বিশ্ব সংস্কৃত সম্মেলন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বিশ্ব সংস্কৃত সম্মেলন (সংস্কৃত: विश्वसंस्कृतसम्मेलनम्) হলো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এটি উত্তর আমেরিকাএশিয়া, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনটি ভারতে চারবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।[১] প্রথম এটি ১৯৭২ সালে ভারতের নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত হয়,[২] এবং এটি দিল্লি আন্তর্জাতিক সংস্কৃত সম্মেলন নামে পরিচিত। ডঃ রঙ্গনাথন এর চেয়ারম্যান ছিলেন।[৩] পরবর্তী তারিখগুলো হলো ১৯৮১, ১৯৯৭, ২০১২।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

শণ ভিত্তিক কাগজে প্রাচীন সংস্কৃত। ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে হেম্প ফাইবার সাধারণত কাগজ উৎপাদনে ব্যবহৃত হত।

সংস্কৃতবিদ্যার আন্তর্জাতিক সংঘ (সবিআস)-এর দাপ্তরিক ওয়েবসাইট অনুসারে, ভারতীয় বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু সংস্কৃত পণ্ডিতগণ বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রাচ্যবিদদের আন্তর্জাতিক কংগ্রেস "সংস্কৃত ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির সম্পূর্ণ আলোচনার জন্য যথেষ্ট সুযোগ দেয়নি"। তারা ভারত সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, যেটি ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্কৃত সম্মেলন আহ্বান করার ব্যবস্থা করেছিল। পরের বছর, প্রাচ্যবিদদের ২৯তম আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে, সারা বিশ্বের সংস্কৃত পণ্ডিতগণ সবিআস গঠনের জন্য একত্রিত হন। সবিআস-এর প্রধান দায়িত্ব ছিল বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব সংস্কৃত সম্মেলন আয়োজন করা। ১৯৭২ সালের নয়াদিল্লি সম্মেলনটি পূর্ববর্তীভাবে "প্রথম বিশ্ব সংস্কৃত সম্মেলন" হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল।[৪]

২০১৫ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষোড়শ সম্মেলন ভারত সরকারের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছিল।[৫] কেউ কেউ যাকে "নরম শক্তির প্রদর্শন" বলে অভিহিত করেছেন, ভারত বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে ২৫০ জন সংস্কৃত পণ্ডিতদের একটি দল পাঠিয়েছিল, যারা সংস্কৃতে উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছিলেন।[৫] সম্মেলনটি থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহাচক্রী সিরিন্দহর্নের দ্বারা সমর্থিত ও অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি সংস্কৃত শিক্ষাকে সমর্থন করেছেন এবং চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালিসংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬] ২০১৫ সালের সম্মেলনকে ঘিরে কয়েকটি বিতর্ক ছিল, এবং রাজীব মালহোত্রা কর্তৃক এটি উদ্ঘাটিত হয়েছিল।

ভ্যানকুভারে ২০১৮ সালের সম্মেলনে "The Story of Our Sanskrit" শিরোনামের অধিবেশন দেখানো হয়েছে, যেখানে দুজন মহিলা সংস্কৃতবিদ উপস্থাপনা করেছেন এবং তৃতীয় মহিলা সংস্কৃতবিদ পরিচালনা করেন৷ অধিবেশন উচ্ছৃঙ্খল দর্শকদের যৌনতাবাদী ও বর্ণবাদী মন্তব্য দ্বারা জর্জরিত ছিল।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Sanskritassociation - Conferences" 
  2. India. Ministry of Education and Social Welfare (১৯৮০)। International Sanskrit Conference। The Ministry। পৃষ্ঠা iii। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১২ 
  3. T.K. Venkatasubramanian (২০১০)। Music as History in TamilNadu। Primus Books। পৃষ্ঠা 138। আইএসবিএন 978-93-80607-06-1। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১২ 
  4. "INTERNATIONAL ASSOCIATION OF SANSKRIT STUDIES (IASS)"। New Delhi: IASS। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১২ 
  5. Chaudhury, Dipanjan Roy; Venugopal, Vasudha (২৪ জুন ২০১৫)। "Government to send 250 Sanskrit scholars to participate in World Sanskrit Conference in Thailand"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৫ 
  6. "World Sanskrit Conference held in honor of Princess Maha Chakri"Battaya Mail। ৩০ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৫ 
  7. Vajpeyi, Ananya (২০১৮-০৮-১৪)। "How to move a mountain"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-২৭ 
  8. "World Sanskrit Conference shows that Sanskritic scholarship in India remains afraid of gender and caste - Firstpost"www.firstpost.com। ২২ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-২৭ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • "Sinological Conferences: ICANAS"। Warring States Project - University of Massachusetts, Amherst। ২৯ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১২ 
  • Lewis, Bernard (১৯৯৩)। Islam and the Westবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 103–105। আইএসবিএন 9780195090611। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১২