রাগেবুল আহসান রিপু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাগেবুল আহসান রিপু বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৯ সাল থেকে এখনো বগুড়া জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। [১]

Ragebul Ahsan Ripu
রাগেবুল আহসান রিপু

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

রাগেবুল আহসান রিপু একেবারে ছাত্রাবস্থায় জড়িয়ে পড়েন প্রগতীশীল ছাত্ররাজনীতিতে। এরপর ধীরে ধীরে তিনি ১৯৭২ সালে বগুড়া শহর ছাত্রলীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে শুরু তার রাজনৈতিক পদচারনা। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি বাংলাদেশের কঠিন সময়ে ছাত্রলীগের পতাকা তলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এগিয়ে চলা সাহসী যুবক রাগেবুল আহসান রিপু। বগুড়া শহর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পড়ার জন্য চলে আসেন ঢাকা কলেজে। তিনি ১৯৭৪ সালে নির্বাচিত হন ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। ১৯৭৭ সালে ঐতিহ্যবাহি বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রিড়া সম্পাদক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন বিপুল ভোটে। ১৯৭৯ সালে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন বগুড়া জেলা ছা্ত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। তার রাজনৈতিক জীবনকে আরো সমৃদ্ধ করে ১৯৮১ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাস্কৃতিক সম্পাদক পদটি। বগুড়া এবং ঢাকা দুটো শহরেই তার নেত্রীত্বগুণাবলী প্রশংসিত হতে থাকে। তার ফলে ১৯৮৬ সালে তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তিনি আবারো ৯০এর দশকে মাটির টানে ফিরে আসেন বগুড়া শহরে। ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হন বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৪ এবং ২০১১ সালে জেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৯ সাল থেকে এখনো বগুড়া জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।  ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২][১]

জন্ম ও পারিবারিক ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

এই অঞ্চলেই জনাব ওয়াজেদ আলী তালুকদার বাবু ও জনাবা কাজলী তালুকদার এর কোল আলোকিত করে ১৯৫৬ সালের ৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন রাগেবুল আহসান রিপু। রাজনৈতিক পরিবারে রেড়ে ওঠার ফলে শৈশব থেকেই স্বপ্ন দেখতেন দেশ ও মানুষের সমৃদ্ধির কথা।

তার বাবা জনাব ওয়াজেদ আলী বাবু ৭৫ পরবর্তি দুঃসময়ে একটানা ১৫ বছর বগুড়া সদর থানার আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নমুজা ইউনিয়নের ২৫ বছরের চেয়ারম্যান ছিলেন। এবং তার নানা বগুড়া নিউমার্কেটের স্বত্তাধিকারী মরহুম আহসানুল্লাহ বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

এছাড়াও তাঁর পরিবারের রয়েছে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্য। তার ফুপাতো ভাই শহীদ মোস্তাফিজার রহমান (পটল) ছিলেন জনপ্রিয় ও সফল এম.পি  এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে । তিঁনি ১৯৭৫ সালে এম.পি হোস্টেলে ঘাতকদের হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন।

রাগেবুল আহসান রিপুর ফুপা মতিয়ার রহমান ভান্ডারি ছিলেন বগুড়ার বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী।

তাঁর চাচা মরহুম প্রফেসর নূরুল ইসলাম ছিলেন একজন সনামধন্য জাতীয় অধ্যাপক।

এছাড়াও তার আরেক চাচা এম.আর আখতার মুকুল, যিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রচারিত ব্যপক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান "চরমপত্র" এর পাঠক।

ক্রিড়াঙ্গনে পদচারণা[সম্পাদনা]

পারিবারিক এবং রাজনৈতীক জীবনের বাইরে তিনি একজন সংস্কৃতি ও ক্রিড়া প্রেমী মানুষ। তিনি ১৯৯৬ সালে বগুড়া জেরা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন। ১৯৯৮ সালে নির্বাচিত হন বগুড়া জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহ-সভাপতি পদে। এছাড়াও রাগেবুল আহসান রিপু প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বাঙ্গালী সংস্কৃতি সংসদ, নন্দন বিদ্যা নিকেতন ও পুন্ডনগর সমবায় সমিতির। পাক্ষিক মুক্তবাংলার সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

রাগেবুল আহসান রিপুর রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের সাথী স্ত্রী জুবায়দা আহসান জবা। তিনি নিজেও একজন সমাজ সেবী। রাগেবুল আহসান ‍রিপুর বর্নিল কর্মময় জীবনে সব সময় পাশে থেকে সহযোগী ভূমিকা পালন করেন জুবায়দা আহসান জবা। তিনিও নিরলস ভাবে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের পরিবারে রয়েছে তিন পুত্র সন্তান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রতিনিধি, বগুড়া। "বগুড়া-৬ আসনে জয়ী আওয়ামী লীগের রাগেবুল"bdnews24। ২০২৩-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০১ 
  2. "বগুড়া-৬ আসনে রাগেবুল আহসান জয়ী - Bhorer Kagoj"www.bhorerkagoj.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০২