সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ (সৌদি আরব)
সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ (আরবি: مجلس هيئة كبار العلماء, প্রতিবর্ণীকৃত: মাজলিসু হায়য়াতি কিবার আল-উলামা, বা উচ্চ উলামা পরিষদ হচ্ছে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ সরকারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এটি ধর্মীয় বিষয়ে সৌদি বাদশাহকে পরামর্শ দেয়। বাদশাহ পরিষদের সদস্য নিয়োগ করেন এবং সরকার কর্তৃক তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়। সৌদি আরবের ফিকাহ বিষয়ক সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ উলামাগণ এর সদস্য এবং সৌদি আরবের প্রধান মুফতি এর প্রধান। এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রধান হচ্ছেন আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ আল আশ-শাইখ। উনার আগে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবনে বায। ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে এক সরকারি আদেশে, বাদশাহ আব্দুল্লাহ সর্বোচ্চ উলামা পরিষদকে বাড়িয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট করেন এবং শুধু হাম্বলী মাযহাব নয়, বরং সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চারটি সুন্নি ফিকহী মাযহাব থেকেই উলামাদের সদস্যপদ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। [১] ২০১০ সালে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ ঘোষণা করেন যে, সৌদি আরবে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত উলামাগণই ফতোয়া জারি করার অনুমতি পাবেন, উদাহরণস্বরূপ ২১ সদস্যের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ এবং (চার বা পাঁচজন) স্থায়ী কমিটির সদস্য, যাদেরকে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ থেকেই নেয়া হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল ইবনে আব্দুল আজিজ ২৯শে আগস্ট, ১৯৭১ সালে (০৮ই রজব ১৩৯১ হিজরী) একটি রাজকীয় আদেশের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। পরিষদ চাইলে সৌদি উলামাদের পাশাপাশি বিদেশী উলামাগণকেও নিয়োগ দিতে পারেন। এর অধীনে একটি স্থায়ী কমিটি থাকে, যার সদস্যদের রাজকীয় আদেশ দ্বারা নিয়োগ করা হয়।
পরিষদের লক্ষ্য ইলমী গবেষণা করা, ব্যক্তিগত বিষয়গুলিতে ফতোয়া দেয়া, ইবাদত এবং ব্যক্তিগত লেনদেনের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা। এর আলোকে প্রত্যেক গবেষণা শেষে সঠিক ফতোয়া জারি করা হয়। রাজকীয় আদেশের মাধ্যমে, পরিষদের তত্ত্বাবধানে ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিষদের একজন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হয় এবং পরিষদের সাথে ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
১৯৭১ সালে ইব্রাহিম আল-শেখকে ইলমী গবেষণা, ইফতা, দাওয়াহ ও গাইডেন্স বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বাযকে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ করার জন্য একটি আদেশ জারি করা হয়, যার নাম ছিল ইলমী গবেষণা, ইফতা, দাওয়াহ ও পথনির্দেশনা বিষয়ক সাধারণ প্রেসিডেন্সি। ১৯৭৭ সালে শাইখ আবদুল রাজ্জাক আফিফীকে ইলমী গবেষণা, ইফতা, দাওয়াহ ও পথনির্দেশনা বিভাগের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগের জন্য একটি রাজকীয় আদেশ জারি করা হয়। আব্দুল্লাহ বিন হাসান বিন কুদকেও সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের এবং একাডেমিক গবেষণা ও ফতোয়া স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৮৭ সালে সালেহ বিন ফাওযান আল ফাওযান, মোহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল রহমান আল বাশাম ও হাসান বিন জাফর আল আতিমী সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য নিযুক্ত হন।
১৯৮০ সালে রাজকীয় আদেশে শাইখ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল-শেখকে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর আরেকটি আদেশ নাসির বিন হামাদ বিন রশিদ, মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন সাবিল, মোহাম্মদ বিন সুলায়মান আল-বদর, হামজা আল-মারজৌকি, আব্দুল্লাহ বিন আবদুল মহসিন আল-তুর্কী, মুহাম্মদ ইবনে জায়েদ আল-সুলাইমান, বকর বিন আব্দুল্লাহ আবু জায়েদ, আব্দুল ওয়াহাব ইবনে ইব্রাহীম আবু সুলেমান, সালেহ বিন আব্দুল রহমান আল-আরামাম এবং আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল-শেখকে নিয়োগ দান করে।
