খালেদুর রহমান টিটো
মোহাম্মদ খালেদুর রহমান টিটো | |
---|---|
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ এবাদত হোসেন মন্ডল |
উত্তরসূরী | গাজী আব্দুল হাই |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | তরিকুল ইসলাম |
উত্তরসূরী | কাজী নাবিল আহমেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
মোহাম্মদ খালেদুর রহমান টিটো( ১ মার্চ ১৯৪৫- ১০ জানুয়ারি ২০২১) একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী এবং যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]১৯৪৫ সালের ১ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট হবিবুর রহমান। মাতা মরহুম করিমা খাতুন। সাত ভাইবোনের মধ্যে টিটো দ্বিতীয়। ১৯৬০ সালে এখান থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকার কায়েদে আজম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৬৭ সালে কারাগারে থাকার সময়ই যশোর এমএম কলেজ থেকে তার গ্রাজুয়েশন হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হলেও রাজনৈতিক কারণে পড়া শেষ করতে পারেননি টিটো।[৩]
পেশা
[সম্পাদনা]১৯৬৩ সালে যশোর এমএম কলেজে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনীতি হাতে খড়ি হয় খালেদুর রহমান টিটোর। পরে বাম ধারার শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।১৯৭৪ সাল থেকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী-ন্যাপ) করা এ নেতা ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ন্যাপের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানকে সমর্থন দিয়েছিলেন। পরে ১৯৮১ সালে ‘গণতান্ত্রিক পার্টি’ গঠিত হলে তিনি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন।১৯৮৪ সালে যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।তিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৪] ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে যশোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।[১] সে মেয়াদে তিনি মন্ত্রী ছিলেন।তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলেও কাজ করেছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ১৯৯১ এর শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হন এবং ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০০ সালের ৯ মার্চ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল উপহার দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। [৫] তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। [২] ২০০২ সালের ২২ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তারিকুল ইসলাম, দৈনিক লোকসমাজের প্রকাশক, মানহানির অভিযোগে মামলা করেন। [৬] ২০১৫ সালের মার্চ মাসে যশোরের তার বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। [৭]
পারিবারিক জীবন
১৯৭২ সালের ১৮ মে যশোর শহরের চুড়িপট্টি এলাকার মেয়ে রওশন আরা বেগম বিন্তকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তিনি তিন পুত্রসন্তানের জনক। তার স্ত্রী ২০০৭ সালে মারা যান।
তার বড় ছেলে বড় ছেলে মাশুক হাসান জয় একজন ব্যাবসায়ী
তার মেজ ছেলে খালিদ হাসান জিউস একজন আইনজীবী
মৃত্যুঃ তিনি ২০২১ সালের ১০ ই জানুয়ারী বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যু বরণ করেন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১০।
- ↑ "সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদুর রহমান টিটো আর নেই"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১২।
- ↑ প্রতিনিধি, যশোর; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "যশোরের রাজনীতিক খালেদুর রহমান টিটো মারা গেছেন"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০২১-০১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১২।
- ↑ "Former minister Tito joins AL today"। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ মার্চ ২০০৬। ১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Former minister Tarikul, wife sued"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Cocktails blasted at ex-MP's house, son hurt"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৮।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |