রঞ্জন মল্লিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রঞ্জন মল্লিক
জন্ম (1964-11-15) ১৫ নভেম্বর ১৯৬৪ (বয়স ৫৯)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তন
পরিচিতির কারণএকাধিক-ইনপুট একাধিক-আউটপুট সিস্টেম
পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্র
প্রতিষ্ঠানসমূহ

রঞ্জন কুমার মল্লিক (জন্ম: ১৫ নভেম্বর ১৯৬৪) হলেন একজন ভারতীয় বৈদ্যুতিক ও যোগাযোগ প্রকৌশলী এবং দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।[১] তিনি ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আইআইটি দিল্লিতে জয় গুপ্তা চেয়ার[২] এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্রিগেডিয়ার ভোপিন্দর সিং চেয়ারে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৩] তিনি একাধিক-ইনপুট একাধিক-আউটপুট সিস্টেমের উপর গবেষণার জন্য পরিচিত[৪] এবং তিনটি প্রধান ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি - ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমী,[৫] ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমী[৬] এবং ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্সের (ইন্ডিয়া)[৭] একজন নির্বাচিত ফেলো। এছাড়াও তিনি দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্সেস,[৮] ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং[৯] এবং দ্য ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স, ইনকর্পোরেটেডের[১০] একজন নির্বাচিত ফেলো। বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ভারত সরকারের শীর্ষ সংস্থা কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ প্রকৌশল বিজ্ঞানে তার অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার প্রদান করে, যা প্রধান ভারতীয় বিজ্ঞান পুরস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম।[১১]

জীবনী[সম্পাদনা]

ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান দিল্লি

আর. কে. মল্লিক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতায় ১৯৬৪ সালের ১৫ নভেম্বরে রাধারমণ মল্লিক ও তাপতির গৃহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, কানপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক ডিগ্রী অর্জন করেন।[১২][১৩] তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় উচ্চ শিক্ষার্থে গমন করেন, এবং সেখানে ১৯৮৮ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস সম্পন্ন করেন ও পরবর্তিতে ১৯৯২ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[১] ভারতে ফিরে তিনি একই বছর হায়দ্রাবাদের ডিফেন্স ইলেকট্রনিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি একজন গ্রেড সি বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৪ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুরে লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত সেখানে দুই বছর কাজ করেন।[১৪] আইআইটি খড়গপুরে তার অবস্থান ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল, যেখানে ১৯৯৫-৯৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, গুয়াহাটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে এবং ১৯৯৮ সালে তিনি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান। এর মধ্যে তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনে আইডিআরসি রিসার্চ চেয়ারে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জয় গুপ্তা চেয়ারে[২] এবং ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্রিগেডিয়ার ভোপিন্দর সিং চেয়ারে[৩] অধিষ্ঠিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি আইআইটি দিল্লির ভারতী স্কুল অব টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ফ্যাকাল্টি হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।[১৫] মল্লিক সুমনা দাসগুপ্তকে বিয়ে করেছেন এবং এই দম্পতির উপমন্যু নামে একটি সন্তান রয়েছে।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Professor"। IIT Delhi। ২০১৭। ৩০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  2. "Jai Gupta chair"। IITD Archives। ২০১৭। 
  3. "Brigadier Bhopinder Singh Chair"। IITD Chairs। ২০১৭। 
  4. "Brief Profile of the Awardee"। Shanti Swarup Bhatnagar Prize। ২০১৭। 
  5. "Fellow profile"। Indian Academy of Sciences। ২০১৬। 
  6. "Indian fellow"। Indian National Science Academy। ২০১৬। ৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  7. "NASI fellows"। National Academy of Sciences, India। ২০১৬। ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  8. "TWAS fellow"। The World Academy of Sciences। ২০১৬। ৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  9. "INAE fellows"। Indian National Academy of Engineers। ২০১৬। ৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  10. "IEEE Fellows Directory"। Institute of Electrical and Electronics Engineers। ২০১৬। 
  11. "View Bhatnagar Awardees"। Shanti Swarup Bhatnagar Prize। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬ 
  12. "Getting ahead of the curve in wireless communications"। International Development and Research Center। ২০১৭। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  13. "Education"। RK Mallik.com। ২০১৭। 
  14. "Work experience"। RK Mallik.com। ২০১৭। 
  15. "Bharti School"। Bharti School of Telecommunication Technology and Management। ২০১৭। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]