শের বাহাদুর দেউবা
সম্মাননিয় শের বাহাদুর দেউবা | |
---|---|
शेरबहादुर देउवा | |
নেপালের প্রধানমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৩ জুলাই ২০২১ | |
রাষ্ট্রপতি | বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী |
পূর্বসূরী | খড়্গ প্রসাদ শর্মা ওলী |
কাজের মেয়াদ ৭ জুন ২০১৭ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | |
রাষ্ট্রপতি | বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী |
পূর্বসূরী | পুষ্পকমল দাহাল |
উত্তরসূরী | খড়্গ প্রসাদ শর্মা ওলী |
কাজের মেয়াদ ৪ জুন ২০০৪ – ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ | |
সার্বভৌম শাসক | রাজা জ্ঞানেন্দ্র |
পূর্বসূরী | সূর্য বাহাদুর থাপা |
উত্তরসূরী | গিরিজা প্রসাদ কোইরালা |
কাজের মেয়াদ ২৬ জুলাই ২০০১ – ৪ অক্টুবর ২০০২ | |
সার্বভৌম শাসক | রাজা জ্ঞানেন্দ্র |
পূর্বসূরী | গিরিজা প্রসাদ কোইরালা |
উত্তরসূরী | লোকেন্দ্র বাহাদুর চন্দ |
কাজের মেয়াদ ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ – ১২ মার্চ ১৯৯৭ | |
সার্বভৌম শাসক | বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব |
পূর্বসূরী | মনমোহন অধিকারী |
উত্তরসূরী | লোকেন্দ্র বাহাদুর চন্দ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | অশিগ্রাম, ডডেলধুরা, নেপাল অধিরাজ্য | ১৩ জুন ১৯৪৬
রাজনৈতিক দল | নেপালি কংগ্রেস (২০০২ পূর্ব; ২০০৭–বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | নেপালি কংগ্রেস (প্রজাতান্ত্রীক) (২০০২–২০০৭) |
দাম্পত্য সঙ্গী | আরজু রাণা দেউবা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় |
মন্ত্রীসভা | ৫তম দেউবা মন্ত্রিসভা |
ওয়েবসাইট | opmcm |
শের বহাদুর দেউবা নেপালি: शेर बहादुर देउवा (জন্ম: ১৫ জুন ১৯৪৬) একজন নেপালি রাজনীতিবিদ এবং দেশেটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী৷[১] যিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৫, ২০০১ থেকে ২০০২, ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এবং ২০১৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি এবং ২০১৬ সালে পার্টির ১৩ তম সম্মেলনে ৬০% এর বেশি ভোট নিয়ে এই পদে নির্বাচিত হয়ছেন।[২] তিনি দুবার নেপাল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন, এভাবে তিনি দুবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে সক্ষম হন।
(২০০১ সালের জুলাই মাসে গিরিজা প্রসাদ কৈরালা পদত্যাগ করলে তিনি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নতুন নির্বাচনের জন্য দেউবা ২০০২ সালের মে মাসে প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেন, কিন্তু চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে তিনি নির্বাচন দিতে পারছিলেন না। এর ফলে নেপালি কংগ্রেস দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, যার একভাগ তথা নেপালি কংগ্রেস (গণতান্ত্রিক) দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেউবা। সংসদীয় নির্বাচন না দেয়ার জন্য ২০০২ সালের অক্টোবরে রাজা জ্ঞানেন্দ্র দেউবাকে অপসারণ করেন।[৩][৪] পরে আবার দুই সরকারের পর, জ্ঞানেন্দ্র ২০০৪ সালে দেউবাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসান। তবে তিন বছরের জন্য সরকার ভেঙে দিয়ে সরাসরি ক্ষমতা দখল করার কারণে ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে রাজা জ্ঞানেন্দ্র তাঁকে আবার এই পদ থেকে সরিয়ে দেন।
শের বাহাদুর দেউবা চারবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন৷ তিনি ডডেলধুরা জেলার নির্বাচন এলাকা নং ১ এবং কঞ্চনপুর জেলার নির্বাচন এলাকা নং ৪-এর প্রতিনিধি হয়ে গণপরিষদে প্রতিনিধিত্ব করেন।[৩][৪] তিনি মাওবাদী সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত একটি উচ্চ-স্তরের কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া দেউবা নেপালি ইউনিয়নের প্রথম সভাপতি ছিলেন এবং তিনি পশ্চিমে নেপালি কংগ্রেসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচিত হন। রাজনৈতিক লড়াইয়ের সময় তিনি নয় বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।
পারিবারিক ইতিহাস
[সম্পাদনা]শের বাহাদুর দেউবার পরিবার দাদেলধুরা জেলার পশ্য গড়খা এলাকার একটি সমৃদ্ধ পরিবার হিসেবে দাদেলধুরা এলাকায় ঠাকুরী দেউবা পরিবার নামে পরিচিত। দোটি পাচানালি, লুলানি মল, দোটি বগতানি বাম এবং বগতি রাজওয়ারের সাথে শুধুমাত্র বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে এমন এই পরিবারটি একটি ধনী এবং চাকুরীজীবী পরিবার হিসাবে ঐতিহাসিক কাল থেকে পরিচিত।দোটি রাজ্যের সময় দাদেলধুরার "পশ্যগড়খা এলাকা" তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। চন্দ্রবংশী, কশ্যপ গোত্রীয় দেউবার এই বংশের দেবতা হলেন বাদল ও অশিগ্রাম কেদারের গণ্যপ লাটো (গণেশ)।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "पाँचौँ पटक प्रधानमन्त्री बनेका शेरबहादुर देउवा को हुन्?"। বিবিসী নেপালি (নেপালী ভাষায়)। ১৩ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২১।
- ↑ "शेर बहादुर देउवा नेपालका ४० औँ प्रधानमन्त्रीको रूपमा नियुक्त भएका छन्" (नेपाली ভাষায়)। ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ Bogue, Janet। "DEUBA DUBBED PRIME MINISTER; CONGRESS' KOIRALA OUT IN THE COLD"। Wikileaks। Wikileaks। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ Bhattarai, Kamal Dev। "Can Nepal's New Prime Minister Avert a Crisis?"। The Diplomat। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।