সংযুক্ত আরব আমিরাত-সিরিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সংযুক্ত আরব আমিরাত-সিরিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Syria এবং United Arab Emirates অবস্থান নির্দেশ করছে

সিরিয়া

সংযুক্ত আরব আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাত-সিরিয়া সম্পর্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সিরিয়ার মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। উভয় দেশই মুসলিমপ্রধান দেশ। তাই উভয় দেশই বিভিন্ন বাধা সত্ত্বেও ইসলামিক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের প্রসার ঘটাতে আগ্রহী। এছাড়াও, উভয় দেশের রাষ্ট্রধর্মই ইসলাম। ধর্মের মিলের কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, উভয় দেশের চিন্তাধারায় মিল পাওয়া যায়। আবার সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সিরিয়া উভয় দেশই মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত এবং আরব লীগ এর সদস্য। তাই বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে এই দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় পাওয়া যায়। এছাড়াও উভয় দেশই মধ্যপ্রাচ্যের হওয়ায় সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয়ে এই দুই দেশের মধ্যে অনেক মিল পাওয়া যায় এবং এই দেশ দুটির মাঝে সাংস্কৃতিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সিরিয়ার বহু নাগরিক বর্তমানে অভিবাসী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে, সিরিয়ার একটি কনস্যুলেট জেনারেল রয়েছে।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।। এ সত্ত্বেও ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিয়ার পাশে থাকবে এবং সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য দেশটিকে সহায়তা দিয়ে যাবে। [১] কিন্তু, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাশার আল-আসাদ সরকারকে সমর্থন দেয় না এবং এ ব্যাপারে দেশটির মত হল, বাশার আল-আসাদ সরকারে থাকলে কখনই সিরিয়া সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে না। দেশটির এও মত যে, শেষ পর্যন্ত বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা হারাবেন।[২] সিরিয়ার এই অবস্থানকে সৌদি আরব বা কাতার এর তুলনায় কম আগ্রাসী বলে মনে করা হয়। বরং মনে করা হয় যে দেশটি সিরিয়াকে সাহায্য করলেও আসাদ সরকারের বিরোধী চিন্তাধারা পোষণ করে।[৩] যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়ার বিরোধী জোটকে সমর্থন দেয়, তবে সিরিয়ার আসাদ সরকারের সাথে দেশটির যোগাযোগ থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।[৪]

সংযুক্ত আরব আমিরাত, ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সিরিয়া অভিযানে অংশগ্রহণ করে।[৫] এর পাশাপাশি দেশটি ২০১৫ সালে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সিরিয়া অভিযানের প্রতিও নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করে।[৬] এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ২০১৪ সালে সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপ সাউদার্ন ফন্টকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "UAE reaffirms support for Syria"গালফ নিউজ। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  2. http://gulfnews.com/news/uae/government/no-peace-as-long-as-al-assad-stays-mohammad-says-1.1277068
  3. "The UAE has it in for the Muslim Brotherhood"আল-আরাবি আলা-জাদীদ। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। 
  4. আব্দুল-হুসেইন, হুসেইন (২৭ জুলাই ২০১৭)। "The Gulf crisis: Who's winning?"আনাদোলু এজেন্সি 
  5. স্কিউত্তো, জিম; ক্যাস্টিলো, মারিয়ানো; ইয়ান, হলি (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "US airstrikes hit ISIS inside Syria for first time"। সিএনএন। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  6. "UAE Says Ready To Commit Troops To Fight Syria Jihadists"ডিফেন্স নিউজ। ৩০ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "The Southern Front"স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১২, ২০১৭