ব্যবহারকারী আলাপ:Obyd777

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: Aishik Rehman কর্তৃক ৫ মাস আগে "ব্যবহারকারী:Obyd777 পাতাটি দ্রুত অপসারণ করা হয়েছে" অনুচ্ছেদে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

নরসিংদী জেলার প্রথম ওয়েব সাইট[সম্পাদনা]

মেঘনা ব্রহ্মপুত্র শীতলা বিধৌত বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ জেলা নরসিংদী। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় জেলাটিতে আবির্ভূত হয়েছেন বহু বরেণ্য সন্তান ; যাদের সংগ্রাম আর ত্যাগ তিতীক্ষার হিরন্ময় কীর্তি গাঁথা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় এ জেলার অবদান গৌরবদীপ্ত। শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস,ঐতিহ্য প্রস্ফুটিত নরসিংদীর গর্বিত সন্তানেরা ছড়িয়ে আছে বিশ্বের সর্বত্র। কবি শামসুর রাহমান, কবি আলাউদ্দিন আল আযাদ, কবি বেনজীর আহমদ,ডাঃ মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক আহমদুল কবির এ জেলার অহংকার। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান, শহীদ আসাদ এ দেশের মুক্তি আন্দোলন-সংগ্রামে নরসিংদীকে বিশেষ মর্যাদায় সিক্ত করেছেন। পবিত্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন নরসিংদীরই কৃর্তীসন্তান। ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা, ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং শিবপুর উপজেলার কামারটেকের উত্তোলিত গ্যাস দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। বেলাব উপজেলার ওয়ারী-বটেশ্বর এ দেশের প্রাচিনতম প্রাতœতাত্বিক নিদর্শন। নরসিংদীর সাগর কলা সারা বাংলাদেশর মধ্যে বিশেষ ভাবে সমাদৃত, ঘোড়াশালের আনারস সুঘ্রান আর মিষ্টির জন্য সারা বাংলায় জনপ্রিয়। কাজি পেয়ারা, কাঠালের পাশাপাশি নরসিংদীর সবুজ সবজির সমারোহ এ দেশের খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মেটাতে সক্ষম। এ জেলার তাঁত শিল্প সুদীর্ঘকাল ধরে ব্যাপক ভাবে পরিচিত। কাপড়ের জন্য বাংলার ম্যানচেষ্টার নামে খ্যাত বাবুর হাট (শেখেরচর) তো এক নামেই চেনে সকলে। সারা বাংলাদেশের বাঁশের চাহিদার এক বিরাট অংশ মেটায় এ অঞ্চলের উৎপাদিত বাঁশ। নরসিংদীতে দেশর অষ্টম নদী বন্দর অবস্থিত, অপর দিকে নরসিংদীর বিশাল চর অঞ্চলের বিস্তির্ণ জলসীমায় উৎপাদিত সুস্বাদু-দেশীয় মাছ দেশের মৎস চাহিদা মেটাচ্ছে। সব মিলেই নরসিংদী জেলাকে আলাদা ভাবে মূল্যায়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে আমাদের। তাই শুধু বাংলাদেশ নয় বরং বিশ্ব দরবারে নরসিংদীকে পরিচিত করে তুলতে আমাদের এই সাহসী-উদ্যমী প্রয়াস- “www.narsingdibd.com” নরসিংদী জেলার প্রথম ওয়েব সাইট।

  যেখানে আছে নরসিংদী জেলার শিক্ষা সংস্কৃতি বিষয়ক তথ্য, স্বরণীয় বরণীয় ব্যাক্তিবর্গের জীবনী , ইতিহাস ঐতিহ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ বিবরণ, নরসিংদী জেলার সকল উপজেলা ম্যাপসহ তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার এবং প্রয়োজনীয় আরও অনেক কিছু।

নরসিংদীকে জানতে “নরসিংদীবিডি ডট কম” আপনাকে স্বাগতম। আপনিও আপনার প্রতিষ্ঠানের তথ্য, নরসিংদী জেলার গুত্বপূর্ন কোন খবরাখবর সরবরাহ করে নরসিংদী জেলার এই প্রথম ওয়েব সাইটকে সমৃদ্ধ করতে আবদান রাখতে পারেন। আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রিয় নরসিংদী জেলাকে আরও গ্রহনযোগ্য করে তুলতে সরব হবো এই প্রত্যাশায়-আল্লাহ হাফেজ।

