লম্বা স্কেলী কুকুর জীব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লম্বা স্কেলী কুকুর জীব
Cynoglossus arel
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Pleuronectiformes
পরিবার: Cynoglossidae
গণ: Cynoglossus
প্রজাতি: C. arel
দ্বিপদী নাম
Cynoglossus arel
(Bloch & J. G. Schneider, 1801)
প্রতিশব্দ

Cynoglossus oligolepis (non Bleeker, 1854)[১]
Cynoglossus macrolepidus (Bleeker, 1851)[২]
Pleuronectes arel Bloch & Schneider, 1801[১]

লম্বা স্কেলী কুকুর জীব (বৈজ্ঞানিক নাম: Cynoglossus arel)[১] (ইংরেজি: Largescale tonguesole) হচ্ছে Cynoglossidae পরিবারের Cynoglossus গণের একটি স্বাদুপানির মাছ[৩][৪]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

দেহ লম্বা, সরু, দেখতে জিহ্বার ন্যায়, চাপা। তুণ্ড গোলাকার বা স্থূলভাবে সূঁচালো। উপরের চোখ নিচের চোখের চেয়ে সামনে থাকে। চষ্ণু অবস্থিত আঁকড়া খাটো যা চোখের সামনে এবং নিচের চোখের সম্মুখে নালাকার নাসারন্ধ্র অবস্থিত। ঠোঁট ঝালরযুক্ত নয়। উলম্ব পাখনা আঁইশযুক্ত। দেহ বাদামী বর্ণের এবং অনিয়মিত কালচে ফোঁটযুক্ত বা ফোঁটাবিহীন।[৫]

স্বভাব এবং আবাসস্থল[সম্পাদনা]

তলদেশেবাসী মাছ, স্বাদু ও লোনা উভয় পানিতে এদের অভিপ্রায়ন ঘটে। তলদেশীয় চ্যাপ্টা মাছ। এই প্রজাতির মাছ তাদের সম্পূর্ণ দেহ মাটির নিচে বালি বা নরম কাদায় লুকিয়ে রেখে শিকারির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে। তলদেশের অমেরুদণ্ডী প্রাণী ও ছোটমাছকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। মহাদেশীয় তাক থেকে ১২৫ মিটার গভীরে বালু ও কাদায় এদের বাস। মোহনায় জোয়ার-ভাঁটার নদীতে এদের পাওয়া যায়।[৫]

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর, পারস্য উপসাগর অঞ্চলে পাওয়া যায়। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এর পূর্বদিক, চীনের দক্ষিণাংশে, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং জাপানের দক্ষিণাংশে পাওয়া যায়।[৫][৬]

অর্থনৈতিক গুরুত্ব[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে এ মাছ অধিক হারে আহরিত হয় না এবং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্ব কম গুরুত্বপূর্ণ। তবে অন্যান্য দেশে এ মাছ সুস্বাদু খাবার হিসাবে খাওয়া হয়। বটম ট্রল এ এ মাছ ধরা হয়। বাজারে এ মাছ টাটকা, হিমায়িত এবং শুটকি হিসাবে বিক্রি হয়। জাপানে এ মাছ সুস্বাদু খাবার হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে কিছু উপজাতি এ মাছ খেয়ে থাকে।[৫]

বাস্তুতান্ত্রিক ভুমিকা[সম্পাদনা]

এ প্রজাতির মাছ তলদেশে শৈবাল ও গলিত এবং পচা খাবার খায়। এভাবে জলজ পরিবেশ পরিষ্কার রাখে।[৫]

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ[সম্পাদনা]

আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়।[৫]

মন্তব্য[সম্পাদনা]

এই প্রজাতি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। মোহনায়, স্বাদু ও ঈষৎ লোনা পানিতে এদের পাওয়া যায়। খাদ্য হিসেবে এ মাছ তেমন জনপ্রিয় নয়। অধিক সংখ্যায় ধরা পড়লে তা রপ্তানি করা হয়। এদের আইশ তুলনামূলকভাবে কম।[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Li, S. and H. Wang (1995) Fauna Sinica, Osteichthyes. Pleuronectiformes., 433p. Fauna Sinica series. Beijing: Science Press.
  2. Masuda, H., K. Amaoka, C. Araga, T. Uyeno and T. Yoshino (1984) The fishes of the Japanese Archipelago. Vol. 1., Tokai University Press, Tokyo, Japan. 437 p. (text).
  3. Kuronuma, K. and Y. Abe (1986) Fishes of the Arabian Gulf., Kuwait Institute for Scientific Research, State of Kuwait, 356 p.
  4. Cabanban, A., E. Capuli, R. Froese and D. Pauly (1996) An annotated checklist of Philippine flatfishes: ecological implications., Presented at the Third International Symposium on Flatfish Ecology, 2-8 November 1996, Netherlands Institute for Sea Research (NIOZ), Texel, The Netherlands.
  5. নাহিদ সুলতানা, এম এ হোসেন (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৯০–২৯১। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য) 
  6. "Cynoglossus arel summary page"FishBase (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৯