বোডেন সংস্কৃত অধ্যাপক
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বোডেন সংস্কৃত অধ্যাপক (ইংরেজি: Boden Professor of Sanskrit) পদটি ১৮৩২ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক লেফট্যানেন্ট কর্নেল জোসেফ বোডেনের দান করা অর্থে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] তিনি চেয়েছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ ভারতের জনসাধারণকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিতকরণে সাহায্য করতে একটি সংস্কৃত অধ্যাপক পদ গঠন করুক। অক্সফোর্ডে সংস্কৃতে ছাত্রবৃত্তির তহবিল গঠনে বোডেনের অর্পিত সম্পত্তি ব্যবহার করা হয়।[২] প্রথম দুই অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বিধি অনুযায়ী অক্সফোর্ডের স্নাতকেরা নির্বাচিত করেছিলেন: ১৮৩২ সালে হোরাস হেম্যান উইলসন খুব কম ব্যবধানে জয়লাভ করেন, এবং ১৮৬০ সালের নির্বাচনটি উত্তপ্ত বাদানুবাদের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। শেষোক্ত নির্বাচনে দুই প্রার্থীই নিজেদের বোডেনের উদ্দেশ্য পূর্ণ করার ক্ষেত্রে যোগ্যতম বলে দাবি করেন এবং সংস্কৃত গবেষণার প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনা করেন। ১৮৮২ সালে অক্সফোর্ডে নিয়মের সংস্কার সাধন করে বিধি থেকে বোডেনের সকল মূল উদ্দেশ্যগুলিকে অপসারিত করা হয়, স্নাতকদের অধ্যাপককে নির্বাচিত করার ক্ষমতাটি প্রত্যাহার করা হয় এবং অধ্যাপক পদাধিকারীকে অক্সফোর্ডের ব্যালিওল কলেজের একটি সভ্যপদ প্রদান করা হয়।[৩]
প্রথম পাঁচ অধ্যাপকের মধ্যে চারজন ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অথবা সেখানে কাজ করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত স্যার মোনিয়ার মোনিয়ার-উইলিয়ামস (অধ্যাপক পদে ১৮৬০-৯৯) দীর্ঘতম মেয়াদে এই পদটি অলংকৃত করেছেন, যদিও জীবনের শেষ ১১ বছর তার হয়ে শিক্ষকতা করার জন্য একজন সহ-অধ্যাপককে নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান পদাধিকারী ক্রিস্টোফার মিনকোউস্কি ২০০৫ সালে নিযুক্ত হন এবং তিনি হলেন অষ্টম বোডেন অধ্যাপক। কথিত আছে, তার পূর্বসূরি রিচার্ড গমবার্ককে তার অবসরের পর অপর কাউকে পদে যেন নিয়োগ করা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করতে হয়েছিল; তিনি মনে করতেন যে অক্সফোর্ডে যে সংস্কৃতে এই পদটি রয়ে গিয়েছে তার কারণ এটিই যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ অবশিষ্ট সংস্কৃত অধ্যাপক পদ।
প্রতিষ্ঠা
[সম্পাদনা]"এতদ্বারা আমি আমার কথিত অবশিষ্ট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতির সম্পূর্ণ অংশ, সেই সঙ্গে তার থেকে প্রাপ্ত সকল সঞ্চিত অর্থ যদি কিছু থাকে, এবং তার ফলে গঠিত ভাণ্ডার, তহবিল ও বিমা যা কিছু পরিকল্পিত ও বিনিয়োগকৃত হবে [তার সকলই] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান ও অর্পণ করছি, যার দ্বারা উক্ত কর্তৃপক্ষ কথিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অথবা তার অন্তর্গত যে কোনও কলেজে সংস্কৃত ভাষার একটি অধ্যাপক পদের নির্বাচন ও বৃত্তিদানের ব্যবস্থা করবে, যাতে ভাষাটির সম্পর্কে এক অধিকতর সাধারণ ও সমালোচনামূলক জ্ঞান অর্জন সম্ভব হয়, যার দ্বারা আমার দেশবাসীর পক্ষে আর যা কিছু উপায় আছে সেই সবের থেকে অধিকতর কার্যকরভাবে ভারতের স্থানীয়দের মধ্যে পবিত্র শাস্ত্রের জ্ঞান বিতরণ করে তাদের খ্রিস্টীয় ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কাজে অগ্রসর হতে সুবিধা হয়।"[৪]
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত অধ্যাপক পদটি লেফট্যানেন্ট কর্নেল জোসেফ বোডেনের নামাঙ্কিত। ১৭৮১ সাল থেকে ১৮০৭ সালে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বোডেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোম্বাই নেটিভ ইনফ্যান্ট্রিতে কর্মরত ছিলেন। স্বাস্থ্যের কারণে তিনি পর্তুগালের লিসবন শহরে চলে আসেন এবং ১৮১১ সালের ২১ ডিসেম্বর সেখানেই মারা যান। বোডেনের কন্যা এলিজাবেথের মৃত্যু হয় ১৮২৭ সালের অগস্ট মাসে এবং বোডেনের ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী তার সম্পত্তি সংস্কৃতে একটি অধ্যাপক পদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে অর্পিত হয়। ১৮১১ সালের ১৫ অগস্ট তারিখে ঘোষিত তার ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী, বোডেনের উদ্দেশ্য ছিল বাইবেলের জ্ঞান বিতরণ করে ভারতের[n ১] অধিবাসীদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা।