রাঞ্ঝনা
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
| রাঞ্ঝনা | |
|---|---|
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পোস্টার | |
| পরিচালক | আনন্দ এল. রাই |
| প্রযোজক | ক্রিসিকা লুল্লা[১] |
| চিত্রনাট্যকার | হিমাংশু শর্মা |
| কাহিনিকার | হিমাংশু শর্মা |
| শ্রেষ্ঠাংশে | ধনুশ সোনম কাপুর অভয় দেওল |
| সুরকার | এ. আর. রহমান |
| চিত্রগ্রাহক | নটরঞ্জন সুবরানিয়াম বিশাল সিনহা |
| সম্পাদক | হেমাল কোথারী |
| প্রযোজনা কোম্পানি | কালার ইয়েলো পিকচার |
| পরিবেশক | ইরস ইন্টারন্যাশনাল |
| মুক্তি |
|
| স্থিতিকাল | ১৪০ মিনিট |
| ভাষা | হিন্দি |
| নির্মাণব্যয় | ₹৩৫০ মিলিয়ন (ইউএস$ ৪.২৮ মিলিয়ন) |
| আয় | ₹ ১.২ বিলিয়ন (ইউএস$ ১৪.৬৭ মিলিয়ন)[৩] |
রঞ্জনা (বাংলা: প্রিয়তমা) হলো ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি রোমান্টিক ড্রামা চলচ্চিত্র, পরিচালনা করেছিলেন আনন্দ লাল রায় এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন হিমাংশু শর্মা। ছবিটি ইরোস ইন্টারন্যাশনালের ব্যানারে নির্মাণ করেছেন কৃষ্ণা লুল্লা। এতে প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ধনুষ, সোনম কাপুর এবং অভয় দেওল। তামিল নায়ক ধনুষ এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথমবারের মত বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। ২১শে জুন ২০১৩ তে ছবিটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় এবং এক সপ্তাহ পর এর তামিল সংষ্করণ আম্বিকাপাথি মুক্তি দেওয়া হয়। তামিল সংষ্করণের জন্য সংলাপ লিখেছিলেন জন মাহেন্দ্র।
ছবির আবহসঙ্গীত ও সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন এ. আর. রহমান| সঙ্গীত রচনা করেছেন ইরশাদ কামিল (হিন্দি) ও বৈরামুথু (তামিল)।
মুক্তির এক সপ্তাহের মাঝেই ছবিটির আয় নিজ দেশ ভারতে ৩৪.৯ কোটি রুপিতে পৌছায় এবং বক্স অফিস ভারতের কাছ থেকে ব্যবসাসফল ছবির স্বীকৃতি পায়। প্রথম চার সপ্তাহে ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৭০ কোটি রুপি আয় করে।
কাহিনী
[সম্পাদনা]একটি মুসলিম মেয়ের সাথে একটি সনাতন ধর্মাবলম্বী ছেলের প্রেমকে ঘিরে এ সিনেমার কাহিনীর সূত্রপাত ঘটে ।
কুন্দন, বারানসির এক তামিল পুরোহিত পরিবারের ছেলে, এক মুসলিম মেয়ে জোয়ার প্রেমে পড়ে এবং তাকে জয় করার জন্য অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু সফল হয় না। কুন্দনের আচরণে জোয়ার পরিবার সন্দেহ করে যে সে কোনো হিন্দু ছেলেকে পছন্দ করে এবং তাকে আলীগড়ে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দেয়। জোয়া অনুপস্থিত থাকাকালে, কুন্দন তার পরিবারের সঙ্গে মিশে তাদের ভালোবাসা অর্জনের চেষ্টা করে। পরে, জোয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায় এবং ছাত্রনেতা আকরাম জায়দির প্রেমে পড়ে।
আট বছর পর, জোয়া বাড়ি ফিরে আসে, আর কুন্দন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু, জোয়া ধর্ম ও সামাজিক শ্রেণির পার্থক্যের কারণে তাকে আবার প্রত্যাখ্যান করে এবং আকরামের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানায়। কুন্দন রেগে গেলেও, যখন জোয়া তাকে আকরামের সঙ্গে তার পরিবারের সামনে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে, সে রাজি হয়। কুন্দন প্রতিশ্রুতি দেয় যে সেও অন্য কাউকে বিয়ে করবে এবং জোয়াকে ভুলে যাবে। এরপর সে তার শৈশবের বন্ধু বিন্দিয়ার কাছে যায়, যে অনেক বছর ধরে তাকে ভালোবাসে, এবং তাকে জানায় যে সে এখন তাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত। বিন্দিয়া আনন্দে মেতে ওঠে এবং তাদের বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়।
জোয়ার বিয়ের দিন, কুন্দন জানতে পারে যে আকরাম আসলে একজন শিখ ব্যক্তি, যার প্রকৃত নাম জসজিৎ, এবং সে তার পরিচয় লুকিয়েছে। ক্রুদ্ধ হয়ে কুন্দন এই সত্যটি জোয়ার পরিবারকে জানায়। জসজিৎকে অপহরণ করে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়, এবং জোয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কুন্দন তাদের সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই তার বিয়ে মিস করে ফেলে, ফলে তার পরিবার তাকে ত্যাগ করে। অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, কুন্দন জোয়াকে জসজিৎ-এর কাছে নিয়ে যায়, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে যে প্রহারের আঘাতে জসজিৎ ইতোমধ্যেই মারা গেছে। এই দুঃখে কুন্দন পালিয়ে যায় এবং দিশাহীন ঘুরে বেড়ায়।
