ভি. এন. রাজশেখরন পিল্লই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভি. এন. রাজশেখরন পিল্লই
वी एन राजशेखरन पिल्लई
সোমাইয়া বিদ্যাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সোমাইয়া বিদ্যাবিহার কলেজ-সংবলিত গির্জার অধ্যক্ষ
কাজের মেয়াদ
২৪শে জানুয়ারী ২০১৮ সাল থেকে

পূর্বসূরীএইচ পি দীক্ষিত
নির্বাহী উপ-সভাপতি
কেরালা রাজ্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ পরিষদ, কেরালা সরকার
কাজের মেয়াদ
২০১১–২০১৫
উত্তরসূরীএস কে থোরাট
ষষ্ঠ উপাচার্য
ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
কাজের মেয়াদ
২০শে অক্টোবর ২০০৬ – ২০শে অক্টোবর ২০১১
সভাপতি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
কাজের মেয়াদ
২০০৫ – ২০০৬
পূর্বসূরীহরি গৌতম
উত্তরসূরীভি এস প্রসাদ
উপ-সভাপতি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
কাজের মেয়াদ
২০০৩ – ২০০৫
নির্দেশক
জাতীয় মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিষদ
কাজের মেয়াদ
১৯শে এপ্রিল ২০০১ – ১৮ই এপ্রিল ২০০৩
উপাচার্য
মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়
উপাচার্য
কোচিন বিশ্ববিদ্যালয়
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1949-10-20) ২০ অক্টোবর ১৯৪৯ (বয়স ৭৪)
চেঙ্গানুর, কেরল রাজ্য, ভারত
দাম্পত্য সঙ্গীগীতা পিল্লই
জীবিকারসায়নবিদ
ওয়েবসাইটV N Rajasekharan Pillai

ভি. এন. রাজশেখরন পিল্লই (জন্ম ২০শে অক্টোবর ১৯৪৯) হলেন একজন নামী জৈব / পলিমার রসায়নবিদ। তিনি কঠিন পর্যায়ে পেপটাইড সংশ্লেষণ ক্ষেত্রে অগ্রণী হিসাবে বিবেচিত। বৃহত পেপটাইডগুলির সংশ্লেষণের জন্য তাঁর বিকাশ করা হাইড্রোফিলিক পলিমারের অবদান বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিল।[১] তিনি সোমাইয়া বিদ্যাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মুম্বইয়ের সোমাইয়া বিদ্যাবিহার কলেজ-সংবলিত গির্জার অধ্যক্ষ। পিল্লাই একই সাথে ত্রিপুরার আইসিএফএআই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ভারতের রাজস্থানের চিত্তোরগড়ের মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ছিলেন (২০১৬–২০১৮)।

উচ্চ শিক্ষায় ভূমিকা[সম্পাদনা]

পিল্লইয়ের কর্মজীবন বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও শিক্ষাব্যবস্থায় কেটেছে। রাসায়নিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সক্রিয় শিক্ষক এবং গবেষক হিসাবে পিল্লই টুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় (জার্মানি), মেইনজ, জার্মানি এবং লোজানে (সুইজারল্যান্ড) পোস্ট-ডক্টরাল এবং পরিদর্শন গবেষণা অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[২] তিনি বায়োপলিমার এবং পেপটাইড ক্ষেত্রে একটি গবেষণা দল তৈরি করেছিলেন, এই ক্ষেত্র নিয়ে ব্যাপকভাবে লিখেছেন, এবং ৫০ জনেরও বেশি ডক্টরাল শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন, যার মধ্যে আছে কোট্টায়ামের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়; কোচিনের কোচিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়;[৩] নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; রাজস্থানের চিতোরগড়ের মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ের সোমাইয়া বিদ্যাবিহারের উপাচার্য এবং ত্রিপুরার আইসিএফএআই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তিনি বেঙ্গালুরুর জাতীয় স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন কাউন্সিলের পরিচালক ছিলেন। পিল্লই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি ও উপ সভাপতি এই দুটি পদেই আসীন হয়েছিলেন।

তিনি ২০১১-২০১৪ সালের মধ্যে কেরালা সরকারের কেরালা রাজ্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ পরিষদের নির্বাহী উপ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৪] তিনি এম জি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্কুল অফ কেমিক্যাল সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। কেএসসিএসটিইয়ের নির্বাহী উপ সভাপতি হিসাবে তিনি প্রাথমিক বিজ্ঞানের জন্য রামানুজন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২] একই সাথে তিনি কেরালা সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান সচিব, কেরালা উপকূলীয় অঞ্চল পরিচালনা কর্তৃপক্ষের অধ্যক্ষ এবং কেরালার বায়োটেকনোলজি কমিশনের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

শিক্ষামূলক এবং প্রশাসনিক অবস্থান[সম্পাদনা]

পিল্লই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)[৫][৬] অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেছিলেন। তিনি বেঙ্গালুরুর জাতীয় মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিষদের (এনএএসি) নির্দেশক,[৭]কেরলের কোট্টায়ামের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য,[৮] কোচিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য,[২] মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ কেমিক্যাল সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক; বিজ্ঞান অনুষদের ডিন; পরীক্ষার নিয়ামক; কলেজ উন্নয়ন কাউন্সিলের পরিচালক; কর্মসংস্থান এবং তথ্য গাইড ব্যুরোর প্রধান ছিলেন।[৩]

ব্যক্তিগত[সম্পাদনা]

পিল্লইয়ের স্ত্রী ডঃ পি গীতা কেরলের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ লেটারস এর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তাঁর পুত্র ডঃ পি বালানারায়ণন মোহালীর আইআইএসইআর এর সহযোগী অধ্যাপক এবং কন্যা ডঃ পি গায়ত্রী পুনের আইআইএসইআর এর সহকারী অধ্যাপক।

সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি[সম্পাদনা]

পিল্লই আইজিএনওইউয়ের উপাচার্য এবং দূরশিক্ষা পরিষদের অধ্যক্ষ পদে থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছিল যে তিনি তাঁর দাপ্তরিক অবস্থানের অপব্যবহার করে, ২০০৯ সালের বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা চিহ্নিত ত্রুটিগুলি উপেক্ষা করে, জলন্ধর এবং গ্যাংটকের দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে দূর শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা অনুসন্ধান করে আবিষ্কার করেছিল যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দুটি দূর শিক্ষা পদ্ধতিতে কোর্স পরিচালনা করে পাঁচ বছরে ১৬০০ কোটি টাকা আয় করেছে।[৪]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "V N R Pillai"। ৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০ 
  2. "V N R Pillai"। ৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০ 
  3. "Prof. V N RAJASHEKHARAN PILLAI" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০ 
  4. "V N Rajasekharan Pillai Lobbying for a Plum Post at the Centre"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০ 
  5. "Prof. V N RAJASHEKHARAN PILLAI" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০ 
  6. Mahendra Gaur (২০০৬)। Indian Affairs Annual। পৃষ্ঠা 65। আইএসবিএন 9788178355290 
  7. "Education World: The Human Development Magazine"Education World: cxxiv। ২০০৩। 
  8. "Polymer News"Polymer News: 331। ১৯৯৭।