[৬] শেলটেনহ্যামের হোলি ট্রিনিটি চার্চের একটি পাতালকুঠরিতে এলিজাবেথকে সমাহিত করা হয়েছিল। সেখানে স্থাপিত একটি স্মারক শিলায় বোডেনের সম্পত্তি অর্পণ-সংক্রান্ত ইচ্ছাপত্রের একটি অংশ খোদিত রয়েছে। এই তথ্য অনুযায়ী, ১৮২৭ সালে বোডেনের ভূসম্পত্তির মোট মূল্য ছিল প্রায় ২৫,০০০ পাউন্ড।[৬][n ২] ১৮২৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় বোডেনের অর্পিত সম্পত্তি গ্রহণ করে এবং ১৮৩২ সালে প্রথম অধ্যাপক নির্বাচিত হন।[৬] সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন ও পাণ্ডিত্য অর্জনে উৎসাহ দানের জন্য প্রদত্ত বোডেন ছাত্রবৃত্তির তহবিল গঠনের কাজেও বোডেনের অর্পিত সম্পত্তি ব্যবহার করা হয়েছিল।[৮]
নির্বাচন
[সম্পাদনা]১৮৩২ সালের নির্বাচন
[সম্পাদনা]প্রথম ও দ্বিতীয় বোডেন অধ্যাপককে নির্বাচিত করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার অফ আর্টস অথবা ডক্টরেট ডিগ্রিধারী সকল স্নাতকদের নিয়ে গঠিত সমাবর্তন। উল্লেখ্য, সমাবর্তনই ছিল সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান পরিচালক সংস্থা। ১৮৩২ সালের নির্বাচনে দুই জন প্রার্থী ছিলেন: হোরাস হেম্যান উইলসন ও উইলিয়াম হজ মিল। উইলসন ছিলেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক শল্যচিকিৎসক। তিনি ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে কাজ করেছিলেন এবং বিভিন্ন বিদ্বজ্জনোচিত ও শিক্ষামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন।[৯] অপরপক্ষে মিলস ১৮২০ সাল থেকে কলকাতার বিশপ’স কলেজের অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করছিলেন।[১০] একজন বিশেষজ্ঞ গবেষক হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কেউ মনে করতেন যে, ভারতীয় খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত এই অধ্যাপক পদে উইলসনের মতো হিন্দু ধর্মগুরুদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের নিয়োগ যথাযথ হবে না। তাছাড়া কলকাতার নাট্যজগতের সঙ্গে তার যোগাযোগটিকে সুনজরে দেখা হত না।[৯] তা সত্ত্বেও ১৮৩২ সালের ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২০৭-২০০ ভোটে তিনি মিলকে পরাজিত করেন।[১১] ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলেজের অধ্যাপক গ্রেভস হটন নির্বাচনের পূর্বেই নিজের প্রাক্তন ছাত্র উইলসনকে সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কারণ অনেকেই ছিলেন তাদের দু’জনের বন্ধু এবং তিনি চাইছিলেন না তাদের আনুগত্য দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাক। সমগ্র নির্বাচনে তার "অকপট ও সম্মানজনক আচরণের" জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’শো সদস্যের সাক্ষর-সম্বলিত একটি প্রশংসাপত্র পেয়েছিলেন। এই পত্রে সাতটি কলেজের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষেরাও সই করেছিলেন।[১২][১৩]
১৮৬০ সালের নির্বাচন
[সম্পাদনা]১৮৬০ সালে উইলসনের মৃত্যুর পরে তার উত্তরসূরি নির্বাচনে মোনিয়ার উইলিয়ামস ও ম্যাক্স মুলার পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন। উইলিয়ামস ছিলেন অক্সফোর্ডে শিক্ষাপ্রাপ্ত এক ইংরেজ। তিনি চৌদ্দ বছর ব্রিটিশ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুতিগ্রহণকারীদের সংস্কৃত শিক্ষা দিয়েছিলেন।[১৪] অপরপক্ষে মুলার ছিলান অক্সফোর্ডে এক জার্মান-বংশোদ্ভূত প্রভাষক এবং তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।[১৫] নিজের প্রচারাভিযানে উইলসন বোডেনের উদ্দেশ্য অর্থাৎ খ্রিস্টীয় ধর্মগ্রন্থ বিতরণের মাধ্যমে ভারতীয়দের ধর্মান্তরিতকরণে সহায়তায় পদাধিকারীর সহায়তা প্রদানের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।[১৬] মুলার মনে করতেন যে, তার কাজ ধর্মপ্রচারকদের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যবান। সেই অনুযায়ী তিনি সাক্ষ্যপত্রও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংস্কৃত শিক্ষার নিজস্ব মাহাত্ম্যের বিষয়েও তিনি বিশ্বাসী ছিলেন।[১৭] প্রচারের সময় সংবাদপত্রের উভয় প্রার্থীর বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় এবং ইস্তাহার বিতরণ করা হয়। এক-একটি সংবাদপত্র এক-এক প্রার্থীর পক্ষ অবলম্বন করে।