ভোলাব ইউনিয়ন
ভোলাব | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে ভোলাব ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫২′১৮″ উত্তর ৯০°৩৫′৪″ পূর্ব / ২৩.৮৭১৬৭° উত্তর ৯০.৫৮৪৪৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | নারায়ণগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | রূপগঞ্জ উপজেলা ![]() |
আয়তন | |
• মোট | ১৪.৫৮ বর্গকিমি (৫.৬৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩৭,৯৭৪জন |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ভোলাব ইউনিয়ন বাংলাদেশের, ঢাকা বিভাগের পূর্ব সীমানায় স্রোতস্বীনী শীতলক্ষ্যার দুই তীরের বিসত্মীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠা জনপদ নারায়ণগঞ্জ জেলার, রূপগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি একটি কৃষি প্রধান এলাকা যেখানে, পানের বরজ ও কলার চাষের এবং তাঁতের তৈরি বিছানার চাঁদর ও তোষকের কাপড়ের জন্য উল্লেখযোগ্য।
বর্ণনা[সম্পাদনা]
ভোলাব ইউনিয়নের প্রায় সব জাগায় জুড়ে উর্বর পলি সমৃদ্ধ ফসলের মাঠ ও বৃক্ষরাজির সবুজ আবরণে আচ্ছাদিত লোকালয় গুলোতে রয়েছে সুলতানী আমল থেকে ব্রিটিশ জমিদারদের কীর্তিগাঁথা মসজিদ, মন্দির দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক স্থাপনা যা ভোলাবের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর উত্তরা পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে প্রবহমান শীতলক্ষ্যা নদী। ব্রিটিশ আমলে অভিজাত জমিদারদের আবাসস্থল ছিল ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক গ্রামে পাল বাড়ি নামে খ্যাত।
নদীর তীর ঘেঁসে প্রশস্ত সড়ক, প্রায় শত বিঘা জায়গার উপর তৈরি মনমুগ্ধকর আম বাগান, নয়নাভিরাম উদ্যান, শ্বেত পাথরে আবৃত পোড়া মাটির শিব মন্দির সহ মধ্যযুগের ব্রিটিশ আদলে তৈরি সুরম্য দু'তল অট্টালিকা সহ নদীর তীর জুড়ে বিশাল বিশাল অট্টালিকা সহ জমিদার বাড়িগুলো আজো ভোলাব ইউনিয়নের অতীত ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে চলছে। ভোলাব ইউনিয়নের অতীত ঐতিহ্যকে অবলমবন করে বর্তমানে গড়ে উঠতে চলেছে আধুনিক শহর পূর্বাচল।[২]
নামকরণ[সম্পাদনা]
‘‘ভোলাব’’ নামকরণের সঠিক ইতিহাস আজও অজানা। তবে পটুয়ার নিখুত তুলির আঁচড়ে পটে আঁকা ছবির মত নদী, গিরি, বনরাজী বেষ্টিত দিগমত্ম জোড়া সবুজ মাঠের নৈসর্গের মহা সমারোহে মুগ্ধ হয়ে কোন প্রকৃতি প্রেমী, সৌন্দর্য পিয়াসী ভাবুক পর্যটক এ এলাকা দর্শনে বিমোহিত হয়ে বিমুগ্ধ চিত্তে আনমনে হয়তো বলে ফেলেছিলেন-‘‘ভোলাব’’।
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
চারিতালুক পাল বাড়ি[সম্পাদনা]
রুপগঞ্জ উপজেলা থেকে রিক্সায় মুড়াপাড়া, মুড়াপাড়া থেকে সিএনজিতে ভুলতা, ভুলতা থেকে বাস/সিএনজি/লেগুনা দিয়ে সনপাড়া। সনপাড়া থেকে সিএনজিতে চারিতালুক পালবাড়ী। ভোলাব ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড চারিতালুক গ্রামে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলের পাল বাড়ি।
ভোলাব প্রাচীন কালী মন্দির[সম্পাদনা]
রুপগঞ্জ উপজেলা থেকে রিক্সায় মুড়াপাড়া, মুড়াপাড়া হইতে সিএনজিতে ভুলতা, ভুলতা থেকে বাস/সিএনজি/লেগুনা দিয়ে সনপাড়া। সনপাড়া থেকে সিএনজিতে আতলাপুর বাজার। আতলাপুর থেকে রিক্সা অথবা অটো রিক্সায় কালী মন্দির। এটি ভোলাব ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ড ভোলাব গ্রামে অবস্থিত।
শিক্ষার হার[সম্পাদনা]
শিক্ষার হার | ৯৯% | শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম | |
প্রাথমিক বিদ্যালয় | ০৯টি। | ||
মাধ্যমিক বিদ্যালয় | ০৩ টি | গণবাংলা উচ্চ বিদ্যালয় | ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় |
বে-সরকারী রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয় | ০১টি। | ||
মাদ্রাসা- আলিম | ০১ টি। | ||
ক্যাডেট মাদ্রাসা | ০১টি । | ||
ইনষ্টিটিউট- (পলিট্যাকনিক্যাল) | ০১ টি। | ||
মেডিক্যাল ইনষ্টিটিউট | ০১টি। | ||
ফিজিক্যাল ইনষ্টিটিউট | ০১টি। | ||
কলেজ | ০১ টি। |
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
ভোলাব ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরিকৃত চারিতালুক পাল বাড়ি যা বর্তমান ৪নং ওয়ার্ডের চারিতালুক গ্রামে অবস্থিত এবং ভোলাব প্রাচীন কালী মন্দির যা ২নং ওয়ার্ড ভোলাব গ্রামে অবস্থিত।[৩]
গ্রাম সমূহের নাম[সম্পাদনা]
- ভোলাব
- চারিতালুক
- আতলাপুর
- কুড়িয়াইল
- দড়িচারিতালুক
- পাইস্কা
- বাসুন্দা
- করাটিয়া
- আঙ্গারজোড়া
- পূরেব গাঁও
- গুতুলিয়া
- টাওরা
- শিমুলিয়া
- বাগুনের টেক
- তেলরদি টেক
- মৈশানির টেক
- আব্বার টেক
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ভোলাব ইউনিয়নের ইতিহাস[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ভোলাব ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থান[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]