ব্যবহারকারী:তারেক আহমেদ জুয়েল/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জীবন ইসলাম
জীবন ইসলাম (২১০৫)
জীবন ইসলাম (২১০৫)
জন্ম (1964-04-06) ৬ এপ্রিল ১৯৬৪ (বয়স ৫৯)
টাঙ্গাইল,পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান-বাংলাদেশ)
পেশাকবি,কথা সাহ্যিতিক,সাংবাদিক
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাবাংলাদেশি
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
শিক্ষাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ধরনউপন্যাস,কবিতা, প্রবন্ধ, কলাম
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিহৃদয়ে ঠিকানা,একটু সুখের জন্য,কাশবনের গাঁ,একদিন যমুনায়
দাম্পত্যসঙ্গীশাহনাজ ইসলাম
সন্তানশাহ জেরীন ইসলাম জয়া , দিলরুবা জীবন এলিট

স্বাক্ষর


জীবন ইসলাম (জন্মঃ ৬ এপ্রিল, ১৯৬৪) বাংলাদেশের একজন কবি,কথাসাহিত্যিকসাাংবাদিক। তিনি কবিতা, উপন্যাস এবং নাটক এই তিন শাখাতেই জনপ্রিয় রচনা উপহার দিয়েছেন। হৃদয়ে ঠিকানা-১৯৯৮ নামীয় উপন্যাসের মাধ্যমে সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ। ২০০৪খৃস্টাব্দে কাশবনের গাঁ[১] উপন্যাস দিয়ে পাঠকের দৃষ্টি আর্কষণ করতে শুরু করেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

১৯৬৪ সালের ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মাকোর কোল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। [২] তাঁর পিতা মোঃ মোকবুল হোসেন । আর মাতার নাম নুরজাহান বেগম । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ (অর্নাস) এম এ (ইতিহাস) ডিগ্রি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। কলেজের লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন; পরবর্তীতে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। দৈনিক জনতাসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অর্থনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৫ সালের ০২ মে থেকে ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় বিজনেস এডিটর হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি দি ডেইলি অবজারভার পত্রিকায় সিনিয়র অর্থনৈতিক রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত আছেন। জীবন ইসলাম পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। অকুতোভয় নির্ভীক এই সাংবাদিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন যাবৎ সদর্পে পদচারণ করে চলেছেন।[৩]

মুক্তিযুদ্ধের সময়[সম্পাদনা]

দুঃসাহসিক ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধা কবি জীবন ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বহন করতে গিয়ে রাজাকারের হাতে ধরা পড়েন এবং অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।।


সাহিত্য কর্ম ও পুরষ্কার[সম্পাদনা]

thumbnail|বি, কথা সাহিত্যিক জীবন ইসলাম ডিআরইউ কর্তৃক পুরস্কৃত ২০০৪ সালে আমদানি-রপ্তানি’ সংক্রান্ত শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য এনসিসি ব্যাংকের সৌজন্যে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং ২০০৬ সালে ‘ব্যাংকিং বিষয়ক’ শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। এছাড়া ২০০৯ সালে অনুসন্ধানী অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সৌজন্যে বিজনেস রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআরএফডি) তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। কবি ও লেখক হিসেবে ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে দুবার জাতীয় প্রেসক্লাবের পদক পেয়েছেন। সেই সঙ্গে কবি ও লেখক হিসেবে চারবার ২০১১, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে ডিআরইউ তাঁকে পদক প্রদান করেছে।[৪][৫][৬][৭][৮] এছাড়া ২০১২ সালে ভোরের কাগজ এর রিপোর্টিং বিভাগের পক্ষ থেকে কবি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে ‘কাব্য কান্ডরী’ উপাধি প্রদান করা হয়। ‘সংগঠক’ হিসেবে ২০১৪ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি-ঢাকা কর্তৃক তাঁকে পদক প্রদান করা হয়।

আমার সারা জীবনের স্বপ্নবেতনহীন উচ্চ বিদ্যালয়[সম্পাদনা]

শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারে না। মনের জোর থাকলে যে কেউ শিক্ষিত হতে পারে। এ কথা কেউ বিশ্বাস করুক অথবা না করুক; আমি করি। আর তা করি বলেই- তা বিশ্বাসও করি; তাই ইচ্ছা করলে আল্লাহ সহায় হন। আমি পরিবারের মধ্যে প্রথম বি এ অনার্স এম এ (ইতিহাস) ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে পাস করি। আমার বংশ থেকে এর আগে কেউ এম এ পাস করা তো দূরের কথা- বি এ পাসও করেনি। তবে বাবা ১৯৩৯ সালে কোলকাতা সেন্টার থেকে এন্ট্রাস (বর্তমান মেট্রিক) পাস করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনোদিন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে যাননি। বাবা বেঁচে নেই, কিন্তু বেঁচে থাকতেও চাকরি কেন করেননি, তা জানার সাহস কোনোদিন করিনি। কারণ একটি কথা তিনি খুব জোর দিয়ে বলতেন, তা হচ্ছেÑ চাকরি করা মানে অন্যের গোলামী করা। চাকর হওয়া বা অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করা একেবারেই তিনি পছন্দ করতেন না। তাই কোনোদিন সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কথা বাবার মুখে শুনিনি। উপরন্ত, আমি চাকরি করি তাও তিনি পছন্দ করতেন না। আমি এম এ পাস করার পরও গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করেছি। কৃষি কাজ করতে বাবা আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, চাকরি করতে নয়। বাবা সব সময় কৃষি কাজ করার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি কৃষি কাজ করতে আগ্রহ দেখাইনি। তাই স্বাধীন কোনো পেশা খুঁজতে লাগলাম। এক সময় কলেজে লেকচারার হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করি। কলেজের লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত কলেজে থাকা হয়নি। নানা কারণে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে। তাছাড়া আমার কাছে কলেজের লেকচারারের চেয়ে বেশি স্বাধীন মনে হয়েছে সাংবাদিকতাকে। যখন প্রাইমারী স্কুলে পড়তে যেতাম, তখন দেশে তেমন রাস্তাঘাট ছিলো না। দশ গ্রামের মধ্যে একজন বা দুজনের সাইকেল ছিলো। একটি থানায় মটর সাইকেল ছিলো কি-না সন্দেহ। কোনো গ্রামে মটর সাইকেল নিয়ে কেউ গেলে তাকে দেখার জন্য ছেলে মেয়েরা দৌঁড়ায়ে রাস্তায় বের হয়ে আসতো। আমিও মটর সাইকেল দেখার জন্য রাস্তায় অনেকবার বের হয়েছি। একটি থানায় একটি বা দুটি পাকা রাস্তা ছিলো। শুধুমাত্র থানার সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওই রাস্তা ব্যবহার করা হতো। তেমন পরিবহনও ছিলো না। সে সময় পরিবারের অধিকাংশ লোক পেটের ভাত যোগার করার জন্য ব্যস্ত থাকতো। যাক, এসব আলোচনার বিষয় এখন নয়; আসল কথায় চলে আসি। আমি বর্ষাকালে এক কিলোমিটার রাস্তা বুক আর পেট পানি ভেঙ্গে খাল সাঁতরিয়ে স্কুলে যেতাম। কখনো ওই এক কিলোমিটার রাস্তা পানি আর কাঁদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে। আষাঢ় মাস থেকে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বই বেঁধে কখনো মাথায় আবার কখনো কাধে করে নিয়ে স্কুলে যেতাম। কাঁদা, পানি পাড় হওয়ার পর সাঁতার শেষ করে ছোট্ট বাজারের কাছে প্রাইমারী স্কুল, স্কুলের সামনে ছোট্ট একটা মাঠ, মাঠের পাশে এক ডোবার পাড়ে গিয়ে কাপড় পরিবর্তন করতাম, তারপর স্কুলে প্রবেশ করতাম। এই কষ্টের কথা এখনও প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত মনে হয়। আর তা মনে হয় বলেইÑ ইচ্ছা ছিলো পড়া লেখা করবো- এমন কষ্ট যেন আর করতে না হয়। প্রাইমারী স্কুল শেষ হলেই এই কষ্ঠ দূর হবে। তাই প্রাইমারী স্কুলের পড়া শেষ করার জন্য চেষ্টা করতে লাগলাম। ওই কষ্টের কথা মনে হলে- এখনো গা শিউরিয়ে উঠে। আর এ ধরনের কথা কউকে বললে বিশ্বাস করবে না। উপরোন্ত, আমাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করবে; তাই এ কথা কাউকে বলি না। আজ লেখার সুযোগ হয়েছে