[১৮] ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের উত্থানে ভারতে ইংল্যান্ডের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ বিতর্কের সময় এই নির্বাচন আয়োজিত হয়। ভারতীয়দের ধর্মান্তরিত করার বিষয়ে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত নাকি স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রথাগুলির প্রতি সংবেদনশীলতা বজায় রাখা উচিত তা নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণকারীদের মতামত দ্বিধাবিভক্ত ছিল।[১৯] সাধারণভাবে পাণ্ডিত্যের বিচারে মুলারকে উইলিয়ামস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর মনে করা হলেও, [২০] কারও কারও মতে মুলার দু’টি অসুবিধার সম্মুখীন হন: প্রথমত, তিনি ছিলেন জন্মসূত্রে জার্মান, এবং দ্বিতীয়ত মতাদর্শের দিক থেকে তিনি ছিলেন উদারনৈতিক খ্রিস্টান।[২১] উইলিয়ামসের পক্ষাবলম্বনকারী কয়েকটি সংবাদপত্র যে বিবৃতি দিয়েছিল তার মূল বক্তব্য ছিল জাতীয় স্বার্থে ভারত শাসন ও ভারতবাসীকে ধর্মান্তরিত করার কাজে সহায়তার জন্য একজন ইংরেজকেই বোডেন অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ করা উচিত। ধর্মীয় ইতিহাসবিদ গুইলিম বেকারলেগের মতে, বোডেন অধ্যাপক নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন উত্তরোত্তর দেশপ্রেমের একটি পরীক্ষার রূপ ধারণ করছিল।[১৮] তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর উইলিয়ামস ২২৩ ভোটে গরিষ্ঠতা অর্জন করে জয়লাভ করেন।[২২]
কর্তব্য ও প্রনিয়ম
[সম্পাদনা]ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে পরিবর্তনের যে প্রক্রিয়া শুরু হয় তার ফলস্রুতি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক বলবৎ অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৮৭৭। এই আইন বলে কমিশনারদের একটি গোষ্ঠীর হাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনস্থ কলেজগুলির নতুন বিধিনিয়ম রচনার ক্ষমতা দেওয়া হয়। গচ্ছিত সম্পত্তি এবং ৫০ বছর বা তার বেশি পুরনো উপহারের সঙ্গে জড়িত নির্দেশনার পুনর্লিখনের ক্ষমতা কমিশনারদের দেওয়া হয়।[২৩] ১৮৮২ সালে কমিশনারেরা বোডেন অধ্যাপক পদ-সংক্রান্ত নির্দেশাত্মক বিধিগুলি সংস্কার করেন। জোসেফ বোডেনের মূল ধর্মান্তরিতকরণ-সংক্রান্ত উদ্দেশ্যটির কথা আর উল্লেখ করা হয়নি। অধ্যাপকের কর্তব্য নির্ধারিত হয় সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে বক্তৃতা ও নির্দেশনা প্রদান, জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার উন্নতিতে অবদান রাখা এবং সাধারণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে সাহায্য করা।[২৪] যে সকল শিক্ষার্থী তাকে উপস্থিত থাকার জন্য "যুক্তিগ্রাহ্য বিজ্ঞপ্তি" প্রদান করে তাদের প্রতি বছর অন্তত একুশ সপ্তাহ প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার দিন নির্দেশ দিতে হত অতিরিক্ত পারিশ্রমিক ছাড়াই। সেই সঙ্গে সাধারণ বক্তৃতাও দিতে হত।[২৪] সমাবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবর্তে নতুন বিধি অনুসারে ভারত সচিব, তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের কর্পাস ক্রিস্টি অধ্যাপক, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত অধ্যাপক, ব্যালিওল কলেজের মনোনীত এক প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সংস্থা মনোনীত এক প্রতিনিধিকে নির্বাচকের ভূমিকা প্রদান করা হয়।[২৪] ১৮৮২ সালে কমিশনারেরা ব্যালিওল কলেজের বিধির সংস্কার করে বলা হয় যে সেই সময় থেকে বোডেন অধ্যাপককে উক্ত কলেজের সভ্য হতে হবে।[২৫]
বিংশ শতাব্দীতে এবং একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রনিয়মে আরও পরিবর্তন এনে বোডেন অধ্যাপক পদ সহ স্বতন্ত্র চেয়ারগুলির কর্তব্য ও নিয়োগপদ্ধতি-সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিধিগুলি অবলুপ্ত করা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের হাতে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিষেবার শর্ত নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক পদ যে কলেজের সঙ্গে যুক্ত (বোডেন অধ্যাপক পদের ক্ষেত্রে ব্যালিওল কলেজ), নির্বাচক পর্ষদে সেই কলেজের দুই জন প্রতিনিধি থাকে।[২৬][২৭] ২০০৮ সালে রিচার্ড গমবার্ক বলেছিলেন যে তিনি অবসর গ্রহণের পর যেন অপর কোনও অধ্যাপককে এই পদে নিয়োগ করা হয় তা নিশ্চিত করতে ২০০৪ সালে "একটি বড়ো যুদ্ধ করতে হয়েছে"। তিনি বলেন যে এটিই যুক্তরাজ্যের শেষ অবশিষ্ট সংস্কৃত অধ্যাপকের পদ এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় উলবব্ধি করতে পেরেছে বলেই তিনি জয়লাভ করেছেন।[২৮]
