মিয়ানমার–লাওস সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লাও-বর্মী সম্পর্ক
মানচিত্র Myanmar এবং Laos অবস্থান নির্দেশ করছে

মিয়ানমার

লাওস

লাওসমিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। দেশ দুটির সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের, ক্ষেত্রেবিশেষে জটিল। ষোড়শ শতক হতে দেশ দুটির মধ্যযুগীয় শাসকদের মাঝে রাজ্য দখলের যুদ্ধের ইতিহাস আছে। স্বাধীন হওয়ার পর সরকারী ভাবে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালে।[১] বর্তমানে ভিয়েনতিয়েনে মিয়ানমারের একটি দূতাবাস এবং ইয়াঙ্গুনে লাওসের একটি দূতাবাস রয়েছে।

ইতিহাস এবং আধুনিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

যদিও উভয় দেশ অভিন্ন থেরাবাদ বৌদ্ধধর্মের অনুসারী, তবুও ষোড়শ শতক হতে দেশ দুটি মাঝে মাঝে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। বর্মী রাজা বেইন্নাউং-এর শাসনামলে টাংগু রাজবংশ লাওস জয় করেছিল।[২] ল্যান জাং রাজবংশের লাও রাজা শেত্তাথিরথ বার্মিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন কিন্তু ব্যর্থ হন।[৩] টাংগু সাম্রাজ্যের পতনের সাথে, লাওতিয়ানরা শীঘ্রই তাদের হারানো রাজ্য বার্মিদের থেকে পুনরুদ্ধার করে।

কোনবং রাজবংশের শাসনামলে বার্মিরা দ্বিতীয়বারের মতো লাওস জয় করে, ল্যান জাংরা এবার আর প্রতিরোধ করতে পারেনি।[৪] প্রথম আক্রমণের মতোই, বর্মিরা চীনাদের সাথে যুদ্ধের কারণে পর্যদস্তু হয়, চীনাদের হাতে বিধ্বস্ত বর্মিদের কাছ থেকে ল্যান জাং সম্রাজ্য দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে।[৪]

১৯ শতকে, উভয়ই আলাদাভাবে ব্রিটিশ এবং ফরাসি উপনিবেশে পরিণত হয়। ঔপনিবেশিক সময়ে, উভয়ের মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল না। স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫৫ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চালাকালীন সময় লাওসের সাথে বার্মা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ১৯৬৭ সালে বার্মা ভিয়েনতিয়েনে তাদের প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়।[১]

সহযোগিতা[সম্পাদনা]

১৯৯০ সাল থেকে, উভয়ই আসিয়ানে যোগদানের সাথে সাথে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা শুরু হয়। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য দেশ দুটি 'মিয়ানমার-লাওস যৌথ কমিশন' গঠন করে।[৫] ২০১৫ সালে, দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক মৈত্রী সেতু চালু করা হয়েছিল।[৬] দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ব্যাংকিং চ্যনেল স্থাপন ও কূটনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের চেষ্টা করেছে।[৭]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Myanmar - Lao PDR Bilateral Relations"www.myanmarembassy-vte.org। ২০১৯-০৬-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-৩০ 
  2. Hays, Jeffrey। "TOUNGOO DYNASTY (1510–1752) - Facts and Details"Factsanddetails.com। ৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. Woolf, Alex (২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। The History of the World। Arcturus Publishing। আইএসবিএন 9781788880213। ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  4. Stuart-Fox, Martin (৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। Historical Dictionary of Laos। Scarecrow Press। আইএসবিএন 9780810864115। ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  5. moyek (২০২০-০৪-১৩)। "Lao PDR and Myanmar to Work on a New Cooperation Master Plan"Greater Mekong Subregion (GMS) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-৩০ 
  6. "The Friendship Bridge between Laos and Myanmar is officially opened"Investlaos.gov.la। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ 
  7. Southivongnorath, Souknilundon (২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Laos, Myanmar to enhance cooperation in finance, banking"Asia News Network। ১৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ 

আরও পাঠ্য[সম্পাদনা]