লায়লা শাহজাদা
লায়লা শাহজাদা | |
---|---|
জন্ম | ১৯২৬ লিটলহ্যাম্পটন, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ২০ জুলাই, ১৯৯৪ ইসলামাবাদ, পাকিস্তান |
মৃত্যুর কারণ | গ্যাস বিস্ফোরণ |
পেশা | চিত্রশিল্পী |
লায়লা শাহজাদা (১৯২৬ – ২০ জুলাই ১৯৯৪) ছিলেন একজন পাকিস্তানি বিমূর্ত চিত্রশিল্পী যিনি পাকিস্তানের করাচিতে থাকতেন এবং সেখানেই কাজ করতেন।[১]
জীবনী
[সম্পাদনা]পাকিস্তানি চিত্রশিল্পী লায়লা শাহজাদা ১৯২৬ সালে ইংল্যান্ডের লিটলহ্যাম্পটোরে জন্মগ্রহণ করেন।[২] ইংল্যান্ডে তার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর, তিনি একজন চিত্রশিল্পী হবার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রাথমিকভাবে ইংল্যান্ডে অঙ্কন ও জলরঙে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীতে, তিনি করাচিতে শিল্পী আহমেদ সাইদ নাগিরের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন যিনি তাকে তেলরঙ ব্যবহার করতে শিখিয়েছিলেন।[৩] তিনি ১৯৬০ সালে করাচিতে অবস্থিত পাকিস্তানের আর্ট কাউন্সিলে তার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী করেন।[২] পাকিস্তানের সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শনগুলিকে মডেল হিসাবে ব্যবহার করে, তিনি এই প্রাচীন সভ্যতার সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে একটি সিরিজ চিত্রকর্ম তৈরি করেছিলেন। এই চিত্রগুলি ১৯৭৬ সালে করাচিতে একটি চিত্র প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে, তিনি লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটে অবস্থিত শোরুকস ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারির একটি গ্রুপ শোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই বছর তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তামঘা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কারে ভূষিত হন৷ লায়লা শাহজাদা তার মৃত্যুর আগে মোট ৬০ থেকে ৭০ টি পেইন্টিং করেছিলেন । তিনি ২০ জুলাই, ১৯৯৪ সালে তার স্টুডিওতে গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত হন।[২][৪]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]লায়লা শাহজাদা জীবনে দুই বার বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ের ফলে তার ছিল এক ছেলে ও এক মেয়ে। যাদের নাম যথাক্রমে, সোহেল ও শাহিন। তার প্রথম স্বামীর থেকে বিচ্ছেদের পর, তাকে তাদের ছেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং প্রথম স্বামী তাদের মেয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন৷ তিনি আবার বিয়ে করেন এবং দ্বিতীয় বিয়েতে জহির নামে আরেকটি ছেলের জন্ম দেন কিন্তু তার মেয়ে শাহিনকে হারানোর শোক তিনি কখনোই মানসিকভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেননি। লায়লা শাহজাদা পরবর্তীতে মা ও শিশু শিরোনামে একটি চিত্রকর্ম করেন। তার কিছু বন্ধু এবং শিল্প সমালোচক বলেছিলেন যে চিত্রকর্মটি একজন মা হিসাবে তার নিজের বেদনার প্রতিফলন ছিল।[৫]
"লায়লা শাহজাদা একজন সংবেদনশীল, শক্তিশালী শিল্পী যার তুলি অপরিমেয় প্রবাহ এবং প্রভাব বিস্তার করে ছিল", ২০০৫ সালে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অব আর্টসের মহা পরিচালক নাঈম তাহির একথা বলেন।[২]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]লায়লা শাহজাদা ২০ জুলাই ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে তার স্টুডিওতে গ্যাস বিস্ফোরণে মারা যান [২]
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]- ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তমঘা-ই-ইমতিয়াজ[২][৩]
- ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার প্রদান করেন।[৩]
- তিনি ১৯৭৫ সালে নিউইয়র্কের "কি টু দ্য সিটি" পুরস্কার পেয়েছিলেন - তিনিই একমাত্র পাকিস্তানি যিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।[৩][৬]
- তার কাজের সম্মান জানাতে, ২০০৬ সালে পাকস্তান ডাক বিভাগ কর্তৃক একটি স্মারক ডাক টিকিট ইস্যু করে।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ 'Homage: Remembering the maestro' Dawn (newspaper), Published 15 Sep 2013, Retrieved 1 March 2019
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Death anniversary of painter Laila Shahzada today"। SAMAA TV website। ২০ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Profile of Laila Shahzada"। Pakistan Post Office (Archived)। ২০ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৯।
- ↑ Revisiting the mistress of art Dawn (newspaper), Updated 28 December 2014, Retrieved 1 March 2019
- ↑ Minerwa Tahir (২৭ ডিসেম্বর ২০১৪)। "With love, from art collectors: Remembering Laila Shahzada's sensitivities and inclinations"। The Express Tribune (newspaper)। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "Laila Shahzada: Art in Pakistan: Top Ten Painters of Pakistan"। Pakistan 360 degrees website। ২৮ নভেম্বর ২০১১। ৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- পাকিস্তান পোস্ট মৃত শিল্পীদের সম্মান জানায় ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (সংবাদপত্র)