অধ্যাপকের তালিকা
[সম্পাদনা]নাম | মেয়াদ | শিক্ষা[n ৩] | অধ্যাপক হিসেবে কলেজ | জ্ঞাতব্য |
---|---|---|---|---|
হোরাস হেম্যান উইলসন | ১৮৩২–৬০ | সেন্ট টমাস' হাসপাতাল, লন্ডন | এক্সেটার[n ৪] | শল্যচিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উইলসন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে ভারতে আসার পথে হিন্দুস্তানি শিক্ষা করেন। ভারতে এসে তিনি সংস্কৃত ও অন্যান্য ভাষা শিখেছিলেন। একুশ বছর তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গলের সচিব ছিলেন। এই সোসাইটির সাময়িকীতে তার নিবন্ধ প্রকাশিত হত। ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক খ্রিস্টধর্ম শিক্ষাদানের বিরোধিতা করে তিনি প্রথাগত ভারতীয় শিক্ষার সঙ্গে ইংরেজি ভাষা ও পাশ্চাত্য জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার মিশ্রণ ঘটাতে সাহায্য করেছিলেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে তিনি ভারতীয় সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির তুলনায় হীন জ্ঞান করতেন। ১৮৩২ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর ১৮৩৩ সালে তিনি অক্সফোর্ডে আসেন। কিন্তু ১৮৩৬ সালে তিনি কোম্পানির সদর দফতর ইস্ট ইন্ডিয়া হাউসে গ্রন্থাগারিক হিসেবে যোগ দিতে লন্ডন চলে আসেন। নিজের কর্তব্য পালন করতে তিনি অক্সফোর্ডে আসতেন। ১৮৬০ সালে মৃত্যুর পূর্বাবধি তিনি দুই পদেই বহাল ছিলেন।[৯] |
মোনিয়ার মোনিয়ার-উইলিয়ামস | ১৮৬০–৯৯ | ব্যালিওল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহ | ব্যালিওল (১৮৮২ থেকে)[n ৫] | উইলিয়ামস (যিনি ১৮৮৭ সালে নাম পরিবর্তন করে স্যার মোনিয়ার মোনিয়ার-উইলিয়ামস হন) জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতে। তিনি ছিলেন এক সেনা আধিকারিকের পুত্র। ইংল্যান্ডে শিক্ষিত উইলিয়ামস ভারতে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার জন্য হেইলিবেরিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেন। ভারতে যুদ্ধে ভ্রাতার মৃত্যুর ফলে তিনি অক্সফোর্ডে ফিরে আসেন এবং উইলসনের সঙ্গে সংস্কৃত অধ্যয়ন করে বোডেন ছাত্রবৃত্তি লাভ করেন। ১৮৪৪ সালে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর তিনি ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানির কলেজে সংস্কৃত, ফার্সি ও হিন্দুস্তানি শিক্ষা দিতেন। এই বছরই ভারতীয় বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে হেইলিবেরি কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। বোডেন অধ্যাপক হিসেবে তিনি অক্সফোর্ডে একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে যোগসূত্রটি আরও শক্তিশালী করতে প্রয়াসী হন। তার সপক্ষতা এবং স্বদেশে ও বিদেশে অর্থ সংগ্রহ অভিযানের দলে ১৮৮৪ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় (সম্পূর্ণ হয় ১৮৮৬ সালে)। এটির গ্রন্থাগারে তিনি ৩,০০০ পুথি ও বই দান করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন; ১৮৮৮ সালে আর্থার ম্যাকডোনেল তার সহকারী-অধ্যাপকের দায়িত্ব নেন এবং যথাকালে বোডেন অধ্যাপক পদে তার উত্তরসূরি হিসেবে নিযুক্ত হন।[১৪] |
আর্থার অ্যান্টনি ম্যাকডোনেল | ১৮৯৯–১৯২৬ | গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়, কর্পাস ক্রিস্টি কলেজ ও লাইপশিগ বিশ্ববিদ্যালয় | ব্যালিওল[n ৬] | ম্যাকডোনেল ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন একটি স্থানীয় রেজিমেন্টের কর্নেল। ছয় অথবা সাত বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ম্যাকডোনেল ভারতেই ছিলেন। জার্মানিতে তিনি বেশ কয়েক বছর বিদ্যালয় শিক্ষা করেন। এরপর তিনি গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ও তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন। অক্সফোর্ডে তিনি লিটারি হিউম্যানিওরেস (ধ্রুপদি) অধ্যয়ন করেন এবং