ভবঘুরে হয়ে যাওয়া কুন্দন একদিন এক অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে উপদেশ পায় যে তাকে সঠিক কাজটি করা উচিত। এরপর সে জোয়াকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে খুঁজে বের করে, যেখানে সে জসজিৎ-এর রাজনৈতিক দল, অল ইন্ডিয়া সিটিজেন পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছে। কুন্দন দলে যোগ দেয় এবং ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠে, কিন্তু জোয়া তাকে ক্ষমা করতে অস্বীকৃতি জানায়। বরং, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিলে কুন্দনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
একটি দলীয় অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় কুন্দন গুলিবিদ্ধ হয় এবং হাসপাতালে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে, জোয়া স্বীকার করে যে কুন্দনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে সে জড়িত ছিল, এবং জানতে পারে যে কুন্দন এ বিষয়ে আগে থেকেই জানত কিন্তু তবুও অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এই সত্য জেনে সে হতভম্ব হয়ে যায় এবং দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যায় কুন্দনের কাছে। মৃত্যুশয্যায় কুন্দন স্বপ্ন দেখে যে সে বারানসিতে আবার জন্ম নেবে এবং পুনরায় জোয়ার প্রেমে পড়বে।
অভিনয়ে
[সম্পাদনা]- ধনুষ: কুন্দন শঙ্কর চরিত্রে
- সোনম কাপুর : জয়া হায়দার চরিত্রে
- অভয় দেওল : যশজিত সিংহ/আকরাম জায়েদি চরিত্রে
- সুরজ সিংহ : আনন্দ চরিত্র
- স্বরা ভাস্কর : বিন্দিয়া চরিত্রে
- মোহাম্মদ জিশান আইয়ুব : মুরারি চরিত্রে
- শিল্পী সারওয়াহা : রেশমি চরিত্রে
- বিপিন শার্মা : কুন্দনের বাবা চরিত্রে
নির্মাণ
[সম্পাদনা]প্রস্তুতি
[সম্পাদনা]২০১১ সালে সোনাক্ষী সিনহা ও শহীদ কাপুরকে জয়া ও কুন্দন চরিত্রের জন্য বাছাই করা হয়েছিল; কিন্তু প্রভুদেবার পরবর্তী আর...রাজকুমার ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় তারা সেই ছবির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।পরবর্তীতে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে তামিল নায়ক ধনুষকে কুন্দন চরিত্রের জন্য রাজি করানো হয়। ২০১২ সালের মার্চ মাসে সোনম কাপুর জয়া(Zoya) চরিত্রের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন এবং বিশেষ একটি চরিত্রে অভয় দেওলকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। ছবিটির কোরিওগ্রাফার অরবিন্দ কাউর মূল চরিত্রদ্বয়ের কিশোর ও তরুণ উভয় বয়স ফুটিয়ে তোলার উপযোগী হবে সেদিকটিও লক্ষ্য রেখে নায়ক নায়িকা নির্বাচন করেন। এছাড়া শুটিং শুরুর পূর্বে সোনম কাপুরকে নিয়ে তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
চলচ্চিত্রায়ণ
[সম্পাদনা]সঙ্গীত
[সম্পাদনা]১) রঞ্জনা হুয়া মে তেরা
মুক্তি
[সম্পাদনা]সমালোচকদের সাড়া
[সম্পাদনা]বক্স অফিস
[সম্পাদনা]পুরস্কার এবং মনোনয়ন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Dibyojyoti Baksi। "Jaya Bachchan's performance in Guddi inspired me: Sonam Kapoor"। Hindustan Times। ২৪ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "'Ambikapathy' release postponed"। Sify। ১৪ জুন ২০১৩। ১৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৩।
- ↑ "Dhanush makes his mark in Bollywood"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রাঞ্ঝনা (ইংরেজি)
- অনুবাদের পর নিরীক্ষণ জরুরি নিবন্ধসমূহ
- হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০১৩-এর চলচ্চিত্র
- ভারতীয় আন্তঃসম্পর্কীয় প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র
- উত্তরপ্রদেশের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র
- উত্তরপ্রদেশে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- দিল্লিতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- এ. আর. রহমান সুরারোপিত চলচ্চিত্র
- হরিয়ানায় ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- বারাণসীতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র