সোহরাব সাইকেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সোহরাব
স্থানীয় নাম
سُہراب
শিল্পসাইকেল প্রস্তুতকারক
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৫২
সদরদপ্তর,
বাণিজ্য অঞ্চল
মালিকপাকিস্তান সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড
ওয়েবসাইটsohrab-cycles.com

সোহরাব (উর্দু: سُہراب‎‎) একটি পাকিস্তানি বাইসাইকেল কোম্পানি, যা সাইকেল ও এর যন্ত্রাংশ তৈরি করে। কোম্পানিটি পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত।[১][২][৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কোম্পানিটি ১৯৫২ সালে লাহোরে কয়েকজন ব্যবসায়ীর দ্বারা শুরু হয়। যখন বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের ফলে পাকিস্তানে আমদানিকে মারাত্মকভাবে সীমিত করা হয়, তখন ব্যবসায়ীরা অভ্যন্তরীণভাবে সাইকেল উৎপাদন ও বিক্রি করার একটি সুযোগ পায় এবং ফলস্বরূপ ১৯১২ সালের কো-অপারেটিভ সোসাইটি অ্যাক্ট ২ এর ৯ নং ধারার অধীনে ১৯৫৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোহরাবকে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমদিকে এর মাত্র ২২ জন সদস্য ছিল এবং দিনে ৫টি সাইকেল তৈরি করত। বর্তমানে এর ২২৮ জন সদস্য রয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ২০০০ টি সাইকেল তৈরি করে।[২]

গঠন[সম্পাদনা]

সোহরাব তাদের কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই সব নিয়ন্ত্রন করে। কোম্পানির সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সাধারণ সংস্থার কাছে থাকে, যারা প্রতি ৩ বছর পর ক্ষমতায় নির্বাচিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সোহরাব তাদের শ্রমিকদের জন্য একটি ভর্তুকিকৃত ক্যান্টিন ও হাসপাতালের মাধ্যমে তাদের সামাজিক নীতি বজায় রাখে। তারা প্রতি বছর মক্কায় হজ্জ যাত্রায় যোগদানের জন্য তাদের পাঁচজন কর্মীকে অর্থ প্রদান করে।[২]

পণ্য[সম্পাদনা]

সোহরাব প্রথমে একটি একক গতির রোডস্টার সাইকেল তৈরি করে। এতে একটি যুক্ত স্টিল ফ্রেম এবং রড-ব্রেক ছিল। এই সাইকেলটি ৫০ বছরের বেশি সময় পরেও এখনও উৎপাদনে রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে তারা তাদের পরিসরকে বিস্তৃত করতে আরও আধুনিক ধরনের সাইকেল এমটিবি ও বিএমএক্স যোগ করে।[৪] সোহরাব কার্গো-ট্রাইসাইকেল, জিমনেসিয়ামের সরঞ্জাম, পুশ-চেয়ার ও হুইলচেয়ার তৈরিতেও ব্যাপক বৈচিত্র্য এনেছে। তাদের পরবর্তীতে তৈরি সাইকেলগুলো বেশি দামে বিক্রি হয়।[২] ১৯৯৪ সালে, সোহরাব জেএস৭০ মোটর সাইকেল নিয়ে মোটর সাইকেলের বাজারে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে এর একটি বৃহত্তর সংস্করণ অটোরিকশার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৪]

বাজার[সম্পাদনা]

সোহরাবের প্রাথমিক বাজার প্রধানত পাকিস্তানের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনসংখ্যার এলাকা যেখানে মোটর সাইকেল ও গাড়ি এখনও কিছু লোকের সাধ্যের মধ্যে নেই সেসব এলাকায় বিস্তৃত।[১] কিছু বড় শহরের মানুষ ব্যায়াম করতে শহরের রাস্তায় সাইকেল চালায় এবং নিজেদের জন্য সাইকেল চালানোর ক্লাব তৈরি করে।[৫]

আফগানিস্তানবাংলাদেশেও তাদের রপ্তানি বাজার গড়ে উঠেছে। ফরাসি রোটারী ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে মাদাগাস্কারেও সোহরাব হুইলচেয়ার বিতরণ করে।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bicycle pedals down memory lane in Pakistan"The Nation (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৪-২০। ২০২৩-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৫ 
  2. "PAKISTAN CYCLE INDUSTRIAL CO-OPERATIVE SOCIETY LTD."। Sohrab Cycles। ২০১৮-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৮ 
  3. Gohar Social Studies 5 (ইংরেজি ভাষায়)। Gohar Publishers। আইএসবিএন 978-969-526-026-5। ২০২৩-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৮ 
  4. "News & Events"। Sohrab Cycles। ২০১৮-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৮ 
  5. Nausheen Ishtiaq Jivani (২০১১-০১-২৪)। "Critical mass: Streets of Karachi"। Dawn (newspaper)। ২০১৮-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৮ 
  6. "Exports"। Sohrab Cycles। ২০১৮-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]