বিষয়বস্তুতে চলুন

লাঙ্গলবন্দ

স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৮′৪৮″ উত্তর ৯০°৩৩′৪৭″ পূর্ব / ২৩.৬৪৬৮° উত্তর ৯০.৫৬৩১° পূর্ব / 23.6468; 90.5631
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব
লাঙ্গলবন্দ স্নান
১৯০৬ সালে ফ্রান্সিস ব্র্যাডলি ব্র্যাডলি-বার্টের তোলা ছবি
ধরনধর্মীয়, সাংস্কৃতিক
তারিখ (সমূহ)চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথি
পুনরাবৃত্তিবার্ষিক
ঘটনাস্থললাঙ্গলবন্দ, নারায়ণগঞ্জ
স্থানাঙ্ক২৩°৩৮′৪৮″ উত্তর ৯০°৩৩′৪৭″ পূর্ব / ২৩.৬৪৬৮° উত্তর ৯০.৫৬৩১° পূর্ব / 23.6468; 90.5631
দেশবাংলাদেশ
অতি সাম্প্রতিক২৯ মার্চ ২০২৩
পরবর্তী ঘটনা১৬ এপ্রিল ২০২৪
অংশগ্রহণকারী১৫ লাখ []

লাঙ্গলবন্দ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত একটি পবিত্র হিন্দু তীর্থস্থান। চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অসংখ্য পুণ্যার্থী এখানে পুণ্যস্নানের জন্য আসেন। কিংবদন্তি অনুসারে, লাঙ্গলবন্দের এ জলধারায় স্নান করে পরশুরাম মুনি পাপমুক্ত হয়েছিলেন। শাস্ত্রোক্ত পরশুরাম মুনির পাপমুক্তির কথা স্মরণ করেই বহু বছর ধরে পুণ্যার্থীরা এই অষ্টমী-পুণ্যস্নান করে আসছেন। মনে করা হয় চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জগতের সকল পবিত্র স্থানের পুণ্য ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানের সময় ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়।

প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপসহ দেশি-বিদেশি পুণ্যার্থীরা লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নানে আসে।[]

আগত ভক্তবৃন্দ যাতে নির্বিঘ্নে পুণ্যস্নান করতে পারেন সেজন্য এখানে অনেক ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধানো ঘাটগুলোর বিভিন্ন নান্দনিক নাম রয়েছে। যেমন - অন্নপূর্ণা ঘাট, প্রেমতলা ঘাট, জয়কালী ঘাট, বরদেশ্বরী ঘাট, গান্ধী ঘাট, শংকরঘাট, কালীদহ ঘাট, শিখরী ঘাট ইত্যাদি। এই ঘাটগুলোর পাশাপাশি এখানে অনেক মন্দির ও আশ্রম গড়ে উঠেছে।[]

নিরাপত্তাব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পোশাকে-সাদাপোশাকে ১ হাজার ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুণ্যার্থীদের আনাগোনার কারণে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ে ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে শতাধিক ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে।[]

২০১৫ সালের পদদলিত

[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের ২৭ মার্চ বার্ষিক মেলা চলাকালীন স্নানের জন্য লাঙ্গলবন্ধে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি ভক্ত ভিড় করেছিলেন।[] হিন্দুদের পবিত্র স্নান অনুষ্ঠান 'অষ্টমী স্নান' চলাকালীন ভিড়ে পদদলিত হয়ে দশ হিন্দু ধর্মালম্বী নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন।[] অপ্রত্যাশিতভাবে বিশাল জনসমাগম এবং কর্তৃপক্ষের যথাযথ প্রস্তুতির অভাব এই পদদলিত হয়ে প্রাণহানির জন্য ভূমিকা রেখেছে বলে জানা যায়।[]

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Palash, Mojibul Haque (২৭ মার্চ ২০১৫)। "10 die in stampede during Hindu religious gathering in Narayanganj"bdnews24.com। ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৫ 
  2. প্রতিনিধি। "মহা অষ্টমীর স্নানে লাখো পুণ্যার্থীতে মুখর লাঙ্গলবন্দ"www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৪ 
  3. প্রতিনিধি। "মহা অষ্টমীর স্নানে লাখো পুণ্যার্থীতে মুখর লাঙ্গলবন্দ"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৪ 
  4. প্রতিনিধি। "মহা অষ্টমীর স্নানে লাখো পুণ্যার্থীতে মুখর লাঙ্গলবন্দ"www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৪ 
  5. "10 killed in Langalbandh Astami Snan stampede"। The Independent। ২৮ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]