॥ মোহাম্মদ উবাইদুল্লাহ॥

লেখক : সিইও, নরসিংদীবিডি ডট কম।

ই-মেইল : obyd_777@yahoo.com

http://www.narsingdibd.com/

নরসিংদীর কিংবদন্তি আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফতি আব্দুর রশীদ (রহ.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি[সম্পাদনা]

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    নরসিংদীর কিংবদন্তি আলেমে দ্বীন : মাওলানা মুফতি আব্দুর রশীদ (রহ.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি

মাওলানা মুফতি আব্দুর রশীদ (রহ.) ছিলেন নরসিংদী তথা দেশের একজন খ্যাতনামা আলেমে-দ্বীন। পবিত্র কুরআন হাদীস ও ফিকাহ শাস্ত্রে তিনি ছিলেন অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী। বাংলা, উর্দূ, ফার্সী, আরবী সাহিত্য ও ইসলামের ইতিহাসের উপর তাঁর ছিল অসামান্য দখল। শিক্ষায় দীপ্ত, চিন্তায় সুগভীর, চেতনায় শানিত ও তীক্ষ্ম জীবনবোধ সম্পন্ন এই মহান ব্যক্তিত্ব শুধু নিজেকেই আলোকিত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেননি। বরং নিজের শিক্ষা, চর্চা ও অভিজ্ঞতালব্ধ সবকিছুই অকৃপণ হস্তে বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের মধ্যে। ইসলামের আলোক বর্তিকাকে তিনি তাঁর ছাত্র ও অনুসারীদের হৃদয়কোটরে প্রজ্জলিত করেছেন। ছড়িয়ে দিয়েছেন সমাজ ও দেশের জমিনে। বিশেষতঃ নরসিংদী অঞ্চলে তিনি কিংবদন্তি আলেমে পরিণত হয়েছিলেন। ইসলামের যে কোন বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকত এ অঞ্চলবাসী। তাছাড়া তাঁর আমলী জিন্দেগী ও আখলাকেও সুন্নাতে নববীর অনুসরণ ও সালাফে সালেহীনের নমুনা প্রতিফলিত হয়েছে। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, দুঃখ-দৈন্য, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সর্বস্থায়ই তিনি কুরআন-সুন্নাহ তথা দ্বীনের উপর অটল ছিলেন। কোনো প্রতিকূলতাই তাঁকে দ্বীনের পথ তথা সিরাতে মুস্তাকীম থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তাঁর শিক্ষা, চেতনা ও আমলী জিন্দেগী সম্পর্কে ক্ষুদ্র পরিসরে লিখা বা তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবুও এখানে তাঁর জীবনের কিছু বিষয়ের আলোকপাতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাওলানা মুফতি আব্দুর রশীদ (রহ.) বর্তমান নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। একাডেমিক সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১লা মার্চ ১৯৩৯ইং। তাঁর পিতা মাওলানা সাবেত আলী ছিলেন বিশিষ্ট আলেম। যিনি ব্রিটিশ ভারতের নবাব শাসনাধীন রিয়াসত রামপুরে উচ্চতর দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করেন।

তিনি নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তৎকালে প্রচলিত তৃতীয় শ্রেণির পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করেন। তৎকালীন প্রসিদ্ধ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান কুমরাদী দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসা থেকে তিনি পর্যায়ক্রমে ১৯৫২ইং সালে “আলিম” প্রথম বিভাগ, মেধা তালিকায় ৪র্থ, ১৯৫৪ইং সালে “ফাজিল” প্রথম বিভাগ, মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অধিকার করেন। তিনি দেশের তৎকালীন শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপীঠ ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৫৬ সালে হাদীস বিভাগে কামিল (টাইটেল) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে মেধা তালিকায় ২য় স্থান অর্জন করে মুমতাজুল মুহাদ্দেসীন (এম.এম.) ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তী এক বৎসর তিনি সরকারী স্কলারশীপে “আরবী সাহিত্যে পাক ভারতের ওলামাদের অবদান” শিরোনামে গবেষণাকর্মে রত ছিলেন। প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আব্দুর রহমান কাশগরী (রহ.) এর তত্ত্বাবধানে এ বিষয়ে তিনি কয়েকশত পৃষ্ঠার গবেষণাকর্ম ঢাকা আলিয়ার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে জমা দেন।

