আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
গঠিত | গ্রহণ: ২২ জুলাই ১৯৪৪ কার্যক্রমে প্রবেশ: ১ মার্চ ১৯৪৭ |
---|---|
ধরন | আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান |
সদরদপ্তর | ওয়াশিংটন, ডি.সি. |
সদস্যপদ | ১ দেশ (প্রতিষ্ঠাকালীন); ১৯০দেশ (বর্তমান - অক্টোবর , ২০২০ইং পর্যন্ত) |
দাপ্তরিক ভাষা | ইংরেজি, ফরাসী ও স্পেনীয় |
মহাপরিচালক | ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা (অর্থনীতিতে পিএইচডি) |
প্রধান উপ-মহাপরিচালক | গীতা গোপীনাথ (অর্থনীতিতে পিএইচডি) |
প্রধান অর্থনীতিবিদ | পিয়েরে-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস (অর্থনীতিতে পিএইচডি) |
প্রধান অঙ্গ | বোর্ড অব গভর্নর্স |
ওয়েবসাইট | আইএমএফ.অর্গ |
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ (ইংরেজি: International Monetary Fund, IMF) জাতিসংঘ কর্তৃক অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা এর প্রধান কাজ। এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ২৯টি দেশ চুক্তিতে উপনীত হয়েছিল।[১] এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি. শহরে অবস্থিত। বিভিন্ন দেশের মুদ্রানীতি এবং মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা এই আন্তজার্তিক সংস্থাটির অন্যতম প্রধান কাজ। এপ্রিল ১২, ২০১৬ইং পর্যন্ত ১৮৯টি রাষ্ট্র এই সংস্থার কার্যক্রমের আওতাভুক্ত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বিংশ শতাব্দীতে
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ধারণা প্রথম সূচিত হয় ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুলাই তারিখে। এর কার্যক্রমের গোড়াপত্তন হয় ব্রেটন উডস সম্মেলন-এ (পূর্ববর্তী জাতিসংঘের অর্থ ও আর্থিক সম্মেলন-এ) মিলিত হয়ে ৪৫টি সদস্য রাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং তাদের আন্তর্জাতিক লেনদেন-এর ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে। বিশ্বের প্রমুখ অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত-ও যোগ দেয়। ভারতের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-র প্রথম ভারতীয় গভর্নর চিন্তামন দ্বারকানাথ দেশমুখ ও ভারতের প্রথম অর্থমন্ত্রী রামসাময় কান্দসামি শানমুখাম চেট্টি। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ডিসেম্বর ২৯টি রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক লেন-দেন ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য রাখার লক্ষ্য নিয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপিত হয়। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনয়ণই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি 'বোর্ড অব গভর্নরস' রয়েছে যা এই সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্ষদ। একজন মূল গভর্নর এবং প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের জন্য একজন করে পর্যায়ক্রমিক গভর্নর নিয়ে এই বোর্ড অব গভর্নর্স গঠিত। সদস্য দেশগুলো স্ব-স্ব গভর্নর নিযুক্ত করে।
একবিংশ শতাব্দীতে
[সম্পাদনা]মার্চ ২০১৪ এর শেষ দিকে, আইএমএফ ক্রিমিয়া বিপ্লবের পর ইউক্রেনের অস্থায়ী সরকারের জন্য $১৮ বিলিয়ন সংকটকালীন তহবিল ঘোষণা করে।[২][৩]
আইএমএফ বোর্ড ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য আরএসএফ তহবিল অনুমোদন করে। ২০২২ সালের ১লা মে থেকে তহবিলটি কার্যকর হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ (আরএসএফ) থেকে ঋণ গ্রহণকারী এশিয়ার প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইএমএফ-এর এই ঋণ গ্রহণকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হচ্ছে বার্বাডোস, এর পরের স্থানেই আছে কোস্টা রিকা ও রুয়ান্ডা। তবে আরএসএফ থেকে ঋণ পাওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।[৪]
মহাপরিচালক
[সম্পাদনা]কার্যকাল | নাম | জাতীয়তা |
---|---|---|
মে ৬, ১৯৪৬ - মে ৫, ১৯৫১ | ক্যামিলে গাট | বেলজিয়াম |
আগস্ট ৩, ১৯৫১ - অক্টোবর ৩, ১৯৫৬ | ইভার রুথ | সুইডেন |
নভেম্বর ২১, ১৯৫৬ - মে ৫, ১৯৬৩ | পার জেকবসন | সুইডেন |
সেপ্টেম্বর ১, ১৯৬৩ - আগস্ট ৩১, ১৯৭৩ | পিয়েরে-পল সুইতজার | ফ্রান্স |
সেপ্টেম্বর ১, ১৯৭৩ - জুন ১৬, ১৯৭৮ | জোহানেস উইতেভিন | নেদারল্যান্ড |
জুন ১৭, ১৯৭৮ - জানুয়ারি ১৫, ১৯৮৭ | জ্যাকুয়েস দ্য লারোসিয়েরে | ফ্রান্স |
জানুয়ারি ১৬, ১৯৮৭ - ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০০০ | মিচেল ক্যাডেসাস | ফ্রান্স |
মে ১, ২০০০ - মার্চ ৪, ২০০৪ | হর্স্ট কোয়েলার | জার্মানি |
জুন ৭, ২০০৪ - অক্টোবর ৩১, ২০০৭ | রডরিগো রাতো | স্পেন |
