স্যার উইলিয়াম বোম্যান, ১ম ব্যারনেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যার উইলিয়াম বোম্যান
স্যার উইলিয়াম বোম্যান, ১ম ব্যারনেট
জন্ম২০ জুলাই ১৮১৬
নান্টউইচ, চেশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৯ মার্চ ১৮৯২(1892-03-29) (বয়স ৭৫)
হোমবারি সেইন্ট মেরী, সারি
জাতীয়তাইংরেজ
পরিচিতির কারণঅণুবীক্ষণ যন্ত্র
পুরস্কাররয়েল মেডেল
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রশল্যবিদ,
কলাস্থানবিদ,
শারীরস্থানবিদ

স্যার উইলিয়াম বোম্যান, ১ম ব্যারনেট(২০ জুলাই ১৮১৬ - ২৯ মার্চ ১৮৯২) ছিলেন একজন ইংরেজ শল্যবিদ, কলাস্থানবিদ এবং শারীরস্থানবিদ। গবেষণাকার্যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন মানব অঙ্গ অধ্যয়নের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত, যদিও তাঁর জীবদ্দশায় একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সফল কর্মজীবন পার করেছিলেন।

জীবন[সম্পাদনা]

বোম্যান ইংল্যান্ডের চেশায়ারের নান্টউইচে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ব্যাংকার এবং অপেশাদার উদ্ভিদবিদ/ভূতাত্ত্বিক। তিনি ছিলেন তাঁর পিতার তৃতীয় পুত্র। তিনি ১৮২৬ সাল থেকে বার্মিংহামের নিকটবর্তী হ্যাজেলউড স্কুলে পড়াশুনা করেন।[১] শৈশবে বারুদজনিত একটি দুর্ঘটনার ফলে চিকিৎসা বিদ্যার প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মে বলে মনে করা হয়। ১৮৩২ সালেবার্মিংহাম জেনারেল হাসপাতালে সার্জন জোসেফ হজসনের অধীনে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৮৩৭ সালে তিনি সার্জন হিসেবে আরও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য বার্মিংহাম ত্যাগ করেন এবং কিংস কলেজ লন্ডনে যোগ দেন, সেখানে তিনি ফিজিওলজির অধ্যাপক রবার্ট বেন্টলি টডের অধীনে প্রসেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বোম্যানের প্রথম উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল রৈখিক পেশির গঠনের উপরে , যার জন্য তিনি ১৮৪১ সালে রয়েল সোসাইটির একজন ফেলো নির্বাচিত হন।[১] মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি নেফ্রনের অন্যতম একটি প্রধান উপাদান চিহ্নিত করেন, যা সেই সময় বোম্যানস ক্যাপস্যুল হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। তাঁর লব্ধ ফলাফলগুলি ১৮৪২ সালে তাঁর "অন দ্য স্ট্রাকচার অ্যান্ড ইউজ অফ দ্য ম্যালপিজিয়ান বডিস অফ দ্য কিডনি " গবেষণাপত্রটিতে তিনি রয়েল সোসাইটির কাছে উপস্থাপন করেন এবং রয়েল পদকে ভূষিত হন। টডের সাথে তাঁর সহযোগিতার ফলে পাঁচ খণ্ডের "ফিজিওলজিকাল অ্যানাটমি অ্যান্ড ফিজিওলজি অফ ম্যান " (১৮৪৩–-১৮৫6) এবং "সাইক্লোপিডিয়া অফ অ্যানাটমি অ্যান্ড ফিজিওলজি " (১৮৫২) প্রকাশিত হয়, যেগুলি তাঁদের মাইক্রোস্কোপি এবং হিস্টোলজির উপরে গবেষণার বিশদ বিবরণ প্রকাশ করেছিল। তাঁদের অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার শারীরস্থান ও শারীরতত্ত্ব অধ্যয়নের বিপ্লব ঘটায়। বোম্যানস ক্যাপস্যুল ছাড়াও অন্যান্য যেসব শারীরস্থানিক কাঠামোর নাম তাঁর নামানুসারে করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে:

১৮৪৪ সালে শল্যবিদ্যার প্রশিক্ষণ শেষ করার পরে, বোম্যান রয়েল লন্ডন চক্ষু হাসপাতালে (পরে মুরফিল্ডস চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত হয়) চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে অনুশীলন করেছিলেন। ১৮৫১ সালে হের্মান ভন হেলমহোলৎস কর্তৃক উদ্ভাবিত অফথালমোস্কোপের শুরুর দিকের ব্যবহারকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন।[১] ১৮৪৮ এবং ১৮৫৫ সালের মধ্যে তিনি কিংস কলেজে শিক্ষকতাও করেছিলেন। ১৮৮০ সালে তিনি 'অফথালমোলজিকাল সোসাইটি' প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে রয়্যাল কলেজ অফ অফথালমোলজিস্ট পরিণত হয়।

