সিন্দুরমতি দিঘি

স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৮′৪৭″ উত্তর ৮৯°৩১′০২″ পূর্ব / ২৫.৮১৩০৫৯২° উত্তর ৮৯.৫১৭১১১২° পূর্ব / 25.8130592; 89.5171112
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিন্দুরমতি দিঘি
সিন্দুরমতি দিঘি 02.jpg
বিজয়া দশমী ২০২০ ইং
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলালালমনিরহাট জেলা
অবস্থান
অবস্থানসিন্দুরমতি
দেশবাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৫°৪৮′৪৭″ উত্তর ৮৯°৩১′০২″ পূর্ব / ২৫.৮১৩০৫৯২° উত্তর ৮৯.৫১৭১১১২° পূর্ব / 25.8130592; 89.5171112
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীজমিদার রাজ নারায়ন চক্রবর্তী

কুড়িগ্রাম জেলা এবং লালমনিরহাট জেলার সীমান্তে সিন্দুরমতি মৌজায় ১৬.৫ একর জায়গা জুড়ে সিন্দুরমতি দিঘি অবস্থিত । দিঘিটি হিন্দু ধর্মের মানুষদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থস্থান। ১৯৭৫ এ সরকারি উদ্যোগে এই দিঘি সংস্কারের সময় প্রাচীন কালের অনেক মুদ্রা ও মূর্তি পাওয়া যায় যা বর্তমানে জাতীয় যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ।[১] [২] [৩]

ইতিহাস ও নামকরণ[সম্পাদনা]

কথিত আছে জনৈক হিন্দু জমিদার রাজ নারায়ন চক্রবর্তী সন্তান লাভের বাসনায় এই দিঘিটি খনন করেন। তার দুটি কণ্যা সন্তান হলে নাম রাখেন সিন্দুর ও মতি । কিন্তু খনন কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেখা যায় জল উঠছে না। স্বপ্নাদেশ প্রপ্ত হয়ে জমিদার নবমীর দিনে পূজার আয়োজন করেন। পূজার আয়োজন করা হয় দিঘির ঠিক মাঝখানে। তার দুই মেয়ে সিন্দুর ও মতি সেখানে অবস্থান করছিল। পূজা সমাপ্ত হওয়ার আগেই হঠাৎ প্রবল বেগে পানি উঠা শুরু হয় । সকলেই পাড়ে উঠলেও সিন্দুর ও মতি অথৈ জলে তলিয়ে যায়। পরে জমিদার স্বপ্নে দেখেন তার দুই মেয়ে দেবত্ব প্রাপ্ত হয়ে অমরত্ব লাভ করেছে। সেই থেকে এই দিঘির নাম হয় সিন্দুরমতি । কালক্রমে ঐ স্থানের নাম হয়ে সিন্দুরমতি ।[৪] [৫] [৬]

মন্দিরগুলি[সম্পাদনা]

সিন্দুরমতি দিঘিতে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরগুলি:

  • দুর্গা মন্দির
  • কৃষ্ণ মন্দির
  • বিষ্ণু মন্দির
  • রাম মন্দির
  • কালী মন্দির

সিন্দুরমতির মেলা[সম্পাদনা]

প্রতি বছর চৈত্র মাসের নবমী তিথিতে পুকুরটিতে বিরাট মেলা ও অন্যান্য পূজা অর্চনা হয়ে থাকে । এই উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু পূণ্যার্থীর আগমনে এলাকাটি জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে ।[৭] পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও অনেক ভক্ত এই মেলায় যোগ দেয়।[৮]

অন্যান্য[সম্পাদনা]

প্রতিবছর কার্তিক মাসের সমাপ্তি দিবসে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই সিন্দুরমতির স্নান ঘাটে পুণ্য দীপদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।[৯] বর্তমান সময়ে এখানে একটি ধর্মীয় গ্রন্থাগার ও প্রতিষ্ঠিত হয়।

চিত্রসম্ভর[সম্পাদনা]


তথ্য সূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কুড়িগ্রাম জেলা"www.kurigram.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Correspondent, Our; Lalmonirhat (২০১১-০৪-১৩)। "Sindurmoti Mela held in Lalmonirhat"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৪ 
  3. সরকার, স্বপন। "সিন্দুরমতি দিঘিকে ঘিরে যত কথা (ভিডিওসহ)"bdnews24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৪ 
  4. "Name and description of historical, archaeological and architectural monuments tourist attractions"Bangladesh Parjatan Corporation 
  5. সরকার, স্বপন। "সিন্দুরমতি দিঘিকে ঘিরে যত কথা (ভিডিওসহ)"bdnews24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৪ 
  6. "কুড়িগ্রামের সিন্দুরমতি দিঘি কাহিনী"The Dhaka Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৪ 
  7. নান্দনিক সৌন্দর্যের আঁধার সিন্দুরমতি দিঘী | Sindurmati Dighi | Historical Place of Kurigram (ইংরেজি ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৪ 
  8. Correspondent, Our; Lalmonirhat (২০১১-০৪-১৩)। "Sindurmoti Mela held in Lalmonirhat"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৪ 
  9. "কার্তিকা পূজায় সিন্দুরমতি স্নান ঘাটে পুণ্য দীপদান | daily tolper"dailytolper.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]