শরৎচন্দ্র গোস্বামী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শরৎচন্দ্ৰ গোস্বামী
জন্ম১২ মে, ১৮৮৭
নলবারী
মৃত্যু১৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৪
পেশাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক
ভাষাঅসমীয়া
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়

শরৎচন্দ্ৰ গোস্বামী (ইংরাজী: Sarat Chandra Goswami; ১৮৮৭ - ১৯৯৪)[১] অসমের একজন প্ৰসিদ্ধ শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক ও সুসংগঠক ছিলেন।

পরিবার[সম্পাদনা]

শরৎচন্দ্ৰ গোস্বামীর জন্ম নলবারীর নারায়নপুর সত্ৰে (বৰ্তমান নলবারী সত্ৰ) ১৮৮৭ সালের ১২ মে তারিখে হয়েছিল। তাঁর পিতা ললিতচন্দ্ৰ গোস্বামী অসমীয়া পদ-পুঁথি ‘কেলি-রহস্য’র প্ৰণেতা ছিলেন। তাঁর মাতার নাম মুকুন্দপ্ৰিয়া দেবী।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

ছোটবেলায় মাটিরাম দাস নামক একজন ব্যক্তির অধীনে বাড়িতে প্ৰাথমিক শিক্ষা লাভ করে ১৮৯৭ সালে মাধ্যমিক স্কুলে ভৰ্তি হন। ১৯০০ সালে মাধ্যমিক স্কুলের বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে অসম উপত্যকার ভিতর প্ৰথম স্থান লাভ করে। ১৯০৪ সালে কটন কলেজিয়েট স্কুল থেকে সুখ্যাতিপ্রাপ্ত হয়ে উত্তীৰ্ণ হয়ে কটন মহাবিদ্যালয়ে ভৰ্তি হন। ১৯০৬ সালে এফ-এ ক্লাসে উঠে কলকাতার মেট্ৰোপলিটান কলেজে (বৰ্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ) বি.এ. শ্ৰেণীতে নাম লেখান। ১৯০৮ সালে বি.এ. উত্তীৰ্ণ হয়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ. (সংস্কৃত) শ্ৰেণীতে ভৰ্তি হন।

চাকৰি জীৱন[সম্পাদনা]

১৯০৮ সালে নগাঁওতে অস্থায়ীভাবে ডেপুটী ইন্সপেক্টর পদে নিয়োজিত হন। পরে সেই পদে স্থায়ী নিযুক্তি লাভ করে মংগলদৈ শহরে বদলি হন। ১৯১১ সালে ঢাকা ট্ৰেইনিং কলেজ থেকে বি.টি. পরীক্ষায় প্ৰথম শ্ৰেণীতে প্ৰথম স্থান লাভ করেন। ১৯১২ সালে যোরহাটে বদলি হন। ১৯১৩ সালে অস্থায়ীভাবে সহকারী পরিদৰ্শক পদ লাভ করেন। ১৯১৫ সালে যোরহাটের নৰ্মাল স্কুলের অধীক্ষকের পদে নিয়োজিত হন এবং সেই পদটি ‘প্ৰভিণ্সিয়াল্ সার্ভিস’-এ উন্নীত করেন। ১৯২৮ সালে অসম উপত্যকার বিদ্যালয়সমূহের ইন্সপেক্টর পদে নিয়োজিত হন। তিনি জনশিক্ষার বিশেষ কার্যকর্তারূপে কাৰ্যনিৰ্বাহ করেন। কৰ্মক্ষেত্ৰে যথেষ্ট সুখ্যাতি অৰ্জন করে ১৯৪৩ সালের ফেব্ৰুয়ারিতে অবসর গ্ৰহণ করেন।৷[২]

সাহিত্য কৰ্ম[সম্পাদনা]

শরৎচন্দ্ৰ গোস্বামী অসম সাহিত্য সভার প্ৰতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন, ১৯২০ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত তিনি সম্পাদকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন[১]। ছাত্ৰজীবনের থেকেই সাহিত্য কৰ্মে জড়িত ছিলেন। বিষ্ণুরাম মেধি, গৌরীকান্ত তালুকদার ইত্যাদির সাথে মিলে একটি সাদিনীয়া সাহিত্য আলোচনা সভা শুরু করেন। এতে প্ৰবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা ইত্যাদি পাঠ করা হয়। এফ.এ. পড়াকালীন অবস্থাতে ‘অংকুর’ নামের একটি মাসিক হাতে-লেখা পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯০৫ সালে ‘জোনাকী’তে তাঁর প্ৰথম ছোটগল্প প্ৰকাশিত হয়। তিনি নাটক, গান, কবিতা, শিশু সাহিত্য ইত্যাদিও রচনা করেন। তাঁর একমাত্ৰ উপন্যাস ‘পানিপথ’। এই উপন্যসটি লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া সম্পাদিত দ্বিতীয়-তৃতীয় বছরের বাঁহীতে (১৯১০,১৯১১) খণ্ড-খণ্ডভাবে প্ৰকাশ হয়েছিল।[৩]৷ তাঁর দ্বারা রচিত নাটক হল 'পরীক্ষা' ও 'বুদ্ধদেব'৷ গোস্বামীদেব ১১টা কবিতা, ৫টা ব্যংগ কবিতা ও ৪৩টা অণু কবিতা রচনা করে গেছেন। এছাড়াও তিনি ইংরাজী ভাষায় বিভিন্ন প্ৰবন্ধ-পাতি রচনা করেছিলেন৷[৪]

রচনাবলী[সম্পাদনা]

  • গল্পাঞ্জলি (১৯১৪)[১]
  • ময়না (১৯২০)
  • বাজিকর (১৯৩০)
  • পরিদৰ্শন (১৯৫৬) (মরণোত্তরভাবে প্ৰকাশিত)
  • গল্পমালা (১৯৮৭) (মরণোত্তরভাবে প্ৰকাশিত)
  • পানিপথ (১৯৩০)
  • অসমীয়া সাধুকথা (১৯২৯)
  • পেরিক্লিস (১৯২৫)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Encyclopaedia of Indian Literature: devraj to jyoti, Volume 2, আহরণ: ১৯-১১-২০১২
  2. অসম সাহিত্য সভার প্ৰতিষ্ঠা আরু প্ৰতিস্থাপক সম্পাদক শরৎচন্দ্ৰ গোস্বামীর অবদান,লেখক-ড° উপেন্দ্ৰজিৎ শৰ্মা,আমার অসম,পূৰ্বাচল,১ফেব্ৰুয়ারি,২০১৫
  3. ‘পানিপথ’ উপন্যাসের ‘গ্ৰন্থ-সম্পাদকর বক্তব্য’, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৯৮৯ যতীন্দ্ৰনাথ গোস্বামী, ১৩/১১/৮৯,
  4. অসম সাহিত্য সভার প্ৰতিষ্ঠা আরু প্ৰতিস্থাপক সম্পাদক শরৎচন্দ্ৰ গোস্বামীর অবদান,লেখক-ড° উপেন্দ্ৰজিৎ শৰ্মা,আমার অসম,পূৰ্বাচল,১ ফেব্ৰুয়ারি ২০১৫

টেমপ্লেট:অসমে প্ৰসিদ্ধ ব্যক্তি