তাঁর কর্মজীবনে তিনি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতায় রত ছিলেন। ১৯৫৬ ইং সন থেকে তিনি বিভিন্ন সময়ে কুমরাদী দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা, দুর্বাটি আলিয়া মাদ্রাসা, পাঁচবাগ আলিয়া মাদ্রাসা, রসুলপুর মাদ্রাসা, ধামরাই শরীফবাগ মাদ্রাসা, নরসিংদীর বৌয়াকূড় মেরাজুল উলুম মাদ্রাসা, কাউরিয়াপাড়া মাদ্রাসা, সাটিরপাড়া নুরিয়া মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে শিক্ষকতা করেন। সর্বশেষে ১৯৮৩ ইং সালে জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসায় যোগদান করে ১৯৯৯ ইং সালের ১লা মার্চ মুহাদ্দিস হিসেবে সরকারিভাবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পরও ২০০২ ইং সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি অনারারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এভাবে তিনি প্রায় অর্ধ শতাব্দীব্যাপী ইলমে দ্বীনের খেদমতে রত ছিলেন। যেখানে হাজার হাজার আলেম-ওলামা তাঁর নিকট শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষকতায় তিনি যথেষ্ট দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ছাত্ররা তাঁর পাঠদানে মুগ্ধ ছিল।

শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি বিভিন্ন দ্বীনি খেদমত করে গেছেন ঃ

ক) তিনি ব্রাহ্মন্দী বায়তুল আমান মসজিদ ও জবা টেক্সটাইল মিলস্ লিঃ মসজিদে দীর্ঘ ২৫ বছর ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

খ) নরসিংদী সরকারী কলেজ মসজিদে খতীব হিসেবে ত্রিশ বছর কর্মরত ছিলেন।

গ) ষাটের দশকে তিনি নরসিংদীর ঐতিহাসিক গান্ধীর ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়িয়েছেন। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ঈদের জামাতে ও নরসিংদী সরকারী কলেজ মাঠের ঈদের জামাতে প্রায় ৪০ বৎসর ইমাম ছিলেন।

ঘ) নরসিংদী শহরের মসজিদসমূহে ইমাম নিয়োগের েেত্র তিনি বাছাই কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।

ঙ) মুসলিম সমাজের দৈনন্দিন বিভিন্ন সমস্যার ইসলামী সমাধান প্রদান (ফতোয়া) ও ইসলামী উত্তরাধিকার আইন (ফারায়েজের) মাসয়ালা সমাধানে তিনি অবদান রেখে গেছেন। বিশেষত ঃ বিবাহ, তালাক, ওয়াক্ফ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়তই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন তার নিকট আসত। এসকল েেত্র অনেক সময় তিনি জেলার বিভিন্ন স্থানে এমনকি অন্যান্য জেলায়ও সফর করেছেন। এছাড়া তিনি নরসিংদী ইমাম পরিষদের প্রধান মুফতি হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ইমাম প্রশিণের ইমাম বাছাই করা সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে তিনি অংশগ্রহণ করেন।

ছ) কর্মজীবনের এক পর্যায়ে তিনি নরসিংদী’র প্রসিদ্ধ হোমিও চিকিৎসক মরহুম ডাক্তার মফিজ উদ্দিন সাহেবের সান্নিধ্যে থেকে এ চিকিৎসাশাস্ত্রে জ্ঞানলাভ করেন। কর্মজীবনের অবসরে ও অবসর জীবনে তিনি অর্জিত এ জ্ঞানকেও মানব কল্যাণে ব্যয়ের জন্য মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। ১৯৬৭ ইং সনে নরসিংদী শহরের সড়ক ব্রাহ্মন্দীতে (১৭২ পূর্ব ব্রাহ্মন্দী) জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এখানেই অবস্থান করেছেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সম্মানিত খতীব ওবায়দুল হক (রহ.) এর নেতৃত্বে পরিচালিত তাহাফ্ফুজে খতমে নবুয়্যাত আন্দোলনের তিনি নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। বিভিন্ন কারণে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ না নিলেও একজন রাজনীতি সচেতন আলেম হিসেবে বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কুখ্যাত সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে আন্দোলন সহ ইসলাম বিরোধী সকল কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পরিচালিত সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অগ্রসৈনিক ছিলেন।