বলে- কালো কালির মাধ্যমে পাঠককে এই কথাগুলো জানানোর চেষ্টা করছি। এখন আর ওই গ্রাম আগের অবস্থায় নেই। যমুনা শান্তিতে থাকতে দেয় না। বছরে একবার না হলেও গড়ে প্রতি দশ থেকে বিশ বছরে একবার গ্রাম ভাঙ্গে। এই ভাঙ্গা গড়ার সঙ্গে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয়; বেঁচে আছি; বেঁচে থাকবো। যেকারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেকের পক্ষে লেখাপড়া করা সম্ভব হয় না। আবার এমনও লোক আছেÑ পরিস্কার পোশাক পড়ার অবস্থা নেই। কেউ আবার নতুন কাপড় ক্রয় করতে পারে না। এর মূল কারণ অন্য কিছু নয়, যমুনার ভাঙ্গন। যমুনা বারবার ভেঙ্গে এদের দরিদ্র্য থেকে আরো দরিদ্র্য করে দিয়েছে। আগুনে বাড়ি পুড়লে মাঠে ফসল থাকে। কিন্তু যমুনা ভাঙ্গলে কিছুই থাকে না। মাঠ নেই, ঘর নেই। তাই যমুনা পাড়ের মানুষদের অসম্ভব কষ্ট করে জীবন যাপন করতে হয়। একারণে শিক্ষা গ্রহণ করার ইচ্ছা থাকলেও করা সম্ভব হয় না। তাইতো এখানকার ছেলে মেয়েরা অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত থেকে যায়। অনেকে পড়ার আগ্রহের কথা বলেছে, তাদের মনের কোনে জমানো কষ্টের কথা মনযোগ দিয়ে শুনেছি। তাদের ওই কষ্টের কথা, শুনেছি বলেই- যমুনা পাড়ে একটি প্রাইমারী স্কুল করেছিলাম, স্কুলটি সরকারি হওয়ার পর- এখন জুনিয়র হাই স্কুল চালু করেছি। এবং নবম শ্রেণি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিনা বেতনে ওই স্কুলে শিশুদের শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা আমার নিরন্তর ছিলো, আছে এবং থাকবে। যমুনায় একবার বাড়ি ভেঙ্গে গেলে একটি পরিবারকে ৫০ বছর পিছনে ফেলে দেয়। তখন বেঁচে থাকার জন্য খাবার যোগার করতেই হিমশীম খেতে হয়। তাই লেখাপড়া করার সুযোগ কোথায়! লেখাপড়া করবেÑ টাকা পাবে কোথায়? যাদের টাকা নেই, অথচ- পড়ার আগ্রহ আছে, তাদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি বালিয়াপাড়া জুনিয়র হাই স্কুল। নদী ভাঙ্গা মানুষদের শিক্ষিত করবোÑ এই পরিকল্পনা নিয়েই হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিয়েছি। ইনশ্আল্লাহ আজ হোক, কাল হোক, আমি নদী ভাঙ্গা মানুষদের শিক্ষিত করবোই। আমার মতো এতো কষ্ঠ করে আর কাউকে যেন শিক্ষিত হতে না হয়। তার জন্য আমার এই নিরন্তর চেষ্টা একদিন না একদিন আল্লাহ সফল করে দিবেনই- এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। লেখক- জীবন ইসলাম (কবি, কথা সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা)


কবিতা[সম্পাদনা]

  1. শান্তি চাই
  2. আজ বসন্ত

নির্বাচিত উপন্যাস[সম্পাদনা]

,

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://www.rokomari.com/book/94270;jsessionid=9629F8850A66D8A3F7E738C28850227E
  2. http://www.business24bd.com/2013/07/10/
  3. http://www.business24bd.com/2013/07/10/
  4. http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2015/11/07/59830.php
  5. http://www.abcnews71.com/247824952465249525272494
  6. http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/438504.html
  7. http://www.business24bd.com/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%B8/
  8. http://www.observerbd.com/2015/11/08/119726.php
  9. http://www.rokomari.com/book/94270;jsessionid=9629F8850A66D8A3F7E738C28850227E
  10. http://www.rokomari.com/book/61277
  11. http://bartabangla.com/2013/02/27/6477.htm
  12. http://www.rokomari.com/book/13130
  13. http://www.business24bd.com/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF/
  14. http://www.rokomari.com/book/78461;jsessionid=016B7D2908ACBC92AC1ABFB3E573F6EA

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]

[[বিষয়শ্রেণী:]]