লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর
লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর | |
---|---|
![]() | |
![]() ভিতরের দৃশ্য | |
ঠিকানা | |
![]() | |
জি এল রায় সড়ক | |
স্থানাঙ্ক | ২৫°৪৪′৫২″ উত্তর ৮৯°১৫′২৮″ পূর্ব / ২৫.৭৪৭৮৫৩৪° উত্তর ৮৯.২৫৭৬৫২৪° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | বেসরকারি (এমপিও) |
নীতিবাক্য | শিক্ষাই আমাদের লক্ষ্য, সেবাই আমাদের ব্রত |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ |
প্রতিষ্ঠাতা | লায়ন্স ক্লাব অব রংপুর |
শিক্ষাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ | প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড |
ইআইআইএন | ১২৭৪৯৬ |
অধ্যক্ষ | রায়হান শরিফ |
কর্মকর্তা | ৫৩ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৮৪ |
শ্রেণি | প্লে-দ্বাদশ |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ৩,৩০৩ |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাস | শহুরে |
শিক্ষায়তন | ০.৮ একর |
ক্যাম্পাসের ধরন | অনাবাসিক |
রং | আকাশী এবং নেভি ব্লু |
ডাকনাম | LSCR |
ওয়েবসাইট | www |
লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর বাংলাদেশের রংপুর শহরে জি.এল. রায় সড়কের পাশে অবস্থিত একটি এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৮৩ সালে লায়ন্স ক্লাব অব রংপুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় ও পরিচালিত হয়ে আসছে।[১] প্লে হতে দ্বাদশ শ্রেণীতে বর্তমানে ৩,৩০৩ শিক্ষার্থী রয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
১৯৮৩ সালে ১২ ফেব্রয়ারী ৪০ জন শিক্ষার্থী, ৪জন শিক্ষক নিয়ে রংপুর শাপলা চত্বরের নিকটস্থ আদর্শ বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণি কক্ষ ভাড়া নিয়ে “লায়ন্স কিন্ডার গার্টেন স্কুল, রংপুর”-এর যাত্রা শুরু করে। অধ্যক্ষ মিস রাহেলা খাতুন, বি,এ,বি,টি স্কুল প্রশাসন সহ ৪ জন প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক বুলা ভৌমিক (২০১৯ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন), মধুছন্দা ভট্টাচার্য, নাজমুন নাহার দীনা, আশতাক মহল খান গ্রেস। ১৯৮৪ সালে ভাড়া করা আদর্শ স্কুল থেকে লায়ন্স ক্লাব অব রংপুর এর নিজস্ব স্থাপনার কয়েকটি কক্ষে ও ফাঁকা জায়গায় তৈরি কয়েকটি টিনসেড শ্রেণি কক্ষে প্রতিষ্ঠানটিকে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮৪ সালে ৩য় শ্রেণি, ১৯৮৫ সালে ৪র্থ শ্রেণি ১৯৮৬ সালে ৫ম শ্রেণির পাঠদান শুরু হয়। ১৯৯১ সালে নিম্ন মাধ্যমিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে “লায়ন্স কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুল” নামকরণ করা হয়। ১৯৯২ সালে ১ জানুয়ারী রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৪ সালে ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমিক শাখা এমপিও ভুক্ত হয়। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০০০ খ্রিঃ মার্চ-এপ্রিল মাসে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠদান অনুমতি লাভ করার পর ১৪ জন শিক্ষার্থী ও অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ফজলুর রহমান সহ ১৮ জন শিক্ষক নিয়ে কলেজ শাখার পাঠদান শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্কুল থেকে কলেজে পরিণত হওয়ার পর ২০০৩ সালে ১৩ই এপ্রিল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে এর নাম “লায়ন্স কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুল” থেকে পরিবর্তন করে “লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর” নামকরণ করা হয়। ২০০৬ সালে ১ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তর (কলেজ শাখা) স্বীকৃতি লাভ করে। ২০১৯ সালে ২৩ অক্টোবর এর কলেজ স্তরটি এমপিও ভুক্ত হয়।[২]
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২২০০ জন এবং কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১৫০ জন মোট ৩,৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষকবৃন্দের সংখ্যা, স্কুলে-৪৫ জন, কলেজে-২৭জন, অপিস স্টাফ-৭জন, সাপোর্ট স্টাফ-৩০জন সর্বমোট ১০৯ জন। লায়ন ডাঃ আব্দুস সাত্তার ভবন ৬ তলা, লায়ন ডাঃ দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক ভবন ৩ তলা, লায়ন শাহ্ সালেক ভবন ৪ তলা ও ১টি বর্ধিত টিনসেড ভবন সহ মোট ৪টি ভবন আছে। প্রতিষ্ঠানটির জমির পরিমাণ প্রায় এক একর।[২] সুপরিসর মাঠ, সমৃদ্ধ পাঠাগার, সুপরিসর কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার ৩ টি (রসায়ন বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান)।[৩]
অবস্থান
[সম্পাদনা]শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রংপুর নগরীর কেন্দ্রস্থল জাহাজ কোম্পানী মোড় থেকে ১৫০ মিটার পূর্বে অবস্থিত।[৪]
আসন
[সম্পাদনা]উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪৩০, মানবিক বিভাগে ২০০ ও বাণিজ্য বিভাগে ১৫০টি আসন রয়েছে।
ফলাফল ও র্যাংকিং
[সম্পাদনা]- এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল
২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের মোট ৫০০৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৪০৭৩ জন এবং ফেল করেছে ২৪৩ জন। ১৩৭৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ (এ+) অর্জন করেছে। এই সময়ে গড় পাসের হার ছিল ৯৫.১৫%, এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার ছিল ২৭.৫৩%।
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল
২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩১৮৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৩০৮১ জন এবং ফেল করেছে ১০৩ জন। ৯০৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ (এ+) অর্জন করেছে। এই সময়ে গড় পাসের হার ছিল ৯৬.৭৭%, এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার ছিল ২৮.৫২%।
- জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল
২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২০৩৪ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ২০২৮ জন এবং ফেল করেছে ৬ জন। ৬০৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ (এ+) অর্জন করেছে। এই সময়ে গড় পাসের হার ছিল ৯৯.৭১%, এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার ছিল ২৯.৮৯%।
- ২০২৪ সালের স্কুল র্যাংকিং
২০২৪ সহপাঠী স্কুল র্যাংকিং অনুযায়ী, কলেজটি জাতীয় পর্যায়ে ৩৭০ তম, বোর্ডে ৩৯ তম, বিভাগে ৪১ তম এবং জেলার মধ্যে ১৪ তম স্থানে অবস্থান করেছে।
- ২০২৪ সালের কলেজ র্যাংকিং
২০২৪ সহপাঠী কলেজ র্যাংকিং অনুযায়ী, কলেজটি জাতীয় পর্যায়ে ৩৫৭ তম, বোর্ডে ২৬ তম, বিভাগে ৩৫ তম এবং জেলার মধ্যে ১৪ তম স্থানে অবস্থান করেছে।
চিত্রসম্ভার
[সম্পাদনা]

আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "LIONS SCHOOL AND COLLEGE, RANGPUR"। www.lscr.edu.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১০।
- ↑ ক খ "History | Lions School and College, Rangpur"। www.lscr.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৩।
- ↑ "LIONS SCHOOL AND COLLEGE, RANGPUR"। www.lscr.edu.bd। ২০২১-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১০।
- ↑ "লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ রংপুর"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Lions School And College Rangpur - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]