বিষয়বস্তুতে চলুন

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
জন্ম(১৯৩০-১০-১৪)১৪ অক্টোবর ১৯৩০
মুর্শিদাবাদ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যুকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
ছদ্মনামইবলিস
পেশা
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবহরমপুর কলেজ
সময়কালসমকালীন
ধরনসমূহ
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিঅলীক মানুষ, নীলঘরের নটী, কর্নেল নীলাদ্রি সরকার, অমর্ত্য প্রেমকথা, তৃণভূমি, ইন্সপেক্টর ব্রহ্ম, ভৌতিক গল্পসমগ্র, তারা অশরীরী
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার
সক্রিয় বছর১৯৬২–২০১২
দাম্পত্যসঙ্গীহাসনে আরা সিরাজ
সন্তান
  • অভিজিৎ সিরাজ
  • অনিতা সিরাজ

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ (বাংলা উচ্চারণ: [soi̯od̪ must̪afa ʃiɾad͡ʒ]; ১৪ই অক্টোবর ১৯৩০ – ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০১২) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি লেখক।[১][২][৩] ১৯৯৪ সালে তিনি তাঁর অলীক মানুষ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন, যা তাঁর সবচেয়ে প্রশংসিত কাজ হিসেবেও বিবেচিত হয়।[২] ২০০৫ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক অঞ্জন দাস তাঁর রাণীঘাটের বৃত্তান্ত ছোটগল্প অবলম্বনে ফালতু ছবিটি নির্মাণ করেন। তিনি প্রায় ১৫০টি উপন্যাস এবং ৩০০টি ছোটগল্প রচনা করেছেন।[২] তিনি গোয়েন্দা চরিত্র কর্নেল নীলাদ্রি সরকারের স্রষ্টা।[৩]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ মুর্শিদাবাদ খোশবাসপুর গ্রামে ১৯৩০ সালে অক্টোবর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে বাড়ি থেকে পলাতক কিশোরের জীবন অতিবাহিত করেছেন। রাঢ় বাংলার লোকনাট্য "আলকাপের" সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাচ-গান-অভিনয়ে অংশ নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন৷ তিনি ছিলেন 'আলকাপ' দলের "ওস্তাদ" (গুরু)। নাচ-গানের প্রশিক্ষক। নিজে আলকাপের আসরে বসে হ্যাজাগের (পেট্রোম্যাক্স) আলোয় দর্শকের সামনে বাঁশের বাঁশি বাজাতেন। নিজের দল নিয়ে ঘুরেছেন সারা পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, এমনকি বিহার-ঝাড়খন্ডেও। তাই পরবর্তী জীবনে কলকাতায় বাস করলেও নিজেকে কলকাতায় প্রবাসী ভাবতেই ভালোবাসতেন। সুযোগ পেলেই বার বার মুর্শিদাবাদের গ্রামে পালিয়ে যেতেন। সেই পলাতক কিশোর তার চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। ঘুরতেন সেই রাখাল বালকের মাঠে, হিজলের বিলে, ঘাসবন ও উলুখড়ের জঙ্গলে, পাখির ঠোঁটে খড়কুটো আর হট্টিটির নীলাভ ডিম -সেই মায়াময় আদিম স্যাঁতসেতে জগতে।

