সাঈদ হাসান সামুর
সাঈদ হাসান সামুর | |
---|---|
سعيد حسن سمور | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | সাঈদ বিন হাসান সামুর ১৯১৭ তুলকারম |
মৃত্যু | ৩০ আগস্ট ১৯৮২ |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ফিলিস্তিনি |
সন্তান | ১০ জন |
প্রধান আগ্রহ | কুরআন আবৃত্তি |
উল্লেখযোগ্য কাজ | কুরআন আবৃত্তি |
যেখানের শিক্ষার্থী | জামিয়া ফাজিলিয়া আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় |
যে জন্য পরিচিত | কিরাআত |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষার্থী
|
ক্বারী শাইখ সাঈদ হাসান সামুর (১৯১৭ - ৩০ আগস্ট ১৯৮২) হলেন একজন শাইখ, ইসলামি পণ্ডিত, আইনবিদ ও ক্বারী (কুরআন আবৃত্তিকারী)।[১] তিনি ফিলিস্তিনের শহর তুলকারমে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। তিনি সিরিয়া ও আরব বিশ্বের একজন জনপ্রিয় ক্বারী।[২][৩] তিনি তৎকালীন সময়ের আরবের রেডিও স্টেশনগুলোতে কুরআন আবৃত্তিকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
শাইখ সাঈদ বিন হাসান সামুর ১৯১৭ সালে ফিলিস্তিনের তুলকারম শহরের একটি বিখ্যাত শিক্ষায়তনিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন। তিনি তুলকারমের বেশ কিছু আলেমদের নিকট ইসলামি আইনশাস্ত্র ও কুরআন অধ্যয়ন করেন। এরপর যুবক বয়সে তিনি তুলকারমের মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কুরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। [2]
এরপর তিনি ১৯৩৭ সালে কায়রোতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে তিনি আশ-শাতাবিয়্যাহ্ নিয়মে ইমাম আসিম কর্তৃক বর্ণিত ইমাম হাফসের কুরআন আবৃত্তিপদ্ধতি অধ্যয়ন করেন এবং এটি আয়ত্ত করেন এবং নবি মুহাম্মদ পর্যন্ত ধারাবাহিকতার একটি সনদ লাভকরে, অতপর তুলকরমে ফিরে আসেন। [2]
১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দামেস্কে গমন করেন এবং ইসআফুল খাইর স্কুল এবং ইনস্টিটিউট ফর দ্য রিভাইভাল অফ ইসলামিক সায়েন্সেস-এ পড়াশোনা করেন এবং ১৯৬০ সালে সিরিয়ার আরব রেডিওতে কুরআনের অস্তিত্ব ও পার্থক্য ব্যাখ্যা করে প্রশংসাপত্র লাভ করেন। [2]
শাইখ সাঈদ সামুর ফিলিস্তিন ও জর্ডানের বেশ কয়েকটি মসজিদের ইমাম ছিলেন এবং জর্ডানে কুরআন অধ্যয়নের জন্য একটি শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি কুরআনের বেশ কয়েকটি প্রতিলিপিকৃত মুদ্রণ পরীক্ষা করতেও অবদান রেখেছিলেন এবং জর্ডানের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। [2]
তার শিক্ষকদের মধ্যে শাইখ উসমান বিন সুলাইমান মুরাদ অন্যতম।[4][5][6]
উল্লেখযোগ্য ছাত্র[সম্পাদনা]
তার বহু ছাত্র রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেন:
- শাইখ মাহমুদ আব্দুল কাদের ইদ্রিস। [7] [1]
- শরিয়ত বিষয়ক অধ্যাপক শাইখ বাসাম আলী সালামত আল-আমুশ। [2]
- শাইখ আম্মার তাওফিক আহমেদ বাদাভি। [2]
- শাইখ শুয়াইশ আল-মুহামিদ। [3]