সংগ্রাম (২০০৫-এর চলচ্চিত্র)
সংগ্রাম | |
---|---|
![]() | |
পরিচালক | হরনাথ চক্রবর্তী |
প্রযোজক | মুকুল সরকার |
রচয়িতা | গল্প: স্নেহাশিস চক্রবর্তী চিত্রনাট্য ও সংলাপ: সুভাষ সেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | যীশু সেনগুপ্ত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় রঞ্জিত মল্লিক |
সুরকার | সঙ্গীত: অশোক ভদ্র পরিচালনা: এসপি ভেঙ্কটেশ |
চিত্রগ্রাহক | ভি. প্রভাকর |
সম্পাদক | স্বপন গুহ |
পরিবেশক | টি.সরকার প্রোডাকশন্স |
মুক্তি | ২০০৫ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
সংগ্রাম হল ২০০৫ সালের একটি বাংলা থ্রিলার চলচ্চিত্র যা হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ও মুকুল সরকার প্রযোজিত। চলচ্চিত্রটতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রঞ্জিত মল্লিক। অশোক ভদ্র চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেন।[১] ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছিল।
পটভূমি
[সম্পাদনা]চলচ্চিত্রের গল্প শিমুলপুর গ্রামে। শিমুলপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করা গ্রামের জনপ্রিয় স্কুলমাস্টার সত্যপ্রকাশ গ্রামের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। স্কুলে একটি নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, রাঘব চৌধুরী ও মোহন রায় দুই প্রতিপক্ষ প্রার্থী। তাদের মধ্যে মোহন একজন সৎ মানুষ এবং সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে নির্বাচনে জয়ী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাঘব অন্য পথ বেছে নেয় এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিরক্ত করা শুরু করে। সত্যপ্রকাশ এটা সহ্য করতে পারেননি, তাই তিনি গ্রামবাসীদের নির্বাচন বয়কট করার পরামর্শ দিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। রাঘব সত্যপ্রকাশের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল ও তাকে ঘুষ দিয়ে তার কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয়, কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত, আর কোন উপায় না দেখে, রাঘব সত্যপ্রকাশকে হত্যা করে। সত্যপ্রকাশের দুটি সন্তান ছিল। তাঁর বড় ছেলের নাম কর্ণ, আর ছোট ছেলের নাম সোমু। কর্ণ তার পিতার হত্যাকারীকে চিনতেন,ল কিন্তু সমাজ তাকে তার সাথে কিছু না করতে এবং গ্রাম ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছিল। তিনি একটি কর্নেলের বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিলেন ও সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন। সে বড় হওয়ার সাথে সাথে রাঘব চৌধুরীর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। ইতোমধ্যে, রাঘব চৌধুরী গ্রামের একজন ডন হয়ে ওঠে এবং তার ভাই রাজেশ চৌধুরী ও তার বন্ধুদের সাথে অনেক অবৈধ কাজ করতে শুরু করে। অন্যদিকে, এই বছরগুলোয় সোমুর পড়াশোনার খরচ দিয়েছিলেন মোহন রায়। উচ্চশিক্ষা শেষ করে বিদেশে যাওয়া সোমু গ্রামে ফিরে আসেন। তিনি ও মোহনের মেয়ে অঞ্জলি একে অপরের প্রেমে পড়েন। পরে মোহন রায় রাঘবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে রাজেশ তাকেও খুন করে। ইতোমধ্যে, কর্ণ ফিরে আসেন এবং কর্নেলের সক্রিয় সমর্থনে তিনি রাঘব ও তার পুরো দলকে হত্যা করেন, যার ফলে তার প্রতিশোধ পূর্ণ হয়। অবশেষে কর্নেল এবং কর্ণ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে চলচ্চিত্রটি শেষ হয়।
কুশীলব
[সম্পাদনা]- কর্ণ ঘোষের চরিত্রে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
- সোমু ঘোষের চরিত্রে যীশু সেনগুপ্ত
- কর্নেল বিক্রম সিনহার চরিত্রে রঞ্জিত মল্লিক
- রাঘব চৌধুরী চরিত্রে দীপঙ্কর দে
- রাঘবের ভাই রাজেশ চৌধুরীর চরিত্রে রাজেশ শর্মা
- ইন্সপেক্টর বিশ্বদেব রাই চরিত্রে সব্যসাচী চক্রবর্তী
- অবনী সামন্ত চরিত্রে অরুণ ব্যানার্জি
- মোহন রায়ের চরিত্রে দুলাল লাহিড়ী
- কর্ণের সাহায্যকারী হিসেবে কাঞ্চন মল্লিক
- সত্যপ্রকাশ ঘোষ, কর্ণ ও সোমুর বাবার চরিত্রে প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
- দুর্নীতিবাজ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে দেবেশ রায় চৌধুরী
- মিতালী ঘোষ, কর্ণ ও সোমুর মা চরিত্রে অপরাজিতা মোহান্তি
- সুমেধা চ্যাটার্জি চরিত্রে অরুণিমা ঘোষ, কর্ণের ভালোবাসা
- অঞ্জলি রায়ের চরিত্রে সৌমিলি বিশ্বাস, সোমুর ভালোবাসা
সঙ্গীত
[সম্পাদনা]সংগ্রাম | |
---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক | |
মুক্তির তারিখ | ২০০৫ |
ঘরানা | চলচ্চিত্র সঙ্গীয় |
দৈর্ঘ্য | ১৯:৫৪ |
সঙ্গীত প্রকাশনী | এসকে মুভিজ |
সংগ্রামের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অশোক ভদ্র।[২]
ট্র্যাক তালিকা
[সম্পাদনা]নং. | শিরোনাম | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|
১. | "আজকের দিনটা অন্য রকম" | ৪:৩৭ |
২. | "আমার এই চোখ দিয়ে" (শ্রেয়া ঘোষাল গেয়েছেন) | ৫:১৩ |
৩. | "লাভ লাভ" | ৫:৫৩ |
৪. | "তোমায় পেয়ে হলো" | ৪:১১ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ১৯:৫৪ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Sangram (2005)"। Gomolo। ২৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Sangram soundtrack"। Music India Online। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]