মহিলা পক্ষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহিলা পক্ষ
ধরনসংবাদপত্র
মালিকশ্রীবাস্তব পরিবার
প্রধান সম্পাদকসমন্বয় কুমার
ভাষাহিন্দি
সদর দপ্তরগোয়ালিয়র, মধ্যপ্রদেশ, ভারত
শহরগোয়ালিয়র
দেশভারত

মহিলা পক্ষ হল একটি ভারতীয় মহিলা সংবাদপত্র, যেটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে হিন্দিতে প্রকাশিত হয়। হিন্দি মহিলা পক্ষ–নামটির অর্থ "মহিলা দল"। এই সংবাদপত্রটি প্রাক্তন ব্যুরো চিফ রূপেশ শ্রীবাস্তবের মস্তিষ্কপ্রসূত।[১] এটি নারীর প্রতি সংঘটিত নৃশংসতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সাফল্যের বিষয়গুলিকে অনুসরণ ক'রে খবর প্রকাশ করে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এবং এর প্রকাশনার কাজ করে শ্রীবাস্তব পরিবার। কাগজটি সদস্য তৈরির মাধ্যমে কাজ করে, এদের সদস্যপদের মূল্য প্রতি বছরে দুই ডলার এবং পঞ্চাশ সেন্ট।

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

সারা ভারত থেকে সাংবাদিকদের গল্প তুলে ধরার মাধ্যমে, কাগজটি নারীদের ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে এটি তাদের গ্রাহক বা পাঠক হিসেবে মনে না ক'রে বরং সদস্য হিসেবে ব্যবহার করে। কাগজটি সমস্ত মহিলা সম্পর্কিত বিষয়গুলির জন্য কর্তব্য, স্বকীয়তা, সম্মান এবং সংবেদনশীলতার অনুভূতি প্রদান করে। কাগজের উদ্ধৃত কার্যক্রম প্রকাশ করেছেন সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক সমন্বয় কুমার, সেটি হলো: "আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল মহিলাদের মধ্যে সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে নয় বরং নিজের জন্য সচেতনতা তৈরি করা। তাঁরা নিজেদের বোঝেন না এবং নিজেদের ক্ষমতা উপলব্ধি করেন না। আমরা চাই তাঁরা তাঁদের সম্ভাবনা, যোগ্যতা এবং সামর্থ্যের স্বীকৃতি পান। তাঁরা নিজেদের জন্য স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।"[২]

প্রান্তিক স্তরে সহায়তা[সম্পাদনা]

এই সংবাদপত্রে ভারত জুড়ে মহিলারা সত্য ঘটনা জমা দেন - তবে এখানে এমন অনেক গল্প রয়েছে যেগুলি দরিদ্র এবং নিরক্ষর মহিলাদের দ্বারা সংকলিত হয়েছে। তাঁরা তুলনামূলকভাবে অধিকার বঞ্চিত এবং সাধারণত তাঁদের উপলব্ধি বা পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁদের গল্পগুলি সম্পাদকেরা লেখেন এবং তাঁদের সাহায্যে সেগুলি প্রকাশিত হয়, তাঁরা প্রতিবেদন করতে প্রান্তিক মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেন। সহায়তার একটি উদাহরণ দিয়েছেন জনৈক মুন্নি বাই। কাগজের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়া ভুক্তভোগী মুন্নি বাই বলেছেন, “আমার স্বামী সেচ বিভাগে কাজ করেন। কারও কাছ থেকে দুই শতাংশ সুদে ঋণ নিলেও পরে দশ শতাংশ হারর সুদে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। আমি মহিলা পক্ষের কাছে গিয়ে এই খবর দিলাম। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে আমরা সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাই।”[২]

প্রাপ্তি[সম্পাদনা]

মহিলা বিষয়ক রাজ্য কমিশনার কান্তা তোমরও কাগজটি সম্পর্কে শুধু ভাল কথাই বলতে পারেন, তিনি বলেছেন: "মহিলা পক্ষ মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যাকে সামনে আনতে মধ্যপ্রদেশের একটি অনন্য সংবাদপত্র। এই কাগজের উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এই অঞ্চলে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহায়তার জন্য অনেক কিছু পেয়েছি। কাগজটি এই পুরুষ শাসিত সমাজে একটি চমৎকার কাজ করছে।"[২]

সূত্র[সম্পাদনা]

  1. "India Paper Taps Marginalized Women as Reporters"Toward Freedom। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৪ 
  2. "India's first women-centric newspaper | Newswatch"। Newswatch.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-০৪ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]