হাতেম আলী জমাদ্দার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খান বাহাদুর

হাতেম আলী জমাদ্দার
জন্ম
পিরোজপুর
মৃত্যু৮ মার্চ ১৯৮২
পিরোজপুর
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ

খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দার (১৮৭৭ - ৮ মার্চ ১৯৮২)[১] হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক।

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি[সম্পাদনা]

১৮৭৭ সালে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বরিশালের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার মিঠাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২]

খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দার বলেশ্বর ও বিশখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূ-ভাগে জননন্দিত নেতা ছিলেন। তিনি ১৮৭৭ সালে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হেলাল উদ্দিন জমাদ্দার এবং মাতার নাম সহর বানু। তাঁর পিতামহ ফরাজ উল্লাহ জমাদ্দার অষ্টাদশ শতাব্দী প্রথম ভাগে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া থেকে মঠবাড়িয়া এসে উত্তর মিঠাখালী গ্রামে বসতি স্থাপন করেন এবং সাপলেজায় প্রায় পাঁচশত একর ভূমি আবাদ করেন। হাতেম আলীর পিতার প্রতিষ্ঠিত মক্তবে লেখাপড়া শেষ করে পিরোজপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনী পাশ করেন। ইতোমধ্যে তিনি বলেশ্বর ও বিশখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূ-ভাগের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে পরিচিত হন এবং এ অঞ্চলের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ১০৫ বছর জীবিত ছিলেন। এর মধ্যে বাল্যকাল এবং মৃত্যুর পূর্বের একযুগ ছাড়া বাকী সবটাই ছিল কর্মবহুল। ১৯২০ সাল থেকে মঠবাড়িয়া ইউনিয়ন বোর্ডের (বর্তমানে পরিষদ) চেয়ারম্যান, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের কৃষক প্রজা আন্দোলনে যোগদান, পূর্ব বাংলা সমবায় ব্যাংকের সদস্য ও পরিচালক, মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাপতি, কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের সেক্রেটারী, নিখিল বাংলা ঋণ সালিশী বোর্ডের সদস্য, এ অঞ্চলের ঋণ সালিশী বোর্ডের চেয়ারম্যান, বরিশাল জেলা বোর্ড ও শিা বোর্ডের সদস্য, ১৯৩৭ সাল থেকে বংগীয় আইন পরিষদ এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য পদ অর্জন ইত্যাদি তাঁর পুরো জীবনটাই ঢেকে রেখেছে। জনসেবায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তৎকালীন সরকার ১৯৩৪ সালে হাতেম আলী জমাদ্দারকে “খান সাহেব” উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি ছিলেন বলেশ্বর ও বিশখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূ-ভাগের তথা মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বামনা, কাঁঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলার অর্ধ শতাব্দীর জীবন্ত ইতিহাস।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য (এমএলএ) ছিলেন।[১]

জনহিতৈষী কাজ[সম্পাদনা]

হাতেম আলী ছিলেন মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।[১] তিনি ১৯৬৮ সালে মঠবাড়িয়া এলাকায় নারী শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে হাতেম আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।[৩]"হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঠবা‌ড়িয়ায় আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ"মঠবাড়িয়ার কন্ঠ অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৭  অজানা প্যারামিটার |তিনি মঠবাড়িয়া কে.এম.(খাস মহল) লতিফ ইন্সটিটিউশনের অর্থদাতা। [৪]তারিখ= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]</ref>


খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূ-ভাগে জননন্দিত নেতা ছিলেন। । তিনি বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূ-ভাগের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে পরিচিত হন এবং এ অঞ্চলের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ১০৫ বছর জীবিত ছিলেন। এর মধ্যে বাল্যকাল এবং মৃত্যুর পূর্বের একযুগ ছাড়া বাকী সবটাই ছিল কর্মবহুল। ১৯২০ সাল থেকে মঠবাড়িয়া ইউনিয়ন বোর্ডের (বর্তমানে পরিষদ) চেয়ারম্যান, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের কৃষক প্রজা আন্দোলনে যোগদান, পূর্ব বাংলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সদস্য, পরিচালক ও সভাপতি, মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায়ের ব্যাংকের সভাপতি, কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের সেক্রেটারী, নিখিল বাংলা ঋণ সালিশী বোর্ডের সদস্য, এ অঞ্চলের ঋণ সালিশী বোর্ডের চেয়ারম্যান, বরিশাল জেলা বোর্ড ও শিক্ষা বোর্ডের সদস্য, ১৯৩৭ সাল থেকে বংগীয় আইন পরিষদ এবং তৎকালীন পূর্ব পকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য পদ অর্জন ইত্যাদি তাঁর পুরো জীবনটাই ঢেকে রেখেছে। তিনি ১৯২৬ সালে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক, মঠবাড়িয়ার খাসমহলের অফিসার আবদুল লতিফ চৌধুরী সহতায় ১৯২৮ সালে কে. এম. লতীফ ইনিস্টিটিউশন, ১৯৬৮ সালে হাতেম আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ এ অঞ্চলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষক সমবায় সমীতি. রাস্তাঘাট ইত্যাদি নির্মাণ করেন। জনসেবায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তৎকালীন সরকার ১৯৩৪ সালে হাতেম আলী জমাদ্দারকে “খান সাহেব” উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি ছিলেন বলেশ্বর ও বিশখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূ-ভাগের তথা মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বামনা, কাঁঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলার অর্ধ শতাব্দীর জীবন্ত ইতিহাস।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

স্মারক ও স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

জনসেবায় অসাধারণ অবদানের জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৪ সালে তাকে খান বাহাদুর উপাধীতে ভূষিত করেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "খান সাহেব হাতেম আলী"দৈনিক যুগান্তর অনলাইন। ৮ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. "জননন্দিত খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দার"মঠবাড়িয়া প্রতিদিন অনলাইন। ১ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; প্রতিষ্ঠা নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; অর্থ দান নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]