মূল ভূখণ্ড
অবয়ব
মূল ভূখণ্ড বলতে সাধারণত কোনো দেশ বা মহাদেশের প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত একটি অঞ্চল বা ভূখণ্ডকে বোঝায়, যার মধ্যে পার্শ্ববর্তী দ্বীপসমূহ অন্তর্গত নয়। এছাড়া সমুদ্রের অপর প্রান্তের অঞ্চল ব্যতীত কোনো দেশের বাকি অংশকে বোঝানোর জন্য "মূল ভূখণ্ড" কথাটি ব্যবহার করা হয়। আবার, "মূল ভূখণ্ড" বলতে কোনো অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ অংশকেও বোঝাতে পারে, যার বিপরীতে রয়েছে প্রান্তীয় অংশ।
অনেকসময় "মূল ভূখণ্ড" কথাটি আপেক্ষিকভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সাপেক্ষে ভারতের বাকি অংশকে "ভারতের মূল ভূখণ্ড" বলা হয়; আবার উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাপেক্ষে যুক্তরাজ্যের বাকি অংশ, অর্থাৎ গ্রেট ব্রিটেনকে "যুক্তরাজ্যের মূল ভূখণ্ড" বলা হয়, যদিও গ্রেট ব্রিটেন নিজেই একটি দ্বীপ।
ব্যবহার
[সম্পাদনা]- ইউরোপের মূল ভূখণ্ড বলতে পার্শ্ববর্তী দ্বীপসমূহ ব্যতীত ইউরোপ মহাদেশের বাকি অংশকে বোঝায়। দ্বীপরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে একে অনেকসময় "দ্য কন্টিনেন্ট" (the Continent, আক্ষ. 'মহাদেশ') বলে অভিহিত করা হয়, যদিও যুক্তরাজ্য নিজেই ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্গত।
- চীনের মূল ভূখণ্ড বলতে স্বায়ত্তশাসিত হংকং ও মাকাও ব্যতীত গণচীন-শাসিত বাকি অংশকে বোঝায়। এখানে এমনকি গণচীন-শাসিত হাইনান দ্বীপও চীনের মূল ভূখণ্ডের অন্তর্গত।
- ভারতের মূল ভূখণ্ড বলতে উত্তর-পূর্ব ও দুই দ্বীপীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও লাক্ষাদ্বীপ) ব্যতীত ভারতের বাকি অংশকে বোঝায়।