লেনার্ড সাসকাইন্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লেনার্ড সাসকাইন্ড
লেনার্ড সাসকাইন্ড
জন্ম১৯৪০ (বয়স ৮৩–৮৪)[১]
নিউ ইয়র্ক নগরী, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতীয়তামার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
নাগরিকত্বমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনসিটি কলেজ অভ নিউ ইয়র্ক]
(বিজ্ঞানে স্নাতক, ১৯৬২)
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়
(ডক্টরেট, ১৯৬৫)
পরিচিতির কারণত্রিমাত্রিক চিত্র মূলনীতি
রজ্জু তত্ত্ব
মাতৃকা তত্ত্ব (পদার্থবিজ্ঞান)
রজ্জু তত্ত্ব ভূদৃশ্য
বর্ণ সীমায়ন
হ্যামিল্টনীয় জাফরি মানদণ্ড তত্ত্ব
রুসো-সাসকাউন্ড-থর্লাসিউস প্রতিমান
সাসকাইন্ড-গ্লোগাওয়ার চালক
কোগাট-সাসকাউন্ড ফার্মিয়ন
ফিশলার-সাসকাইন্ড কর্মপদ্ধতি
ইআর=ইপিআর
পুরস্কারপোমিরানচুক পুরস্কার (২০০৮)
মার্কিন পদার্থবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞান রচনা পুরস্কার
সাকুরাই পুরস্কার (১৯৯৮)
বরিস প্রেগেল পুরস্কার, নিউ ইয়র্ক বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি (১৯৭৫)[২]
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান, গণিত
প্রতিষ্ঠানসমূহইয়েশিভা বিশ্ববিদ্যালয়
তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
স্ট্যানফোর্ড তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান
কোরিয়া উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পেরিমিটার তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান
অভিসন্দর্ভের শিরোনামকোয়ান্টাম মেকানিক্যাল অ্যাপ্রোচ টু স্ট্রং ইন্টার‍্যাকশনস (Quantum mechanical approach to strong interactions, "কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে শক্তিশালী আন্তঃক্রিয়াসমূহ") (১৯৬৫)
ডক্টরাল উপদেষ্টাপিটার এ. কারাদার্স
ডক্টরেট শিক্ষার্থীএডুয়ার্ড ফ্র্যাডকিন
ডাগলাস স্ট্যানফোর্ড

লেনার্ড সাসকাইন্ড (ইংরেজি: Leonard Susskind; আ-ধ্ব-ব: [ˈsʌskɪnd]; জন্ম ১৯৪০)[১][৩] একজন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের একজন অধ্যাপক এবং স্ট্যানফোর্ড তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তিনি রজ্জু তত্ত্ব, কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব, কোয়ান্টাম পরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম বিশ্বতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণায় আগ্রহী।[২] তিনি মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি,[৪] এবং মার্কিন শিল্পকলা ও বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির[৫] সদস্য, কানাডার পেরিমিটার তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলীর একজন সহযোগী সদস্য,[৬] এবং কোরিয়া উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন সম্মানিত অধ্যাপক।[৭]