১৯৯১ সালে রিয়াদে প্রধান মুফতি হিসাবে শাইখ আবদুল আজিজ বিন বায নিয়োগের জন্য একটি রাজকীয় আদেশ জারি করা হয় এবং সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ এবং ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিভাগের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৯৫ সালে ফতোয়া বিষয়ক উপ-প্রধান মুফতি হিসাবে আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল-শেখকে নিয়োগের জন্য একটি রাজকীয় আদেশ জারি করা হয়। ১৯৯৯ সালে আবদুল আজিজ বিন বাজের মৃত্যুর পর আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল-শেখকে সৌদি আরবের প্রধান মুফতি এবং সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ এবং ইলমী গবেষণা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে ফতোয়া প্রদানের জন্য একটি রাজকীয় আদেশ জারি করা হয়।
২৬শে মার্চ ২০০১ তারিখে, একটি রাজকীয় আদেশে পরিষদের সদস্য হিসাবে সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ, আহমদ বিন আলী স্যার মুবারাকি, আব্দুল্লাহ বিন আলী আল-রিকবান ও আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল-মুত্তাককে নিয়োগ করা হয়। একই বছরে একাডেমিক গবেষণা ও ইফতা স্থায়ী কমিটির জন্য পূর্ণ-সদস্য হিসেবে পরিষদ কর্তৃক আহমদ বিন আলী স্যার মুবারকাকি, আব্দুল্লাহ বিন আলী আল-রিকবান ও আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল-মুত্তাককে নিয়োগ দেয়া হয়। একই বছরে প্রেসিডেন্ট ছাড়া, সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্যদের সংখ্যা কমপক্ষে ১১ জন এবং সর্বোচ্চ ২১ জন করা হয়। পরিষদের মেয়াদ চার বছরের বেশি হতে পারবে না বলে উল্লেখ করে একটি রাজকীয় আদেশও জারি করা হয়।
২০০৩ সালে, রাশাদ বিন সালেহ বিন খনিকে তার অনুরোধের ভিত্তিতে উলামা পরিষদের সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়ার জন্য একটি রাজকীয় আদেশ জারি করা হয়।
রিয়াদে প্রেসিডেন্টের সদর দফতরে প্রতি ছয় মাস পরপর উলামা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে এটি অন্য কোথাও অনুষ্ঠিত হতে পারে। উলামা পরিষদের প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ১৯৯৩ সালের আগ পর্যন্ত সভা পরিচালনা এবং বিষয়াদি উত্থাপন করতেন।
২০০৩ সালে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদে আবদুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল-শেখের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ১৬ জন সদস্য ছিলেন, তারা হলেন-সালেহ আল- লুয়াদান, মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন সাবিয়াল, সালেহ আল ফাওজান আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মোহসেন আল তুর্কী, সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ, আবদুল আল্লাহ ইবনে মোহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম আল-শাইখ, আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল-আল-আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল রহমান আল-ঘুদায়ান, আব্দ-আল্লাহ ইবন সুলাইমান আল-মানা, হাসান ইবনে জাফর আল-উটমি, মুহাম্মদ ইবনে সুলেইমান আল-বদর, মুহাম্মদ ইবনে হাসান আল-শেখ, ওয়াহাব বিন ইবরাহীম আবু সুলাইমান, আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল-মুত্তালাক, আহমদ বিন আলী স্যার মুবারকাকি, আব্দুল্লাহ বিন আলী আল-রুক্বান।
ফতোয়া
[সম্পাদনা]পরিষদ চার বা পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দের ফতোয়ার অনুরোধের পর্যালোচনাতে সহায়তা করে। ২০১০ সালে সৌদি আলেম মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ পরিচালিত ইসলামী ফতোয়ার ওয়েবসাইট ইসলামকিউএ.ইনফো-কে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কারণ এটি স্বাধীনভাবে ফতোয়া জারি করছিল। ২০১৭ সালে আবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়। পরিষদ এবং স্থায়ী কমিটি ফতোয়া জারি করে, ইমাম ও দাঈগণ ফতোয়া মেনে চলার নির্দেশ দেন এবং ধর্মীয় পুলিশ তাদের সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ করে।
ব্যবস্থাপনা