তার পিতার সঙ্গে বর্ধমানের কর্ড লাইনে নবগ্রাম রেল স্টেশনের কাছে কিছুদিন ছিলেন। সেখানে গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। সেই নবগ্রাম গোপালপুরের প্রেক্ষাপটে তিনি লিখেছিলেন 'প্রেমের প্রথম পাঠ' উপন্যাস। তার লেখকজীবনের প্রথম দিকের উপন্যাস। গোপালপুর থেকে পাশ করে তিনি ভর্তি হন বহরমপুর কলেজে।[৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তার "ইন্তি, পিসি ও ঘাটবাবু", "ভালোবাসা ও ডাউনট্রেন", "তরঙ্গিনীর চোখ", "জল সাপ ভালোবাসা", "হিজলবিলের রাখালেরা", "নৃশংস", "রণভূমি", "মাটি", "উড়োপাখির ছায়া", "রক্তের প্রত্যাশা", "মানুষের জন্ম", "মৃত্যুর ঘোড়া", "গোঘ্ন", "রানীরঘাটের বৃত্তান্ত", ইত্যাদি অসংখ্য ছোটগল্পের জন্য বিশ্বসাহিত্যের দরবারে স্থায়ী আসন পেয়েছেন। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে একঝাঁক লেখক বাংলা সাহিত্যে উদিত হন, যেমন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বরেন গঙ্গোপাধ্যায়, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, যশোদাজীবন বন্দ্যোপাধ্যায়, রতন ভট্টাচার্য, স্মরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মতি নন্দী -- এঁদেরই সঙ্গে আবির্ভাব ঘটে সিরাজের । তবে তার অভিজ্ঞতা ছিল বিপুল, তার বিচরণ ক্ষেত্র ছিল দ্বারকা নদীর অববাহিকায় আদিম প্রবৃত্তিতে ভরা নারীপুরুষ ও উন্মুক্ত প্রকৃতি। এই এলাকার নাম ' হিজল' যা কান্দী মহকুমার অন্তর্গত। তার 'হিজলকন্যা" উপন্যাসে সেই অঞ্চলের নরনারীকে ধরা আছে । মুস্তাফা সিরাজ কলকাতায় পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন ষাটের দশকের শুরুতে৷ দীর্ঘদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিক হিসাবে চাকরি ও লেখালেখি সমানতা

তার "ইন্তি, পিসি ও ঘাটবাবু", "ভালোবাসা ও ডাউনট্রেন", "তরঙ্গিনীর চোখ", "জল সাপ ভালোবাসা", "হিজলবিলের রাখালেরা", "নৃশংস", "রণভূমি", "মাটি", ↵"উড়োপাখির ছায়া", "রক্তের প্রত্যাশা", "মানুষের জন্ম", "মৃত্যুর ঘোড়া", "গোঘ্ন", "রানীরঘাটের বৃত্তান্ত", ইত্যাদি অসংখ্য ছোটগল্পের জন্য বিশ্বসাহিত্যের দরবারে স্থায়ী আসন পেয়েছেন। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে একঝাঁক লেখক বাংলা সাহিত্যে উদিত হন, যেমন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বরেন গঙ্গোপাধ্যায়, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, যশোদাজীবন বন্দ্যোপাধ্যায়, রতন ভট্টাচার্য, স্মরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মতি নন্দী -- এঁদেরই সঙ্গে আবির্ভাব ঘটে সিরাজের । তবে তার অভিজ্ঞতা ছিল বিপুল, তার বিচরণ ক্ষেত্র ছিল দ্বারকা নদীর অববাহিকায় আদিম প্রবৃত্তিতে ভরা নারীপুরুষ ও উন্মুক্ত প্রকৃতি। এই এলাকার নাম ' হিজল' যা কান্দী মহকুমার অন্তর্গত। তার 'হিজলকন্যা" উপন্যাসে সেই অঞ্চলের নরনারীকে ধরা আছে । মুস্তাফা সিরাজ কলকাতায় পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন ষাটের দশকের শুরুতে৷ দীর্ঘদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিক হিসাবে চাকরি ও লেখালেখি সমানতালে চালিয়ে গেছেন৷ তাঁর জ্ঞান ও অধীত বিদ্যাসমূহ ও প্রগতিশীল মুক্তচিন্তা তাঁকে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হিসাবে বিদ্বানসমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে৷ ইতিহাস,সমাজতত্ত্ব , নৃতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, বিজ্ঞান, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব -- সব বিষয়েই তাঁর জ্ঞান ও বিদ্যার গভীরতা তাঁকে পণ্ডিতমহলে পরিচিত করে তুলেছে।এবং তিনি নানা কাজ করেছেন।

সাহিত্যিক জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখক সত্তায় জড়িয়ে ছিল রাঢ়ের রুক্ষ মাটি। মুর্শিদাবাদের পাশের জেলা বীরভূম। যেখানে লাভপুর গ্রামে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। একই জলহাওয়া তাঁদের দুজনকেই প্রাণোন্মাদনা দিয়েছিল। তাই তারাশঙ্কর বলতেন, "আমার পরেই সিরাজ, সিরাজই আমার পরে অধিষ্ঠান করবে।" তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে সিরাজ বলেছেন , " তারাশঙ্কর তো হিমালয় , আমি তাঁর তুলনায় উইঢিবি মাত্র "