জার্মান, চীনা ও সংস্কৃতে ছাত্রবৃত্তিও লাভ করেন। অক্সফোর্ডে জার্মান ও সংস্কৃতে বক্তৃতা দান এবং লাইপশিগ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর ১৮৮৮ সালে তিনি মোনিয়ার-উইলিয়ামসের সহকারী-অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং ১৮৯৯ সালে তার উত্তরসূরি হিসেবে বোডেন সংস্কৃত অধ্যাপকের পদ অলংকৃত করেন। ম্যাকডোনেল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটের গ্রন্থাগার ও জাদুঘরের উন্নতিসাধন করেন, মহাভারতের একটি পাণ্ডিত্যপূর্ণ সংস্করণ প্রকাশের জন্য ভারতে তহবিল গড়ে তোলেন এবং বোডলিয়ান লাইব্রেরিকে বহু সংস্কৃত পুথি সংগ্রহে সাহায্য করেন। তার গবেষণার প্রধান আগ্রহ ছিল বৈদিক সংস্কৃত। তিনি বেদের পৌরাণিক আখ্যান ও ব্যাকরণের উপর গ্রন্থ রচনা করেন এবং কয়েকটি বৈদিক গ্রন্থের সম্পাদনাও করেন।[৩২] |
ফ্রেডেরিক উইলিয়াম টমাস (ভাষাবিজ্ঞানী) | ১৯২৭–৩৭ | ট্রিনিটি কলেজ | ব্যালিওল | টমাস কেমব্রিজে ধ্রুপদি সাহিত্য ও ভারতীয় ভাষাসমূহ অধ্যয়ন করেন। তারপর ছয় বছর শিক্ষকতার পর তিনি ইন্ডিয়া অফিসে প্রথমে সহকারী গ্রন্থাগারিক ও পরে গ্রন্থাগারিক হন। ২৪ বছরের গ্রন্থাগারিকের জীবনে তিনি ইন্ডিয়া অফিস কর্তৃক সংগৃহীত অনেক বই ও পুথি পর্যালোচনা ও অধ্যয়ন করেন। দশ বছর তিনি বোডেন অধ্যাপকের পদে আসীন ছিলেন। গবেষণার ক্ষেত্রে তার প্রধান আগ্রহ ছিল ভাষাবিজ্ঞান (ঐতিহাসিক সূত্রগুলিতে লিখিত ভাষার অধ্যয়ন), কিন্তু তিনি বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা ও পুরাণকথাও অধ্যয়ন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি সপ্তম শতাব্দীর সংস্কৃত জীবনীগ্রন্থ হর্ষচরিতের একটি প্রামাণ্য অনুবাদের কাজেও সাহায্য করেছিলেন।[৩৩] |
এডওয়ার্ড জনস্টন (অধ্যাপক) | ১৯৩৭–৪২ | নিউ কলেজ | ব্যালিওল | বোডেন ছাত্রবৃত্তি লাভের পর জনস্টন ১৯০৯ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। এই সময় তিনি ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন, যা তিনি ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তনের পর আরও বাড়িয়ে তোলেন। এছাড়া তিনি তিব্বতি ও চীনা ভাষাও কিছুটা শিখেছিলেন সেই সকল ভাষায় রচিত উৎসসূত্রগুলি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। তার রচনার মধ্যে ভারতীয় জীবন সম্পর্কে তার ব্যবহারিক জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। তার প্রধান কাজটি ছিল খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর লেখক অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত গ্রন্থের অনুবাদ ও সম্পাদনা। এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৮ থেকে ১৯৩৬ সালের মধ্যে। বোডেন অধ্যাপক হিসেবে বোডলিয়ান লাইব্রেরির সংস্কৃত পুথিগুলির তালিকা গঠনে এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটের জাদুঘরটির উন্নতিসাধনে সহায়তা করেন। তার মৃত্যুকে দ্য টাইমস সংবাদপত্র বিশ্বের সর্বত্র সংস্কৃত অধ্যয়নের এক বিরাট ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করে।[৩৪][৩৫] |
টমাস বারো | ১৯৪৪–৭৬ | ক্রাইস্ট’স কলেজ, কেমব্রিজ ও স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ, লন্ডন | ব্যালিওল | বারো কেমব্রিজে ধ্রুপদি সাহিত্য ও প্রাচ্যের ভাষাগুলি অধ্যয়ন করেন। এক বছর তিনি লন্ডনে প্রাকৃত ভাষায় ডক্টরেট করার জন্য অতিবাহিত করেছিলেন। কেমব্রিজে আরও দুই বছর গবেষণার পর তিনি সাত বছর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রাচ্যদেশীয় মুদ্রিত গ্রন্থ ও পুথি বিভাগের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। সেখানে তিনি দ্রাবিড় ভাষাসমূহ অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীকালে এই ভাষাগুলিই তার গবেষণা ও প্রকাশনার প্রধান ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায়। বোডেন অধ্যাপক হিসেবে তিনি সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত শিক্ষা দিতেন। তার উত্তরসূরি রিচার্ড গমবার্ক লিখেছেন যে, বারো কখনও তার কোনও ছাত্রকে প্রবন্ধ রচনার কাজ দিতেন না। ভারতে ক্ষেত্রসমীক্ষার সময় তিনি ইতিপূর্বে অধ্যয়ন না করা দ্রাবিড় ভাষাগুলি নথিবদ্ধ করতে সাহায্য করতেন। গমবার্ক লিখেছেন যে, তিনি সদাশয় হলেও সামাজিকভাবে নিষ্ক্রিয় ও মিতবাক মানুষ ছিলেন এবং সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন এক বিশিষ্ট অনন্য-মনা পণ্ডিত।[৩৬] |