সাসকাইন্ড ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে নিউ ইয়র্ক নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন এবং ১৯৭৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সাসকাইন্ড তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের রজ্জু তত্ত্বের একজন জনক হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।[৮] তিনি পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটন ও নিউট্রন কণাকে আবদ্ধকারী নিউক্লীয় বল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ১৯৬৯ সালে তত্ত্বটির অবতারণা করেছিলেন। সাসকাইন্ড গাণিতিকভাবে দেখান যে কণা পদার্থবিজ্ঞানে আলোচিত ইলেকট্রন ও কোয়ার্ক কণাগুলি অতিক্ষুদ্র মাপনীতে কম্পমান শক্তি-রজ্জুসমূহের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এই তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব গঠনকারী কণাগুলি বিন্দুবৎ কোনও কিছু নয়, বরং শক্তির একমাত্রিক কম্পমান রজ্জু বা তন্তু দিয়ে গঠিত, যেগুলি থেকে সমস্ত বল ও পদার্থের উৎপত্তি হয়। প্রতিটি রজ্জু ভিন্ন ভিন্ন কম্পাঙ্কে কাঁপে এবং এই কম্পনগুলি কণাগুলির দ্রুতি, ঘূর্ণন ও আধানের সাথে সম্পর্কিত। তিনি ১৯৭০-এর দশকে এই তত্ত্বটিকে আরও পরিশীলিত করেন। তিনিই প্রথম ১৯৯৫ সালে ত্রিমাত্রিক চিত্র মূলনীতির একটি স্পষ্ট রজ্জুতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন।[৯] ২০০৩ সালে তিনিই প্রথম রজ্জু তত্ত্ব ভূদৃশ্য নামক ধারণাটির অবতারণা করেন।[১০][১১] এই আমূল সংস্কারবাদী ধারণাটিতে বহুসংখ্যক মহাবিশ্বের অস্তিত্ব যে সম্ভব, সেই ধারণাটির উপরে জোর দেওয়া হয়, যেগুলি একত্রে মিলে এক পিলে-চমকানো "অতিমহাবিশ্ব" (Megaverse) গঠন করে এবং হয়ত সেটিতে এমন আরও মহাবিশ্ব আছে, যাতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব।

সাসকাইন্ড ১৯৯৮ সালে সাকুরাই পুরস্কার[১২] এবং ২০১৮ সালে অস্কার ক্লাইন স্মারক পদক বিজয় করেন।[১৩] তাঁর প্রধান প্রধান গ্রন্থগুলি হল দ্য কসমিক ল্যান্ডস্কেপ ("মহাবিশ্বের ভূ-দৃশ্য", ২০০৫), দ্য ব্ল্যাক হোল ওয়ার ("কৃষ্ণ গহ্বর যুদ্ধসমূহ", ২০০৮) এবং দ্য থিওরেটিক্যাল মিনিমাম ("তাত্ত্বিক ন্যূনতম", ২০১৩)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Lennyfest"। মে ২০–২১, ২০০০। ১৭ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২১: his 60th birthday was celebrated with a special symposium at Stanford University.
  2. "Faculty information sheet"। Stanford University। ২০১৩-০৩-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-০১ 
  3. "Why is Time a One-Way Street?"। জুন ২৬, ২০১৩: in Geoffrey West's introduction, he gives Suskind's current age as 74 and says his birthday was recent.
  4. "60 New Members Chosen by Academy"National Academy of Sciences (press release)। মে ২, ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-০১ 
  5. www.edge.orgLeonard Susskind - A Biography (last accessed August 12, 2007).
  6. "Leonard Susskind Joins PI"। অক্টোবর ১৫, ২০০৭। সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৯, ২০২১ 
  7. "Susskind, Leonard: Distinguished Professor / School of Physics: Theoretical Particle Physics"Korea Institute for Advanced Study। ২০ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২১ 
  8. "Father of String Theory Muses on the Megaverse"। NYAS Publications। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২১ 
  9. Susskind, Leonard (১৯৯৫)। "The World as a Hologram"। Journal of Mathematical Physics36 (11): 6377–6396। arXiv:hep-th/9409089অবাধে প্রবেশযোগ্যএসটুসিআইডি 17316840ডিওআই:10.1063/1.531249বিবকোড:1995JMP....36.6377S 
  10. Leonard Susskind (২০০৩)। "The Anthropic Landscape of String Theory"। The Davis Meeting on Cosmic Inflation: 26। arXiv:hep-th/0302219অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2003dmci.confE..26S 
  11. Byrne, P. (২০১১)। "Bad Boy of Physics"Scientific American305 (1): 80–83। ডিওআই:10.1038/scientificamerican0711-80বিবকোড:2011SciAm.305f..80B 
  12. Salisbury, David F. (১১ মে ১৯৯৭)। "Susskind wins prestigious Sakurai Prize in theoretical physics" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Stanford University। ২৭ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২১ 
  13. "The Oskar Klein Memorial Lecture"। ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২১