তার "ভারতবর্ষ, ইন্তি, পিসি ও ঘাটবাবু", "ভালোবাসা ও ডাউনট্রেন"(দেশ-এ প্রকাশিত প্রথম গল্প), "তরঙ্গিনীর চোখ","জল সাপ ভালোবাসা", "হিজলবিলের রাখালেরা", "রণভূমি", "উড়োপাখির ছায়া", "রক্তের প্রত্যাশা", "মৃত্যুর ঘোড়া", "গোঘ্ন", "রানীরঘাটের বৃত্তান্ত", ইত্যাদি অসংখ্য ছোটগল্প অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে । তার প্রথম মুদ্রিত উপন্যাস - "নীলঘরের নটী"। পর পর প্রকাশিত হয় "পিঞ্জর সোহাগিনী", "কিংবদন্তির নায়ক","হিজলকন্যা","আশমানতারা", "উত্তর জাহ্নবী", "তৃণভূমি", "প্রেমের প্রথম পাঠ", "বন্যা","নিশিমৃগয়া","কামনার সুখদুঃখ", "নিশিলতা", "এক বোন পারুল", "কৃষ্ণা বাড়ি ফেরেনি", "নৃশংস","রোডসাহেব", "জানগুরু" ইত্যাদি ইত্যাদি৷ তার গল্প ও একাধিক গ্রন্থ ভারতের সমস্ত স্বীকৃত ভাষায় অনূদিত হয়েছে, এমনকি ইংরেজি তো বটেই, বিশ্বের বহু ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে৷

তার লেখা 'তৃণভূমি" উপন্যাসে কান্দি মহকুমার এক বৃহৎ অঞ্চল ধরা আছে। "উত্তর জাহ্নবী" উপন্যাসে ধরা আছে এক বিশেষ সময় ও সমাজের কথা, যা বাংলা সাহিত্যে অনাস্বাদিত। আর "অলীক মানুষ" এক বিস্তৃত ভুবনের কাহিনী, যা এক মুসলিম পির বা ধর্মগুরুর বংশে জাত পুরুষের আত্মানুসন্ধান। ব্রিটিশের রাজত্বের শেষভাগে এক পরিবর্তনীয় সময়ের নিখুঁত স্থির ছবি। এই অলীক মানুষ তাকে ভিন্ন লেখকের মর্যাদার চূড়ান্ত শিখরে উন্নীত করেছে।

কিশোর ও প্রাপ্তব়স্ক পাঠকদের দাবি মেটাতে তিনি সৃষ্টি করলেন "গোয়েন্দা কর্নেল" নামে একটি চরিত্র। এনার পুরো নাম কর্নেল নীলাদ্রি সরকার। যাঁর মাথা জোড়া টাক, ঠোঁটে চুরুট, অবসরপ্রাপ্ত মিলিটারি অফিসার, এখন প্রজাপতি ও পাখি দেখতে ভালোবাসেন। ভালোবাসেন বিভিন্ন অর্কিড সংগ্রহ করতে। নিজেকে প্রকৃতিপ্রেমিক হিসেবে পরিচয় দিতে ভালবাসেন অথচ তিনি অনেক অপরাধ ও হত্যার কিনারা করে শখের গোয়েন্দাগিরি করেন৷ গোয়েন্দা কর্নেল পাঠকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। সিরাজ কিশোরদের জন্যে কর্নেল কাহিনী লিখলেও বড়দের জন্যই মূলত লিখেছেন। কিশোরদের জন্য কর্নেল কাহিনি লেখেন "আনন্দমেলা" পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুরোধে। দেজ পাবলিশিং এর উদ্যোগে 'কর্নেল সমগ্র' ১৭ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। কিশোরদের কথা মাথায় রেখে, "কিশোর কর্নেল সমগ্র" প্রকাশিত হয়েছে ৪ খন্ডে । অনেকের ধারণা, কর্নেলের যে চেহারা ও অবয়ব চিত্রিত হয়েছে তা নাকি ফাদার দ্যতিয়েনের সঙ্গে মিলে যায়। স্বয়ং সত্যজিৎ রায় কর্নেলের গল্পে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সিরাজ পরবর্তীকালে আরো একটি গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করেন পরিনতমনস্ক পাঠকদের জন্যে। তিনি ছিলেন 'ইনস্পেকটর ব্রহ্ম'।

