মাধবপাশা জমিদার বাড়ি
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (জুন ২০২২) |
মাধবপাশা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | চন্দ্রদ্বীপের রাজবাড়ি মাখন রাজার বাড়ি রাজা সতীন্দ্র নারায়ণের বাড়ি |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | বাবুগঞ্জ উপজেলা |
ঠিকানা | মাধবপাশা |
শহর | বাবুগঞ্জ উপজেলা, বরিশাল জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | আনুমানিক ১৬১১ খ্রিঃ |
বন্ধ | ১৯৫০ |
স্বত্বাধিকারী | রাজা রামচন্দ্র |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
মাধবপাশা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা নামক স্থানে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। যা আগে একটি রাজবংশ ছিলে। পরে রাজবংশ থেকে জমিদারে পরিণত হয়। [১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই জমিদার বংশধররা মূলত একটি রাজবংশ ছিল। তাদের ছিল স্বাধীন রাজত্ব। প্রায় ১৪০০ শতক থেকে ১৬০০ শতক পর্যন্ত তারা স্বাধীনভাবে রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন। পরবর্তীতে মুগল শাসনামলে ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দে রাজা রামচন্দ্র মুগল বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর এটি রাজশাসন থেকে জমিদারে পরিণত হয়। অর্থাৎ মুগলদের শাসনের আওতাধীন তারা জমিদারী এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে এটি রাজপরিবার থেকে জমিদার পরিবারে পরিণত হয়। সেই মোতাবেক রামচন্দ্রই এই জমিদার বাড়ির প্রথম জমিদার। এরপর কীর্তিনারায়ণ, বাসুদেবনারায়ণ, প্রতাপনারায়ণ, প্রেমনারায়ণ, উদয়নারায়ণের, শিবনারায়ণ, লক্ষ্মীনারায়ণ ও জয়নারায়ণ জমিদার হন। তবে এই বংশের গোড়াপত্তনকারী ছিলেন চন্দ্রদ্বীপ রাজ। তিনি হলেন রাজবংশের গোড়াপত্তনকারী এবং প্রথম রাজা। ব্রিটিশ শাসনামলে চিরস্থায়ী বন্দবস্ত এর সময় জমিদার ছিলেন জয়নারায়ণ। তখন এর রাজস্ব ধরা হয়েছিল ৮৩০০০ সিক্কা। যা জয়নারায়ণের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব ছিলো না। যার ফলস্বরূপ ১৭৯৯ সালে এই জমিদারী নিলামে উঠে। নিলামের মাধ্যমে এই জমিদারীর অধিকাংশ ক্রয় করেন সিংহ, জর্জ প্যানিয়াটি এবং মানিকমুদি নামে তিনজন। পরে জমিদারীর কিছু অংশ বাকী থাকে। আর এইভাবে বড় একটি রাজপরিবার থেকে জমিদার। আবার জমিদার থেকে একদম নিঃস্ব হয়ে যায় জমিদার বংশধররা। অবশেষে ১৯৫০ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্তীর আইনের মধ্য দিয়েই এই জমিদার বাড়ির জমিদারীর অবসান ঘটে।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]এখানে এখন ১৮০০ শতকে নির্মিত একটি ছয় কক্ষ বিশিষ্ট্য ভবন ও একটি দ্বিতল বিশিষ্ট্য দুর্গা মন্দির রয়েছে। আর এই বংশের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে দুর্গাসাগর দিঘি রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "চন্দ্রদ্বীপের রাজবাড়ি, মাধবপাশা!"। ২০ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৯।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |