মসজিদ মিশন একাডেমী, রাজশাহী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মসজিদ মিশন একাডেমী
স্থাপিত১৯৮১
অধ্যক্ষমোঃ আকবর আলী
অন্যান্য শিক্ষার্থী
প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক
ঠিকানা
বড়কুঠি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
, ,
ওয়েবসাইটmmaraj.edu.bd
মানচিত্র

মসজিদ মিশন একাডেমী বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি আধাসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি স্কুল এবং কলেজ শাখায় পাঠদান করা হয়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮১ সালে মসজিদ মিশন একাডেমি, মির্জাপুর নামে একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। প্রাথমিক নির্মাণ কাজ শেষ করার পর ১৯৮২ সালে মিশনের নিজস্ব জমি বড়কুঠিতে এই একাডেমির কার্যক্রম আরম্ভ হয়। প্রতিষ্ঠানটি মসজিদ মিশন ফাউন্ডেশন রাজশাহী জেলা শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।[২]

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

পাঠদান[সম্পাদনা]

এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় যথাক্রমে ১৯৯১ এবং ১৯৯৭ সালে ছাত্র-ছাত্রীগন প্রথম অংশগ্রহণ করে।

বিতর্ক[সম্পাদনা]

মধ্যপ্রাচ্যসহ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তহবিল এনে ব্যবহারকারী মসজিদ মিশন একাডেমির বিরুদ্ধে নাশকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামীদের প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতি একটি চিঠি ইস্যু করে। সেখানে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গোপন রাজনৈতিক তৎপরতায় মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুল ও কলেজ ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্র নির্ধারিত বইয়ের বাইরে জামায়াতে ইসলামীর নির্ধারণ করে দেয়া বই এই প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়।[৩]

বিতর্ক ওঠার পর বাংলাদেশের নিরীক্ষা অধিদফতর প্রতিষ্ঠানটিতে নিরীক্ষা সম্পন্ন করে গুরুতর আর্থিক অসংগতি পায়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফাউন্ডেশনের নামে বাধ্যতামূলক অর্থ আদায় করা হয়। এসব অর্থ ব্যয়ের কোনো হিসেব সংরক্ষণ করা হয় না, যা আইনবিরোধী। পাশাপাশি ১০ বছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্যও প্রতিবেদনে প্রদান করা হয়।[৪]

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, আত্মসাৎকৃত অর্থ রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় ব্যয় করা হয়েছে। তিনি একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, এই প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বাইরে কোনো নিয়োগ হয় না। এমনকি শিক্ষার্থী ভর্তিও হয় না, যা দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি মসজিদ মিশন ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন বাতিল করে রাষ্ট্রের এমপিওভুক্ত অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে পরিচালিত হয়, মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুল ও কলেজের তিনটি শাখাকে সেভাবে পরিচালনার দাবি করেন।[৫]

এসব তথ্যের বিরুদ্ধে অবশ্য মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিবৃতি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত হয়।[৬]

এর আগে ২০০৫ সালে প্রথম এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাদান পদ্ধতি ও পাঠ্যসূচি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ জঙ্গিবাদের দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পক্ষ থেকে সে বছরের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা ও ঝালকাঠিতে বোমা মেরে বিচারক হত্যামামলার অন্যতম আসামী মামুন ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র।[৭]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মসজিদ মিশন একাডেমী (স্কুল ও কলেজ)" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "NGO by name Islamic, activities illegal"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১ 
  3. "রাজশাহীতে মসজিদ মিশন একাডেমির আড়ালে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী! | সারাদেশ"ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "NGO by name Islamic, activities illegal"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১ 
  5. "মসজিদ মিশনের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে এমপি বাদশার চিঠি"somoynews.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১ 
  6. ষড়যন্ত্রের-প্রতিবাদ-প্রাক্তন-শিক্ষার্থীদের "রাজশাহী মসজিদ মিশন একাডেমি নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১ 
  7. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 522"archive.thedailystar.net। ২০২১-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২১