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান ছিল প্রবল। সংবাদপত্রে চাকরি করলেও কোনও মালিকানাগোষ্ঠীর কাছে মাথা নিচু করেন নি । 'অলীক মানুষ' উপন্যাস ছাপা হয় ধারাবাহিকভাবে 'চতুরঙ্গ' নামে একটি লিট্‌ল ম্যাগাজিনে। "তৃণভূমি" ছাপা হয় অধুনালুপ্ত 'ধ্বনি' নামক এক ছোট পত্রিকায়। বড় পত্রিকায় চাকরি করলেও তার সেরা উপন্যাসগুলি ছাপা হয়েছে ছোট পত্রিকায়। লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকদের প্রতি ছিল তার সস্নেহ পক্ষপাত। মিডিয়ার আলো ও প্রচারের প্রতি তার আকুলতা ছিল না। নিজের আত্মসম্মানবোধ নিয়ে প্রায় একা উন্নত গ্রীবায় ছোট ফ্ল্যাটে জীবনকে কাটিয়ে গেছেন। মাথা উঁচু করে থাকার দর্পী মনোভাবের জন্য তাকে অনেক মনঃকষ্ট পেতে হলেও তিনি দমে যান নি। তার পাঠকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল মধুর। তার ব্যবহারে ও আচরণে ছিল পরিশীলিত ভদ্রতা ও আন্তরিকতা।[৫]

ভৌতিক গল্প[সম্পাদনা]

সিরাজের লেখা ভৌতিক গল্পের সংখ্যা প্রচুর। তাঁর লেখা অনেক ভৌতিক কাহিনী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে হলেও , মূলত ছোটদের কথা মাথায় রেখেই লিখেছেন তাঁর সিংহভাগ ভৌতিক কাহিনী। প্রসঙ্গত , বাংলার " হরর কমেডি " ধারার অন্যতম প্রাণপুরুষ তিনিই । তাঁর আগে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়রাজশেখর বসু (পরশুরাম) এই ধারার কিছু গল্প লিখে গেলেও, বাংলা সাহিত্যের হরর কমেডির শাখায় তাঁর বিরাট অবদান রয়েছে । আধুনিক কালের বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাঁর " অদ্ভুতুড়ে সিরিজ" এর মাধ্যমে এই ধারার সমৃদ্ধি ঘটান। মুরারিবাবু , ডন, ছোটমামা, মোনা ওঝা, গজপতি, ভবভূতি ইত্যাদি ছোট ছোট চরিত্র তাঁর ভৌতিক গল্পে ফিরে এসেছে বারে বারে। রেডিও মির্চি র জনপ্রিয় বেতার অনুষ্ঠান "সানডে সাসপেন্স" এ তাঁর লেখা প্রচুর ভৌতিক কাহিনী সম্প্রচারিত হয়েছে। সিরাজের ভৌতিক গল্পগুলি হল