রিচার্ড গমবার্ক | ১৯৭৬–২০০৪ | ম্যাগডালেন কলেজ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় | ব্যালিওল | শিল্প ইতিহাসবিদ স্যার আর্নস্ট গমবার্কের পুত্র রিচার্ড গমবার্ক ছিলেন উলফসন কলেজের সভ্য। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃত ও পালি ভাষার প্রভাষক ছিলেন। এই সময় তিনি টমাস বারোর স্থলে বোডেন অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত সংস্থা অক্সফোর্ড সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। তিনিই ছিলেন এই সংস্থার প্রথম আকাদেমিক পরিচালক (২০০৪-০৯) এবং তার পর তিনি এটির সভাপতি নিযুক্ত হন। তিনি ক্লে সংস্কৃত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। তাঁর রচনাকর্মের অন্যতম বুদ্ধিস্ট প্রিসেপ্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিশ (১৯৯১), হাও বুদ্ধিজম বিগ্যান (১৯৯৬) ও বিভিন্ন সাময়িকীতে বৌদ্ধধর্ম ও অন্যান্য বিষয়ে রচিত নিবন্ধ।[৩৭][৩৮] |
ক্রিস্টোফার মিনকৌক্সি | ২০০৫-বর্তমান | হার্ভার্ড কলেজ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় | ব্যালিওল | মিনকৌস্কি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দিতে একটি ডিপ্লোমা অর্জন করেন এবং হার্ভার্ড থেকে সংস্কৃত ও ভারতবিদ্যায় পিএইচডি করেন। উলফসন কলেজে এক বছর, ১৯৮৯ সাল থেকে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদ অলংকৃত করা সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার পর তিনি অক্সফোর্ডে নিযুক্ত হন।[৩৯] তার গবেষণার আগ্রহের মধ্যে রয়েছে ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের বৌদ্ধিক ইতিহাস ও বিজ্ঞানের ইতিহাস। অক্সফোর্ডে তিনি প্রাক্-আধুনিক দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে কর্মরত একটি গোষ্ঠীর সদস্য।[৪০] |
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ সেই যুগে "ভারত" বলতে অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সম্মিলিত ভূখণ্ডকে বোঝাতো।[৫]
- ↑ ২০১৩ সালের (২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত হালনাগাদকৃত তথ্যের নিরিখে সর্বশেষ বছর) হিসেব অনুযায়ী, ১৮২৭ সালের ২৫,০০০ পাউন্ডের বর্তমান মূল্য রিটেইল প্রাইস ইনডেক্স ব্যবহার করে প্রাপ্ত মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে ১.৯ মিলিয়ন পাউন্ড অথবা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সমতুল্য ভাগ অনুযায়ী প্রায় ৮২ মিলিয়ন পাউন্ডের সমান।[৭]
- ↑ অন্যভাবে উল্লেখ না করা হয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিত
- ↑ ১৮৩৩ সালের ২১ মে এক্সেটরের সদস্য হিসেবে উইলসন ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। তিন বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মাস্টার অফ আর্টস ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি কোনও অক্সফোর্ড কলেজে সভ্য নিযুক্ত হয়েছিলেন বলে অ্যালামনি অক্সোনিয়েনসেস-এ উল্লেখ পাওয়া যায় না।[২৯]
- ↑ অ্যালামনি অক্সোনিয়েনসেস-এর মতে, ১৮৮২ সালে পদটিকে ব্যালিওলের সঙ্গে যুক্ত করার আগে পর্যন্ত তিনি কোনও কলেজের সভ্য ছিলেন না।[৩০]
- ↑ সহকারী-অধ্যাপক থাকাকালীন ম্যাকডোনেক কর্পাস ক্রিস্টি কলেজের সদস্য ছিলেন, কিন্তু সভ্যপদ পাননি।[৩১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "জোসেফ বোডেন"। www.oxforddnb.com। অক্সফোর্ড ডিকশনারি ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। ১৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "অ্যাবাউট দ্য বোডেন স্কলারশিপ অ্যান্ড প্রফেসরশিপ" [বোডেন ছাত্রবৃত্তি ও অধ্যাপক পদ প্রসঙ্গে]। www.oxfordreference.com। অক্সফোর্ড রেফারেন্স। ২৩ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "বোডেন প্রফেসর অফ সংস্কৃত – অ্যাবাউট" [বোডেন সংস্কৃত অধ্যাপক – প্রসঙ্গ]। www.balliol.ox.ac.uk। ব্যালিওল কলেজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১০ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "অক্সফোর্ড"। দি অবজার্ভার। ১৯ নভেম্বর ১৮২৭। পৃষ্ঠা ২। প্রোকুয়েস্ট 473899496। templatestyles stripmarker in
|id=
at position 1 (সাহায্য) - ↑ বেকারলেগ, পৃ. ১৭৮
