শাহ হাদিউজ্জামান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহ হাদিউজ্জামান
যশোর-৮ আসনের সাংসদ
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬
যশোর-৪ আসনের সাংসদ
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮
কাজের মেয়াদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
কাজের মেয়াদ
১২ জুন ১৯৯৬ – ১ অক্টোবর ২০০১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১০ মার্চ ১৯৩৯
যশোর জেলা
মৃত্যু১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
ঢাকা
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তানতিন ছেলে, এক মেয়ে

শাহ হাদিউজ্জামান (১০ মার্চ ১৯৩৯-১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭) বাংলাদেশের যশোর জেলার রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধাযশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য[১]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

শাহ হাদিউজ্জামান ১০ মার্চ ১৯৩৯ সালে যশোর জেলার অভয়নগরের নওয়াপাড়ার পীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইরানি পীর, সাধক খাজা আব্দুল মজিদ শাহ। পিতামহ মুহাম্মদ আলী শাহ ইরানের সিস্তান প্রদেশ থেকে এসে নওয়াপাড়ায় ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

শাহ হাদিউজ্জামান ১৯৫৮ সালে ছাত্র থাকাকালীন ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলর, ১৯৭২ সালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭৩ সালে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭৭-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত যশোর জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭০ সালে অভয়নগর-বাঘারপাড়া আসন হতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথম প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তিনি ঘোষপুরের ইয়েথ ক্যাম্পের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুজিবনগরের বাংলাদেশ প্রাবসী সরকারের গণপরিষদ সদস্য ছিলেন।

তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিলুপ্ত যশোর-৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[২] এর পর যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালের তৃতীয়,[৩] ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে[৪]জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৫] ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

২০০৮-২০১৬ সালে যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও ২০১৬ সালে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ২৪ নভেম্বর ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনীত হন।[৬][৭]

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।[৮]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

শাহ হাদিউজ্জামান ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[১][৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শাহ হাদিউজ্জামান আর নেই"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০ 
  2. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২০ 
  3. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২০ 
  4. "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২০ 
  5. "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২০ 
  6. "বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শাহ হাদিউজ্জামান আর নেই"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০ 
  7. "যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ইন্তেকাল"সমকাল। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। ২৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০ 
  8. "শাহ্ হাদিউজ্জামান"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০