  • আজমগড়ের অশরীরী
  • খুলি যদি বদলে যায়
  • হরির হোটেল
  • ভূতে-মানুষে
  • তিন-আঙুলে দাদা
  • সেই সব ভূত
  • ডনের ভূত
  • রাতের মানুষ
  • চোর বনাম ভূত
  • রাতদুপুরে অন্ধকারে
  • আম কুড়োতে সাবধান
  • সত্যি ভূত মিথ্যে ভূত
  • ছুটির ঘণ্টা
  • ভুতুড়ে ফুটবল
  • ম্যাজিশিয়ান-মামা
  • ভৌতিক বাদুড় বৃত্তান্ত
  • তুতানখামেনের গুপ্তধন
  • মুরারিবাবুর মোটরগাড়ি
  • ভুতুড়ে বেড়াল
  • ঝড়ে-জলে-অন্ধকারে
  • কেংকেলাস
  • মুরারিবাবুর টেবিলঘড়ি
  • স্টেশনের নাম ঘুমঘুমি
  • কালো ছড়ি
  • ভূত নয় অদ্ভুত
  • অদ্ভুত যত ভূত
  • মুরারিবাবুর আলমারি
  • শ্যামখুড়োর কুটির
  • বাঁচা-মরা
  • অন্ধকারে রাতবিরেতে
  • কেক্রাদিহির দণ্ডীবাবা
  • অদলবদল
  • জটায়ুর পালক
  • অলৌকিক আধুলি রহস্য
  • চোরাবালির চোর
  • পি-থ্রি বুড়ো
  • নিঝুম রাতের আতঙ্ক
  • ডাকিনীতলার বুড়ো যখ
  • আসল ভূতের গল্প
  • বকুলগাছের লোকটা
  • ঘুঘুডাঙার ব্রহ্মদৈত্য
  • ছক্কামিয়ার টমটম
  • হাওয়া-বাতাস
  • মানুষ ভূতের গল্প
  • গেছোবাবার বৃত্তান্ত
  • শনি-সন্ধ্যার পঞ্চভূত
  • জোৎস্নায় মৃত্যুর ঘ্রাণ
  • তিন নম্বর ভূত
  • জ্যোৎস্নারাতে আপদ-বিপদ
  • চোর-পুলিশ
  • ভুতুড়ে চশমা
  • রাতের আলাপ
  • শর্মার বকলমে
  • বৃষ্টিরাতের আপদ-বিপদ
  • তেরো ভূতের গল্প
  • দারোগা, ভূত ও চোর
  • দুই বন্ধু
  • ভূতের চেয়ে সাংঘাতিক
  • বাঁটুবাবুর টাট্টু
  • বিবেকবধের পালা
  • রাত-বিরেতে
  • আধি ভৌতিক
  • যার যা খাদ্য
  • কালো ঘোড়া
  • মাছ ধরার আপদ-বিপদ
  • ভয়ভুতুড়ে
  • কৃতান্তবাবুর কাঁকুলে যাত্রা
  • বোতল যখন কোকিল হয়
  • কালো বেড়াল
  • বহুপ্রকার ভূত
  • মুরগিখেকো মামদো
  • দাড়িবাবাদের কবলে
  • মুরারিবাবুর দেখা লোকটা
  • ভৌতিক অ্যাডভেঞ্চার
  • ছায়াসঙ্গীনী
  • ঘর
  • মতিবিবির দরগা
  • সামুদ্রিক
  • সাদা মোটরগাড়ি
  • কেকরাডিহির বৃত্তান্ত
  • কাটিহারের গঙ্গারাম
  • ও অন্যান্য গল্প

গ্রন্থতালিকা[সম্পাদনা]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'অলীক মানুষ' উপন্যাসটি ভারত সরকারের সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্কিম পুরস্কার - এসব ছাড়াও ভুয়ালকা পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত। তার 'অমর্ত্য প্রেমকথা' বইয়ের জন্য জন্য তিনি পেয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত নরসিংহদাস স্মৃতিপুরস্কার। এছাড়া ১৯৭৯ সালে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার । পেয়েছেন বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার, সুশীলা দেবী বিড়লা স্মৃতি পুরস্কার, দিল্লির OUF সংস্থার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কার, শরৎচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার , বিদ্যাসাগর পুরস্কার , দীনেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ইত্যাদি আরও অনেক পুরস্কার তিনি তার সামগ্রিক সাহিত্য-কৃতিত্বের জন্য পেয়েছেন। তার অনেক কাহিনী চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে, যেমন 'কামনার সুখ দুঃখ' উপন্যাস অবলম্বনে 'শঙ্খবিষ"। দীনেন গুপ্তের পরিচালনায় 'নিশিমৃগয়া'। উত্তমকুমার অভিনীত 'আনন্দমেলা'। অঞ্জন দাশ পরিচালনা করেছেন সিরাজের ছোটগল্প 'রানীরঘাটের বৃত্তান্ত' অবলম্বনে ফালতু। সিরাজের "মানুষ ভূত" কাহিনী চলচ্চিত্র ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চে ক্রমাগত অভিনীত হয়ে চলেছে। এই স্কুল পালানো মানুষটিই পেয়েছিলেন সাম্মানিক ডক্টরেট উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sangeeta Barooah Pisharoty (২৬ আগস্ট ২০১২)। "So says Siraj"The Hindu। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  2. Ziya Us Salam (৫ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Voice of the 'other' India falls silent"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  3. "Literary world to miss its bohemian genius"The Times of India। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১২ 
  4. "সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ"বিকাশপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭ 
  5. শান্তি সিংহ। "ব্যতিক্রমী জীবনের কথাশিল্পী সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ"। কালি ও কলম। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]