- ↑ ক খ গ শিশেস্টার, এইচ. এম.; কার্টার, ফিলিপ (মে ২০০৫)। "বোডেন, জোসেফ (মৃত্যু ১৮১১)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৩১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ "ফাইভ ওয়েজ টু কম্পিউট দ্য রিলেটিভ ভ্যালু অফ আ ইউকে পাউন্ড অ্যামাউন্ট, ১২৭০ টু প্রেজেন্ট" [১২৭০ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের এক পাউন্ডের আপেক্ষিক মূল্য গণনার পাঁচটি পদ্ধতি]। মেজারিংওয়ার্থ। ২০১১। ১৪ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৪।
- ↑ "শিডিউল পার্ট ৬: বোডেন ফান্ড" [তফসিল অংশ ৬: বোডেন তফহিল]। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ জুলাই ২০০৬। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১২।
- ↑ ক খ গ কার্টরাইট, পল বি. (২০০৪)। "উইলসন, হোরাস হেম্যান (১৭৮৬–১৮৬০)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ বেন্ডাল, সিসিল; লোলোই, পারভিন (২০০৪)। "মিল, উইলিয়াম হজ (১৭৯২–১৮৫৩)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১২।
- ↑ "ইউনিভার্সিটি ইনটেলিজেন্স" [বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাসম্পদ]। দ্য টাইমস। ১৭ মার্চ ১৮৩২। পৃষ্ঠা 4। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১২।(সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ গুডউইন, গর্ডন; কাটজ, জে. বি. (জানুয়ারি ২০০৮)। "হটন, স্যার গ্রেভস শ্যামনি (১৭৮৮–১৮৪৯)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ শেফার্ড, জন (১৮৫০)। "প্রসিডিংস অফ দ্য টোয়েন্টি-সেভেনথ অ্যানিভার্সারি মিটিং অফ দ্য সোসাইটি, হেল্ড অন দ্য ১১থ অফ মে, ১৮৫০" [১৮৫০ সালের ১১ মে অনুষ্ঠিত সোসাইটির সপ্তবিংশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সভার কার্যবিবরণী]। দ্য জার্নাল অফ দ্য রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অফ গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড আয়ারল্যান্ড। রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অফ গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড আয়ারল্যান্ড। ১২: দুই–পাঁচ। জেস্টোর 25228629।
- ↑ ক খ ম্যাকডোনেল, এ. এ.; কাটজ, জে. বি. (অক্টোবর ২০০৭)। "উইলিয়ামস, স্যার মোনিয়ার মোনিয়ার– (১৮১৯–১৮৯৯)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ ফিনেস, আর. সি. সি. (মে ২০০৭)। "মিলার, ফ্রিডরিক ম্যাক্স (১৮২৩–১৯০০)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ বেকারলেগ, পৃ. ৩৩৩–৩৩৪
- ↑ বেকারলেগ, পৃ. ৩৩৪–৩৩৫
- ↑ ক খ বেকারলেগ, পৃ. ১৯৬
- ↑ বেকারলেগ, পৃ. ১৮৬, ২০১
- ↑ টুল, হারম্যান ডব্লিউ. (জুন ১৯৯১)। "এফ. ম্যাক্স মুলার অ্যান্ড এ. বি. কেইথ: 'টোয়াডেল', দ্য 'স্টুপিড' মিথ অ্যান্ড দ্য ডিজিজ অফ ইন্ডোলজি" [এফ. ম্যাক্স মুলার অ্যান্ড এ. বি. কেইথ: ‘আবোল তাবোল কথা’, ‘নির্বোধ’ অতিকথা ও ভারততত্ত্বের অসুখ]। নুমেন। ব্রিল পাবলিশার্স। ৩৮ (৩): ৩১–৩২। জেস্টোর 327003। ডিওআই:10.2307/3270003। ১ম পর্ব।
- ↑ ডওলিং, পৃ. ১৬৪
- ↑ "ইউনিভার্সিটি ইনটেলিজেন্স"। দ্য টাইমস। ৮ ডিসেম্বর ১৮৬০। পৃষ্ঠা ৯। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১২। অজানা প্যারামিটার
|অনূদিত-শিরোমা=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)(সদস্যতা প্রয়োজনীয়) - ↑ "Preface: Constitution and Statute-making Powers of the University" [মুখবন্ধ: বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান ও বিধিপ্রণয়ন-সংক্রান্ত ক্ষমতাবলি]। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ জুন ২০০৩। ২০০৩-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১২।
- ↑ ক খ গ স্ট্যাটিউটস, পৃ. ৯০–৯১
- ↑ স্ট্যাটিউটস, পৃ. ১৯৪ ও পৃ. ২১৩
- ↑ "প্রিফেস: কনস্টিটিউশন অ্যান্ড স্ট্যাটিউট-মেকিং পাওয়ারস অফ দ্য ইউনিভার্সিটি" [প্রস্তাবনা: বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান ও বিধি-প্রণয়ণকারী ক্ষমতা]। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ জুন ২০০৩। ৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২।