নভেম্বর ১, ২০০৭ - মে ১৮, ২০১১ | ডমিনিক স্ট্রস-কান | ফ্রান্স |
জুলাই ৫, ২০১১ - সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯ | ক্রিস্তিন লাগার্দ | ফ্রান্স |
অক্টোবর ১, ২০১৯ - বর্তমান | ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা | বুলগেরিয়া |
কার্যাবলি
[সম্পাদনা]আইএমএফের মতে, এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করার জন্য নীতিমালা প্রদান এবং সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির কাজ করে। এর কারণ হল যে ব্যক্তিগত আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারগুলো ত্রুটিপূর্ণভাবে কাজ করে এবং অনেক দেশে আর্থিক বাজারগুলিতে সীমিত প্রবেশাধিকার থাকে। এ ধরনের বাজার অসম্পূর্ণতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ পারিশ্রমিক অর্থনীতি (balance-of-payment financing) ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সংস্থাটি সরকারি অর্থায়নের ন্যায্যতা প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিকল্প অর্থায়নের যোগান দেয়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি প্রধান কাজের একটি ছিল - বিভিন্ন দেশের মধ্যে মুদ্রা বিনিময় মূল্য তত্ত্বাবধান করা, যার মাধ্যমে দেশগুলো তাদের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
ভোটিং ক্ষমতা
[সম্পাদনা]The table below shows quota and voting shares for the largest IMF members[৫] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Bordo, M. D. "The Bretton Woods International Monetary System: A Historical Overview", in A Retrospective on the Bretton Woods System, edited by M. D. Bordo and B. Eichengreen. London:1993;
- Boughton, J. M. Silent Revolution: The International Monetary Fund 1979-1989, Washington DC, 2001.
- James, H. "International Monetary Cooperation since Bretton Woods", Oxford, 1996.
- Joicey, N. and Pickford, S. "The International Monetary Fund and Global Economic Cooperation" in Nicholas Bayne and Stephen Woolcock, "The New Economic Diplomacy: Decision-Making and Negotiation in International Relations", (Ashgate Publishing, 2011).
- Keynes, J. M. "The Collected Writings, Vol.XXVI. Activies 1941-1946: Shaping the Post-War World: Bretton Woods and Reparations", Cambridge, 1980.
- Moschella, M. Governing Risk: The IMF and Global Financial Crises (Palgrave Macmillan; 2010).
- Skidelsky, R. "John Maynard Keynes: Fighting for Britain", London, 2000.
- Truman, E. Strengthening IMF Surveillance: A Comprehensive Proposal[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], Policy Brief 10-29, Peterson Institute for International Economics, 2010.
- Woods, N. "The Globalizers:The IMF, the World Bank, and Their Borrowers", Ithaca, 2006
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official website
- IFIWatchNet (Web resource for analysis and commentary critical of the IMF and similar institutions)
- IMF-Supported Macroeconomic Policies and the World Recession: A Look at Forty-One Borrowing Countries, from the Center for Economic and Policy Research, October 2009
- Proceedings and Documents of the United Nations Monetary and Financial Conference, Bretton Woods, New Hampshire, July 1-22, 1944
- IMF's Effect on Third World Countries from the Dean Peter Krogh Foreign Affairs Digital Archives
- IMF and Ukraine found a compromise
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Factsheet - The IMF at a Glance"। IMF। ২০০৯। ২২ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৯। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Ukraine to get $15bn as Russia hit by downgrades"। ১০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Windfall for hedge funds and Russian banks as IMF rescues Ukraine"। ১০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "আরএসএফ থেকে আইএমএফ-এর ঋণ গ্রহিতা এশিয়ায় প্রথম দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ"। ভয়েস অফ আমেরিকা। জানুয়ারী ১৭, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারী ১৮, ২০২৩।
- ↑ "IMF Members' Quotas and Voting Power, and IMF Board of Governors"। ১১ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |