রংপুর জেলার চিত্তাকর্ষক ও বিনোদন স্থানসমূহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রংপুর জেলা বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি বিভাগীয় শহর। এ জেলাটি প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শনের জন্য সুপরিচিত। আধুনিক সময়ে তৈরী হয়েছে অনেক বিনোদন স্পট ও চিত্তাকর্ষক স্থান।

চিত্তাকর্ষক ও বিনোদন স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

'প্রজন্ম', মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য, রংপুর কারমাইকেল কলেজ
তাজহাট রাজবাড়ী
  1. কারমাইকেল কলেজ,
  2. তাজহাট রাজবাড়ী,
  3. মন্থনা জমিদার বাড়ি,
  4. ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি,
  5. শ্রী জ্ঞানেন্দ্র নারায়ণ রায়ের জমিদার বাড়ি,
  6. ভিন্ন জগৎ পার্ক,
  7. রংপুর চিড়িয়াখানা,
  8. পায়রাবন্দ,
  9. কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার
  10. ঘাঘট প্রয়াস পার্ক : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রায় ১১০০ একর জায়গা নিয়ে ২০১৩ সালে ঘাঘট নদীর দুপাশে গড়ে তুলেছে প্রয়াস সেনা বিনোদন পার্ক। নদী পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থা আছে। বেশ গোছানো এ পার্কের উপার্জনের ৭৫ শতাংশ ব্যয় হয় প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে। এই পার্ক ও পিকনিক স্পটটি গড়ে উঠেছে মূলত ঘাঘট নদীর দুই পাড় ও এর আশেপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে। নদীর অন্য পারে তিস্তা, করতোয়া ও যমুনা নামে গড়ে তোলা তিনটি পিকনিক স্পট রয়েছে, যেখানে ২০০-২৫০ জন পর্যটক অনায়াসেই আনন্দ উদযাপন করতে পারবেন।
  11. চিকলি বিল ও পার্ক : রংপুরের হনুমান তলা এলাকার শত বছরের প্রাচীন চিকলী বিল। শীতকালে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত থাকে এই জলাধার। বিলের চারপাশ সংরক্ষণ করে পুরো এলাকাটি বিনোদন পার্ক হিসেবে গড়ে তোলে সিটি কর্পোরেশন। বিলে ঘোরার জন্য আছে স্পীড বোট। গত কয়েক বছরে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ কেড়েছে জায়গাটি। দুরদুরান্ত থেকে দল বেঁধে বনভোজন করতে আসেন অনেকেই। চিকলী বিলে শিশুদের চিত্ত বিনোদনের জন্য ট্রেন, চরকীসহ বিভিন্ন ধরনের রাইডও স্থাপন করে নগর কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের পয়লা বৈশাখ প্রয়াত সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বিলের চারপাশে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রায় ১০০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় চিকলি পার্ক। স্থাপন করা হয় বেশ কিছু রাইডার।[১][২]
  12. আনন্দনগর : এ পার্কটি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের খালাশপীর বড়দরগাহ্ নদীর পার্শ্বে অবস্থিত। বগুড়া রংপুর মহাসড়ক হতে পীরগঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে মদনখালী ইউনিয়ন পরিষদের সামন দিয়ে সড়ক পথে বাস যোগে যাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
  13. দেবী চৌধুরাণীর পুকুর : শত বছরের কাল পরিক্রম করে কৈকুড়ী ইউনিয়ন অবস্থিত রামচন্দ্রপাড়া গ্রামে শ্রীব্রজেশ্বর এর মেয়ের নাম প্রফুল্ল ওরফে দেবী চৌধুরাণী স্মৃতিবিজরীত একটি ঐতিহ্যবাহী পুকুর ও বাড়ী নির্দশন বিলুপ্ত স্থান রয়েছে। দেবী চৌধুরাণীর সেই পুকুরটি বর্তমান চৌধুরাণী সরকারের আওতায় রয়েছে। দেবী চৌধুরাণী পুকুরে দক্ষিণ পাড়ে সুন্দর জামে মসজিদ রয়েছে। কেন্দ্রীয় মসজিদটি তিন তলা বিশিষ্ট ও পুকুর সংলগ্ন পাকা সিড়ি রয়েছে। প্রতিদিন কেন্দ্রীয় মসজিদটিতে শত শত মুসুল্লিগণ নামাজ আদায় করেন। দেবী চৌধুরাণীর পুকুরের পাড় দিয়ে একটি ঐতিহ্যবাহী হাট রয়েছে।
  14. তিস্তা সড়ক ও রেল সেতু : এটি কাউনিয়া উপজেলায় অবস্থিত। রেল সেতু ও সড়হ সেতু লালমনিরহাট জেলা ও কুড়িগ্রাম জেলার সাথে সংযোগ তৈরী করেছে। তিস্তা নদীর উপর নির্মিত সেতু দুটিতে দাঁড়িয়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
  15. মহিপুর ঘাট সেতু : রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার মধ্যে সংযোগ সেতু। এটিদে দাঁড়িয়ে তিস্তার পানি প্রবাহের দৃশ্য অবলোকন করা যায়।
  16. মিঠাপুকুর শালবন : রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টি গোপালপুর এলাকার শালবন। বনবিভাগের ২২৬ একর এলাকা নিয়ে ২০১৩ সালে শুরু হয় ইকোপার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ। এখানে রয়েছে পাকা সড়ক, ২০টি ব্রেঞ্চ, দোলনা, পিকনিক স্পট, দর্শনার্থীদের বিশ্রাম কক্ষ, ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক, ছাতা, গোলঘর।

মিঠাপুকুর উপজেলার রানিপুকুর ও লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল, ভিকনপুর, মামুদপুর তিন গ্রামের সীমানায় অবস্থিত মোঘল আমলের "নির্মিত তনকা মসজিদ"। একই উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের ফুলচৌকির মোঘল আমলের নির্মিত মসজিদ, সুড়ুং পথ, শালবনের ভিতরের মন্দির, সহ অনেক পুরাতন স্থাপনা আছে এই গ্রামে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "রংপুরে আকর্ষণীয় চিকলি বিল"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২১-০৩-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৮ 
  2. বিনোদন, বিল (১৮ ডিসেম্বর ২০২১)। "রংপুর চিকলির বিল"রংপুর জেলা। ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২১