- ↑ "স্ট্যাটিউট ১৪: এমপ্লয়মেন্ট অফ অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড সাপোর্ট স্টাফ বাই দ্য ইউনিভার্সিটি" [বিধি ১৪: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আকাদেমিক ও সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ]। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৯। ১৯ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২।
- ↑ "টেনথ অ্যানিভার্সারি বোর্ড অফ গভর্নরস ডিনার" [বোর্ড অফ গভর্নরসের দশম বর্ষপূর্তির নৈশাহার]। অক্সফোর্ড সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিজ । ২৫ জুন ২০০৮। ২০২১-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১২।
- ↑ অ্যালামনি অক্সোনিয়েনসেস, পৃ. ১৫৮৩
- ↑ অ্যালামনি অক্সোনিয়েনসেস, পৃ. ১৫৬৭
- ↑ ফস্টার, জোসেফ (১৮৯৩)। অক্সফোর্ড মেন অ্যান্ড দেয়ার কলেজেস [অক্সফোর্ডের ব্যক্তিত্ব ও তাদের কলেজ]। জে. পার্কার। পৃষ্ঠা 387।
- ↑ টমাস, এফ. ডব্লিউ.; টাকার, এলিজাবেথ (জানুয়ারি ২০১০)। "ম্যাকডোনেল, আর্থার অ্যান্টনি (১৮৫৪–১৯৩০)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ Arberry, A. J.; কাটজ, জে. বি. (২০০৪)। "টমাস, ফ্রেডেরিক উইলিয়াম (১৮৬৭–১৯৫৬)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ "প্রফেসর ই. এইচ. জনস্টন"। The Times। ২৬ অক্টোবর ১৯৪২। পৃষ্ঠা ৬।
- ↑ টমাস, এফ. ডব্লিউ. (অক্টোবর ১৯৪২)। "এডওয়ার্ড হ্যামিলটন জনস্টন, ১৮৮৫–১৯৪২"। জার্নাল অফ দ্য রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অফ গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড আয়ারল্যান্ড। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৩ (৩): ২৬৩–২৬৭। জেস্টোর 25221878। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ গমবার্ক, রিচার্ড এফ. (২০০৪)। "বারো, টমাস (১৯০৯–১৯৮৬)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১২। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- ↑ "গমবার্ক, প্রফ. রিচার্ড ফ্রান্সিস"। হু’জ হু ২০১২। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। নভেম্বর ২০১১। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১২।(সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ "প্রফেসর রিচার্ড এফ. গমবার্ক"। ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউট, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১ সেপ্টেম্বর ২০১১। ২৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১২।
- ↑ "মিনকৌস্কি, প্রফ. ক্রিস্টোফার জ্যান্ড"। হু’জ হু ২০১২। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। নভেম্বর ২০১১। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২।(সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ বার্ন-মার্ডক, স্টিভ (২০০৭)। "বোডেন প্রফেসর অফ সংস্কৃত"। ব্যালিওল কলেজ, অক্সফোর্ড। ১১ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২।
গ্রন্থপঞ্জি
- বেকারলেগ, গুইলিম (১৯৯৭)। "প্রফেসর ফ্রেডরিক ম্যাক্স মুলার অ্যান্ড দ্য মিশনারি কজ [অধ্যাপক ফ্রেডরিক ম্যাক্স মুলার ও ধর্মপ্রচারকদের উদ্দেশ্য"। উলফ, জন। রিলিজিয়ন ইন ভিক্টোরিয়ান ব্রিটেন [ভিক্টোরীয় ব্রিটেনে ধর্ম]। ৫ – কালচার অ্যান্ড এম্পায়ার [সংস্কৃতি ও সাম্রাজ্য]। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 0-7190-5184-3। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল
|আর্কাইভের-ইউআরএল=
এর|ইউআরএল=
প্রয়োজন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। অজানা প্যারামিটার|ur=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); - ডওলিং, লিন্ডা (মার্চ ১৯৮২)। "ভিক্টোরিয়ান অক্সফোর্ড অ্যান্ড দ্য সায়েন্স অফ ল্যাংগুয়েজ" [ভিক্টোরিয়ান অক্সফোর্ড ও ভাষাবিজ্ঞান]। পাবলিকেশনস অফ দ্য মডার্ন ল্যাংগুয়েজ অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা। মডার্ন ল্যাংগুয়েজ অ্যাসোসিয়েশোন । ৯৭ (২): ১৬০–১৭৮। জেস্টোর 462185। ডিওআই:10.2307/462185।
- টেমপ্লেট:Alox2
- স্ট্যাটিউটস মেড ফর দ্য ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড, অ্যান্ড ফর দ্য কলেজেস অ্যান্ড হলস দেয়ারইন [অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এবং তার অন্তর্গত কলেজ হলগুলির জন্য প্রস্তুত করা বিধিসমূহ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ১৮৮৩।