তিনি নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ঠ শিক হিসেবে সরকারিভাবে পুরস্কৃত হয়ে সনদপত্র ও সম্মাননা লাভ করেছেন। এছাড়া তিনি জেলার প্রবীণ কৃতি শিক হিসেবেও জেলা প্রশাসন কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। তনি ২০০৫ইং সালে পবিত্র হজ্জ ব্রত আদায় করেছেন। উল্লেখযোগ্য কোন রোগে আক্রান্ত না হলেও তিনি কয়েক বছর যাবৎ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতা ও দুর্বলতায় ভুগছিলেন। অবশেষে নরসিংদী তথা সারা দেশে ইসলামের দ্যুতি ছড়িয়ে হাজার হাজার আলেম ওলামা তৈরী করে অগনিত ভক্তকুলকে শোকসাগরে ভাসিয়ে ১৪৩৪ হিজরীর ২৫শে রমজান, ১৪২০ বঙ্গাব্দের ২০শে শ্রাবণ ২০১৩ ইং সনের ৪ঠা আগস্ট রোজ রবিবার ভোর রাতে তিনি তাঁর রবের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, চার কন্যা, নাতি-নাতনি সহ বহু সংখ্যক গুণগ্রাহী ও হাজার হাজার আলেম ছাত্র/ছাত্রী রেখে গেছেন। তাঁর জানাযার নামাজ ৪ঠা আগস্ট রবিবার দুপুর আড়াইটায় নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া গাবতলী মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের জ্যেষ্ঠ পুত্র জামেয়া কাসেমিয়ার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইমদাদুল্লাহ জানাযায় ইমামতি করেন। নরসিংদীর বিশিষ্ট আলেমগণ সহ কয়েকশত আলেম-ওলামা এবং কয়েক হাজার লোক তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে তাঁকে গাবতলী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাঁর মৃত্যুসংবাদ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

  • আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। হানাফী মাযহাব অনুসারী হলেও মাযহাব নিয়ে বাড়াবাড়ি অপছন্দ করতেন।
  • তিনি আলিয়া কাওমিয়া উভয় মহলে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। তিনি এই দুই ধারার ওলামাদের মধ্যে সেতু বন্ধন ছিলেন।
  • নরসিংদী শহরের দুটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক ছিলেন তিনি। এর একটি হলো জামিয়া কুরআনিয়া মেরাজুল উলুম, বৌয়াকুড়, নরসিংদী (দাওরা হাদীস) কাওমী মাদ্ারাসা। অপরটি হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ ও শ্রেষ্ঠ আলিয়া মাদ্রাসা জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা।
  • ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে সুন্নতের পূর্ণ অনুসরণে সচেষ্ট ছিলেন। বিদ্আত ও কুসংস্কার মূলৎপাটনে বজ্র কঠোর ছিলেন।
  • সমাজ সচেতন আলেম হিসেবে যে কোন সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জাতিকে সচেতন করেছেন ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
  • খুবই আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। শত প্রতিকূল অবস্থায়ও আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দেননি। তবে আত্মগরিমা বা আত্মঅহংকার তার ছিল না।
  • ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুনিয়াবিরাগী ও আখেরাতমুখী, কৃত্রিমতাবর্জিত ও প্রচারবিমুখ আলেম হিসেবে সারা জীবন অতিবাহিত করছেন।
               প্রকাশনায় ঃ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, নরসিংদী।

ব্যবহারকারী:Obyd777 পাতাটি দ্রুত অপসারণ করা হয়েছে[সম্পাদনা]

হ্যালো, এবং উইকিপিডিয়াতে স্বাগতম। আপনার তৈরি ব্যবহারকারী:Obyd777 পাতাটি উইকিপিডিয়া থেকে দ্রুত অপসারণ করা হয়েছে। দ্রুত অপসারণ মানদণ্ডের ব্য৫ অনুচ্ছেদের অধীনে এটি করা হয়েছে, কারণ পাতাটির লেখা, তথ্য, আলোচনা, এবং/অথবা কার্যকলাপ উইকিপিডিয়ার লক্ষ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত নয় বলে মনে হয়েছে। দয়া করে মনে রাখবেন যে উইকিপিডিয়া কোনো বিনামূল্যের ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা নয়। দ্রুত অপসারণের মানদণ্ডের অধীনে, এই জাতীয় পাতাগুলো যে কোনও সময় মুছে ফেলা হতে পারে।

অনুগ্রহ করে এই উদ্বেগের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাতাটি পুনরায় তৈরি করবেন না, তবে উইকিপিডিয়ার নীতি এবং নির্দেশিকা অনুসারে তথ্য যোগ করতে দ্বিধা করবেন না। যদি আপনি মনে করেন যে, এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত হয়নি, অথবা আপনি যদি ভবিষ্যত সূত্র বা উন্নতির স্বার্থে মুছে ফেলা পাতাটি পুনরুদ্ধার করতে চান, তাহলে আপনি অপসারণকারী প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা ইতোমধ্যে যদি তা করে থাকেন তবে, এখানে একটি অনুরোধ করতে পারেন। Aishik Rehman (আলাপ) ০৪:৪১, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন