শ্যামচাঁদ মন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্যামচাঁদ মন্দির
শ্যামচাঁদ মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাবাঁকুড়া জেলা
অবস্থান
অবস্থানএল্যাটি, নিকুঞ্জপুর , ওন্দা ব্লক বাঁকুড়া জেলা
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীরেখ দেউল
সৃষ্টিকারীরঘুনাথ সিংহ দেব
প্রতিষ্ঠার তারিখখ্রিস্টীয় ১৭শতক
বিনির্দেশ
দৈর্ঘ্য১১ মিটার
প্রস্থ১১ মিটার
উচ্চতা (সর্বোচ্চ)১২.২ মিটার

শ্যামচাঁদ মন্দির ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের অন্তর্গত নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এল্যাটি মৌজায় অবস্থিত। একটি মধ্যযুগীয় পুরাতাত্ত্বিক স্থাপত্য। অতীতে এই মন্দিরে শ্যামচাঁদ নামে রাধাকৃষ্ণ মূর্তি পূজিত হতেন। নতুন মূর্তিটি বর্তমানে নিকটবর্তী মাকড়া গ্রামে বিরাজমান। স্থাপত্যটি ওড়িশার রেখ দেউলের ন্যায় বলে স্থানীয় মানুষ এই মন্দিরকে দেউল বলেন।[১]

এটি জেলা সদর বাঁকুড়া শহর থেকে ১৫কিমি এবং বিষ্ণুপুর শহর থেকে ২৭ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।

বিবরণ[সম্পাদনা]

অধুনা পরিত্যক্ত শ্যাঁমচাদ মন্দিরটি আনুমানিক খ্রিস্টিয় শতকের প্রথমার্ধে মল্লরাজ প্রথম রঘুনাথ সিংহ কর্তৃক নির্মিত। পূর্বমুখী,একদুয়ারী,নবরথ এই মন্দিরটি দৈর্ঘ্য প্রস্থে ১৬ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং উচ্চতয় প্রায় ৪০ ফুট। ইটের তৈরি এই পীড়া দেউলটির দেওয়াল বেশ পুরো (প্রায় ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি)। দেওয়ালগুলি ও শিখর সমান্তরাল ভাবে খাঁজকাটা এবং দীর্ঘায়িত পিরামিডের ন্যায় উন্নত। প্রবেশদ্বারের উপরে ও গর্ভগৃহের ছাঁদ ধাপযুক্ত। মন্দির গাত্রের নিচের অংশে ও বরণ্ডের তলায় কয়েক সারি পোড়ামাটির জ্যামিতিক ও  ফুলকারি অলংকরণ আছে। দেউলটির স্থাপত্য শৈলী খুবই  অভিনব।

সংরক্ষণ ও সংস্কার[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনটি সংরক্ষিত ঘোষণা করে এবং তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার কর্তৃক সংস্কার শুরু হয়েছে। সংস্কার কালে মন্দির গাত্রের অধিকাংশ পোড়ামাটির কারুকার্য ধ্বংস হয়। [১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাঁকুড়া জেলার পুরাকীর্তিকলকাতা: পূর্ত বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১৯৭২। পৃষ্ঠা ৩৭ – ৩৮। 

নিকটস্থ অন্যান্য স্থান[সম্পাদনা]

অভিরাম শিব মন্দির, চ্যামটা নীলকুঠী, নিকুঞ্জপুর, গোপীনাথপুর, কনকলতা মন্দির, হরিহরপুর, বীরসিংহপুর প্রভৃতি।