

জনসংখ্যার উপাত্ত

[সম্পাদনা]

ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে মেদিনীপুর শহরের জনসংখ্যা হল ১৬৯,১২৭ জন।[] এর মধ্যে পুরুষ ৮৫,৩৬২, এবং নারী ৮৩,৭৬৫।

এখানে সাক্ষরতার হার ৯১%। বিগত ২০০১ সালের আদম শুমারি আনুসারে পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭১% (২০১১ সালের সম্পূর্ণ তথ্য এখন পাওয়া যাইনাই)। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৬৫%, তার চাইতে মেদিনীপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

১৮২১ সালে মেদিনীপুর পুরসভা গঠিত হয়। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভা পরিচালনা করে।

মেদিনীপুরের শহরের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

[সম্পাদনা]

শ্রী হরি সাধন দাসের মতে, শহরটির নাম মেদিনীকর থেকে এসেছে, যিনি 1238 সালে শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যিনি গন্ডিদেশের সামন্ত রাজা প্রানকারের পুত্র ছিলেন। তিনি ‘মেদিনীকোষ’-এর লেখকও ছিলেন।  হরা প্রসাদ শাস্ত্রী মনে করেন যে শহর মেদিনীকর এটিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার বইটি লেখার সময় (1200-1431)।  তিনি শহরে অবস্থিত কর্নেলগোলা নামক দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়।  একটি বিবরণ দাবি করে যে মেদিনীপুরের নামকরণ করা হয়েছিল স্থানীয় দেবতা "মেদিনীমাতা" (আক্ষরিক অর্থে "বিশ্বের মা", একটি শক্তি অবতার) এর নামে।

মেদিনীপুর শহরের সংক্ষিপ্ত সময় সারণী

[সম্পাদনা]
মেদিনীপুর রেলওয়ে স্টেশন
মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার রাস্তা
কর্ণগড় মন্দির, মেদিনীপুর
বটেশ্বর জিউ শিবমন্দির, ধলহরা, মেদিনীপুর
গোপগড় ইকো পার্কের ওয়াচ টাওয়ার, মেদিনীপুর


শ্রী চৈতন্য দেব মেদিনীপুর দিয়ে পুরী ভ্রমণ করেন।
১৫৯৩ খ্রীষ্টাব্দ রাজা মান সিংহ ওড়িষ্যা ও মেদিনীপুর অধিগ্রহণ করেন। মেদিনীপুর মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৭৬৩ খ্রীষ্টাব্দ মেদিনীপুরের ‘বড় বাজার’ গড়ে ওঠে।
১৭৭৭ খ্রীষ্টাব্দ মিঃ পিয়ারস মেদিনীপুরের প্রথম কালেকটর নিযুক্ত হন।
১৭৮৩ খ্রীষ্টাব্দ ২রা সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর শহরকে জেলার সদর ঘোষণা করা হয়।
১৮৩৪ খ্রীষ্টাব্দ মেদিনীপুর কলিজিয়েট স্কুল স্থাপিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
১৮৪১ খ্রীষ্টাব্দ শিব চন্দ্র দেব কর্ত্তক মেদিনীপুরে ব্রাম্ভ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫১ খ্রীষ্টাব্দ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মেদিনীপুর আসেন।
১৮৫২ খ্রীষ্টাব্দ প্রথম পাঠাগার গড়ে ওঠে যার বর্তমান নাম ‘ঋষি রাজনারায়ণ বসু স্মৃতি পাঠাগার’।
১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ মেদিনীপুর মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯০২ খ্রীষ্টাব্দ অরবিন্দ ঘোষ মেদিনীপুর আসেন। হেমচন্দ্র দাস কানুনগো, সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং ঞ্জানেন্দ্রনাথ বসু মেদিনীপুরে সশস্ত্র বিপ্লবী দল গড়ে তোলেন।
১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দ ক্ষুদিরাম বসুপ্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে আক্রমণ করেন। দূর্ভাগ্যবসত মিঃ ও মিসেস কেনেডি মারা যান। ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়, প্রফুল্ল চাকি আত্মহত্যা করেন।
১৯২০ খ্রীষ্টাব্দ প্রিন্স ওয়েলস এর ভারত আগমনে মেদিনীপুরে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পরে। গান্ধিজি মেদিনীপুর আসেন।
১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দ গান্ধিজি পুনরায় মেদিনীপুর আসেন।
১৯২৯ খ্রীষ্টাব্দ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এর নেতৃত্বে চৌকিদারি শুল্ক প্রথা অবলুপ্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। নেতাজী মেদিনীপুরে আসেন।
১৯৩১ খ্রীষ্টাব্দ জ্যোতিজীবন ঘোষ ও বিমল দাশগুপ্ত জেলা কালেকটর মিঃ জেমস পেডিকে হত্যা করেন।
১৯৮১ খ্রীষ্টাব্দ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
২০০৪ খ্রীষ্টাব্দ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়।

খেলাধুলা

[সম্পাদনা]

মেদিনীপুর শহরের অনেক লোক পদচারণা উপভোগ করে এবং ক্রমশ আরও স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠছে, যার সাক্ষী হ'ল প্রসারিত জিম এবং ক্লাবগুলি। স্থানীয়দের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৃতি হলেন ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া সুস্মিতা সিংহ রায়, যিনি লং জাম্প হিসাবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন।

প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারী, ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা, সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনের স্মরণে একটি ১০ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সংবাদ মাধ্যম

[সম্পাদনা]

মেদিনীপুরে অল ইন্ডিয়া রেডিও'র একটি রিলে স্টেশন রয়েছে, যা আকাশবাণী মেদিনীপুর নামে পরিচিত। এটি এফএম ফ্রিকোয়েন্সিগু সম্প্রচার করে। মেদিনীপুর থেকে প্রচুর স্থানীয় বাংলা ভাষার সংবাদপত্র প্রচারিত হয়; এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিপ্লবী সব্যসাচী, মেদিনীপুর টাইমস, ছাপা খবর এবং দৈনিক উপত্যক। মেদিনীপুর জেলার জেলা গ্রন্থাগারটি শহরে অবস্থিত। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাগার হল ঋষি রাজনারায়ণ গ্রন্থাগার।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Medinipur"Falling Rain Genomics, Inc। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫,২০০৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০১৩