১৮৭০ সালে তিনি চারু-কারুশিল্পের স্থপতি ফিলিপ ওয়েবকে সারির হোমবারি সেইন্ট মেরীতে অবস্থিত বোম্যানস হাউজ "জোলডওয়াইন্ডস" পুনর্নির্মাণের জন্য নিযুক্ত করেন । এটি ১৮৭৪ সালে সম্পন্ন হয়েছিল। [২]

১৮৮৪ সালে, রাণী ভিক্টোরিয়া তাঁকে একজন ব্যারনেট বানান।[৩] ১৮৯২ সালের ২৯শে মার্চ তিনি জোলডওয়াইন্ডসে মারা যান এবং তাঁকে হোমবারি সেইন্ট মেরীর পার্শ্ববর্তী গির্জার সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয়।[৪] পিকাডিলির সেইন্ট জেমসের চার্চে তাঁর স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।

পিকাডিলির সেইন্ট জেমসের চার্চে স্যার উইলিয়াম বোম্যানের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ।

পরিবার[সম্পাদনা]

১৮৪২ সালের ২৮ ডিসেম্বর, তিনি লিচেস্টারের টমাস পেজেটের পঞ্চম কন্যা হ্যারিয়েটকে বিয়ে করেন, যাঁর সাথে তাঁর সাতটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তাঁর স্ত্রী ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর জোলডওয়াইন্ডসে মারা যান। তাঁর বড় ছেলে স্যার পেজেট বোম্যান উত্তরাধীকারসূত্রে তাঁর পদবি অর্জন করেন।[৪]

স্যার উইলিয়াম বোম্যানের প্রকাশনা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hale-White, W. (1935) "Sir William Bowman", pp. 177–188; in Great Doctors of the Nineteenth Century, Edward Arnold & Co
  2. Kirk, Sheila (২০০৫)। Philip Webb: Pioneer of Arts & Crafts Architecture। Wiley-Academy। পৃষ্ঠা 115। আইএসবিএন 0470868082 
  3. "নং. 25305"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ জানুয়ারি ১৮৮৪। 
  4. Power 1901
কৃতজ্ঞতা

 This article incorporates text from a publication now in the public domainPower, D'Arcy (১৯০১)। "Bowman, William"। সিডনি লি। Dictionary of National Biography, 1901 supplement​London: Smith, Elder & Co 

সূত্র[সম্পাদনা]

  • Galst, Jay M (April 2007), "Sir William Bowman (1816–1892).", Archives of Ophthalmology, 125 (4): 459, doi:10.1001/archopht.125.4.459, PMID 17450657
  • Frixione, Eugenio (2006), "Muscle microanatomy and its changes during contraction: the legacy of William Bowman (1816–1892).", Journal of Muscle Research and Cell Motility, 27 (1): 9–20, doi:10.1007/s10974-005-9048-z, PMID 16465470
  • Haviv, Y S (February 2000), "Figures in the historical dispute over renal function. Part II: Karl Ludwig versus Rudolph Heidenhain and William Bowman.", Journal of Medical Biography, 8 (1), pp. 32–8, doi:10.1177/096777200000800107, PMID 10994045
  • Eknoyan, G (December 1996), "Sir William Bowman: his contributions to physiology and nephrology.", Kidney Int., 50 (6), pp. 2120–8, doi:10.1038/ki.1996.538, PMID 8943499
  • Roman, F S (October 1992), "Sir William Bowman", The British Journal of Ophthalmology, 76 (10): 639, doi:10.1136/bjo.76.10.639, PMC 505252, PMID 1420050
  • Trevor-Roper, P (March 1992), "Sir William Bowman—1816–1892", The British Journal of Ophthalmology, 76 (3), p. 129, doi:10.1136/bjo.76.3.129, PMC 504187, PMID 1540552
  • Davis, B T (1982), "The formative years of Sir William Bowman, F. R. S", Histoire des sciences médicales, 17 (Spec 2), pp. 169–71, PMID 11612284
  • Law, F W (1975), "Sir William Bowman", Survey of Ophthalmology, 19 (5), pp. 302–7, PMID 1092012
  • Lilien, O M (July 1972), "Sir William Bowman (1816–1892)", Investigative Urology, 10 (1): 107–8, ISSN 0021-0005, PMID 4556711
  • Grondona, F (September 1971), "[Structure and function of the kidney according to William Bowman]", Clio medica (Amsterdam, Netherlands), 6 (3), pp. 195–204, PMID 4113808
  • Thomas, K B (July 1966), "The manuscripts of Sir William Bowman", Medical History, 10 (3), pp. 245–56, doi:10.1017/s002572730001111x, PMC 1033604, PMID 5330007

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]