সিইএসসি সুড়ঙ্গ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সিইএসসি সুড়ঙ্গ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার হুগলী নদীর তলদেশে অবস্থিত। এটি এশিয়া মহাদেশের প্রথম নদী সুড়ঙ্গ, যা ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল।[১] এই সুড়ঙ্গটি কলকাতা থেকে হাওড়াতে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সিইএসসি সুড়ঙ্গের পরিকল্পনা ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে করা হয়। এটির নকশা তৈরি করেন বয়লার বিশেষজ্ঞ জন লরেন্স এবং স্যার হার্লে হিউজ ডালরিম্প্লে, যিনি এই প্রোজেক্টটির প্রধান ছিলেন।

এশিয়ার প্রথম নদী সুড়ঙ্গটি সম্পুর্ন তৈরী হতে ১৭ মাস লেগেছিল। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে, হাওড়াতে হুগলী নদীর তীরে, ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি কূপ খননের মাধ্যমে এই কাজের সূচনা হয়। এক মাস পরে নদীর অপর পাড়ে, কলকাতার মেটিয়াব্রুজে, একই রকম আরও একটি কূপ খনন শুরু হয়। প্রথম চার মাস কূপ দুটির খনন কাজ চলে। তারপর মেটিয়াব্রুজের দিক থেকে, নদীর ৩৩.৫ মি. তলদেশে, ০.৫৩৯ কি.মি. সুড়ঙ্গ খননের কাজ চলে। অবশেষে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে সুড়ঙ্গটির কাজ সমাপ্ত হয়।[২]

আধুনিক টানেল বোরিং মেশিনে নয়, সিইএসসি সুড়ঙ্গটি নির্মিত হয়েছিল শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে কোদাল, বেলচা প্রভৃতি সাধারণ যন্ত্রপাতির সাহায্যে। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে আসা পরিশ্রমী শ্রমিকেরা এই সুুড়ঙ্গটি খনন করে এবং তার দেওয়ালে কাষ্ট আয়রনের রিংগুলি প্রতিস্থাপন করে। নির্মাণ কাজ চলাকালীন দুইজন ভারতীয় শ্রমিক ও নরমাল স্মিথ নামে একজন ব্রিটিশের মৃত্যু ঘটে।

গুরুত্ব[সম্পাদনা]

কলকাতা মেট্রোর প্রকৌশলীরা সিইএসসি সুড়ঙ্গটি বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ করেছিলেন, কলকাতার ইষ্ট ওয়েস্ট মেট্রো সুড়ঙ্গ নির্মাণের জন্য।[৩] এই সুড়ঙ্গটি সিইএসসি লিমিটেড কোম্পানির বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।

তথ্যসুত্র[সম্পাদনা]

  1. "CESC is among the country's most efficient utilities"Business Today (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৬-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫ 
  2. Apr 18, TNN /; 2017; Ist, 06:24। "Kolkata Metro: 87 years on, boring re-creates CESC feat | Kolkata News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫ 
  3. "https://mobile.twitter.com/cesclimited/status/492194994258972672"Twitter। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)