[সম্পাদনা]সাইমন হেন্ডারসনের মতে, নতুন বাদশাহ অভিষিক্ত হওয়ার আগে পরিষদ অনুমোদন দিয়ে ফতোয়া জারি করেন। কলম্বিয়া বিশ্ব অভিধান অনুযায়ী, এই পরিষদ সৌদি বাদশাহকে পরামর্শ দেয় এবং ইসলামী আইন পুরোপুরি মানা হচ্ছে কিনা তা তদারক করে, যার উপর নির্ভর করে সৌদি জনগণের উপর বাদশাহর সার্বভৌম কর্তৃত্ব।
রাজতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন
[সম্পাদনা]পরিষদ সরকারি আদেশে ধর্মীয় সমর্থন প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১১ সালে এটি প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে "বিপথগামী এবং পক্ষপাতদুষ্ট" বলে। বিক্ষোভ, বিভক্তি এবং বিচ্ছেদ শরিয়তে (ইসলামিক আইন) অনুমোদিত নয়। পরিবর্তন শুধুমাত্র পরামর্শ প্রদান থেকে আসতে পারে, বিবৃতিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ ও প্রেরণ করার মাধ্যমে নয়, যা আল্লাহর নির্দেশের পরিপন্থী (কুরআনুল কারীম ৪ঃ৮৩)। [২]
পরিষদ সরকারী নীতির বিরোধিতা খুব কমই করে এবং যখন এটি দ্বিমত পোষণ করে, তখন পরিষদ সাধারণত নীরবতা দ্বারা এটি প্রকাশ করে। পরিষদের কতটুকু প্রভাব আছে পর্যবেক্ষকরা এ ব্যাপারে এক মত হতে পারেননি। [৩] অনেকে বিশ্বাস করেন যে, সরকার সাধারণত আইন প্রণয়নের পূর্বে পরিষদের পরামর্শ নেয়, অন্যরা বিশ্বাস করে যে সরকার প্রথমে নিজের মত কাজ করে, তারপর পরিষদের অনুমতি নেয়। ক্রিস্টোফার বাউকেকের মতে, পরিষদ এবং উলামাদের প্রভাব সাধারণভাবে নির্ভর করে রাজপরিবারের ইচ্ছার উপর। এর ফলে রাজপরিবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর অধিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে এবং তাদের কম উপেক্ষা করে। এই সৌদি উলামাদের আয়-উৎপাদনের জমি বা প্রদত্ত সম্পত্তি নেই এবং তারা সরকারী বেতনের নির্ভরশীল।
১৯৯২ সালে রাজা ফাহাদ জ্যেষ্ঠ উলামাদের সাতজন সদস্যকে অবসর গ্রহণের জন্য চাপ দিয়েছিলেন কারণ তারা আল-সৌদ পরিবারের উপর রক্ষণশীল আক্রমণের নিন্দা করে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি। ২০০৯ সালে আরেকজন সদস্য শেখ সাদ বিন নাসের আল-শিথ্রিকে বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরবে সহশিক্ষা বিরোধিতা করার কারণে চাপ দেয়া হয়েছিল।
পরিষদের প্রথম কমিটি
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ গঠিত হয় এবং তার প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম আল শেখ চার বছর পর শাইখ আবদুল আজিজ বিন বায তার স্থলাভিষিক্ত হন। যে ১৮ জন শাইখ তখন সদস্য ছিলেন তারা হলেন:
- মাহধার আকিল
- আব্দুল রাজ্জাক আফিফি
- মোহাম্মদ আল-আমিন আল-শানকিতি
- আবদুল্লাহ খায়ত
- আব্দুল্লাহ বিন হুমায়দ
- আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বাজ
- আব্দুল আজিজ বিন সালেহ
- আবদুল মজিদ হাসান
- সালেহ আল ফাওযান
- মোহাম্মদ আল-হারকান
- সুলেইমান বিন ওবায়দ
- ইব্রাহীম বিন মোহাম্মদ আল-শেখ
- সালেহ ইবনে গওসুন
- রশিদ বিন খিনে
- আব্দুল্লাহ বিন গাউদিয়ান
- মোহাম্মদ বিন জুবাইর
- আব্দুল্লাহ বিন সুলেইমান আল মানিয়া
- সালেহ আল-লাহুইদান
পরিষদের ২০১৩ সালের (১৪৩৪ হিজরী) কমিটি
[সম্পাদনা]বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ আল-সউদ কর্তৃক নিয়োগকৃত ২০১৩ সালের পরিষদের সদস্যগণ নিম্নরূপঃ
- আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শাইখ (প্রেসিডেন্ট)
- সালেহ বিন মোহাম্মদ আল-লুয়াদান (সদস্য)
- আবদুল্লাহ বিন আবদুল মহসিন আল-তুর্কি (সদস্য)
- সালেহ বিন আবদুল্লাহ আল ফাওযান (সদস্য)
- আব্দুল্লাহ বিন সুলেইমান আল-মানিয়া (সদস্য)
- আবদুল ওয়াহাব বিন ইবরাহীম আবুলসীমান (সদস্য)
- আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল-শেখ একজন (সদস্য)
- আহমেদ স্যার মুবারক আল-শরীফ (সদস্য)
- আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল-মুত্তাক (সদস্য)
- জ্যাকব ইবনে আবদুল ওহাব বিন ইউসুফ আল-বাহিসিন (সদস্য)
- আবদুল করিম বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-খুদাইয়ার (সদস্য)
- আলী বিন আব্বাস ইবনে ওথমান হাকামী (সদস্য)
- আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আলখিন (সদস্য)
- মোহাম্মদ বিন মোহাম্মদ আল-মুখতার আল-শানকিতি (সদস্য)
- মোহাম্মদ বিন হাসান আল শেখ (সদস্য)
- কাইস বিন মোহাম্মদ বিন আব্দুল লতিফ আল-মোবারক (সদস্য)
- মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল-ইসা (সদস্য)
- আবদুল রহমান বিন আব্দুল আজিজ কলেজের (সদস্য)
- সাদ ইবনে তুর্কি আল খাতলান (সদস্য)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে