আলেক্সান্দ্র ব্লক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Luckas-bot (আলোচনা | অবদান) অ [r2.5.2] রোবট যোগ করছে: la:Alexander Blok |
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ r2.7.1) (রোবট যোগ করছে: nn:Aleksandr Blok |
||
৮৭ নং লাইন: | ৮৭ নং লাইন: | ||
[[mrj:Блок, Александр Александрович]] |
[[mrj:Блок, Александр Александрович]] |
||
[[nl:Aleksandr Blok]] |
[[nl:Aleksandr Blok]] |
||
[[nn:Aleksandr Blok]] |
|||
[[pl:Aleksandr Błok]] |
[[pl:Aleksandr Błok]] |
||
[[pt:Aleksandr Blok]] |
[[pt:Aleksandr Blok]] |
১৪:৫৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আলেক্সান্দ্র ব্লক (Alexander Blok) (১৮৮০ - ১৯২১) প্রখ্যাত এক রুশ কবি। কোন কোন সমালোচকের মতে রুশ সাহিত্যের ইতিহাসে পুশকিনের পর তিনিই সবচেয়ে প্রতিভাবান কবি ছিলেন।
জীবনী
সেইন্ট পিটার্সবার্গের এক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা ছিলেন আইনের অধ্যাপক এবং তার নানা ছিলেন সেইন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর। তার বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবার পর তিনি মস্কোর অদূরে চলে আসেন আত্মীয়দের কাছে। এখানে তিনি সলোভিয়ভের দর্শন আর তিউত্চেভ এবং ফেত-এর কবিতার সাথে পরিচিতি লাভ করেন। এদের প্রভাব তার শুরুর দিকের কবিতায় লক্ষণীয়।
ব্লক প্রখ্যাত রসায়নবিদ মেন্দেলিভের কন্যা লিউবার প্রেমে পড়ে যান এবং ১৯০৩ সালে তাকে বিয়ে করেন। পরে লিউবা তাকে আরেক প্রতীকী লেখক আন্দ্রে বেলির সাথে এক জটিল সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলেন। ১৯০৪ সালে লিউবাকে নিয়ে লেখা কবিতাচক্র অপরূপা রমনীকে নিয়ে পংক্তি ব্লক-কে খ্যাতি এনে দেয়।
এই গ্রন্থটি তাকে রুশ প্রতীকীবাদ (Russian Symbolism) নামক শৈল্পিক ধারার প্রথম কাতারে নিয়ে আসে। তার কবিতা শুরু থেকেই সংগীতময়, কিন্তু পরে তিনি ছন্দ ও স্পন্দন নিয়েও সাহসী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। কাব্যিক প্রেরণা তার কাছে ছিল একদমই সহজাত।
খ্যাতির শিখরে
সেইন্ট পিটার্সবার্গ-কে নিয়ে ব্লক একটি সংকলন লিখেন - নগরী। এতে তিনি শহরটিকে অদ্ভূত রহস্যময় এক রূপদান করেন। পরবর্তীতে ফাইনা ও বরফের মুখোশ গ্রন্থ দুটি প্রকাশ পেলে তার নামযশ গগনচুম্বী আকার ধারন করে। বিংশ শতকের প্রথম দুই দশককে রুশ কবিতার রৌপ্য যুগ বলা হয়ে থাকে। ব্লকের প্রভাব তখন এতই প্রবল যে মাঝে মাঝে একে 'ব্লকের যুগ' হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান কবিরা - আখ্মাতোভা, পাস্তের্নাক, নাবোকভ ও ত্স্ভেতায়েভা - সকলেই তার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধামূলক কবিতা রচনা করেন।
জীবনের শেষের দিকে তিনি রাজনীতি ও রুশ জাতির নিয়তি নিয়ে ভাবান্বিত হয়ে পড়েন। মহাপ্রলয়ের আশংকায় তার মন ভরে ওঠে। ১৯১৭ সালের গ্রীষ্মকালে রুশ বিপ্লবের মাত্র কয়েক মাস আগে তিনি তার আশংকার কথা ডায়েরীর পাতায় ব্যক্ত করেন। অক্টোবর বিপ্লব এলে তিনি এটিকে সেই প্রলয়ের পরিণতি বলেই ধরে নেন।
১৯১৮ সালে তিনি বারোজন নামে একটি কবিতায় রুশ বিপ্লব সম্পর্কে তার ভাবনা তুলে ধরেন। বারোজন রুশ সাহিত্যে অতি বিতর্কিত এক কবিতা। কর্কশ ভাষায় তিনি বারোজন বলশেভিক খুনী ও ধর্ষণকারীর বর্ণনা দেন। এই কবিতাটির ফলে ব্লকের পুরনো গুণমুগ্ধরা তাকে পরিত্যাগ করেন। এবং কমিউনিস্টরা তার উপর হন মহা অসন্তুষ্ট।
তিনি মানসিক বিষন্নতা রোগে নিমজ্জিত হয়ে যান। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি পুশকিনের উপর একটি বিখ্যাত বক্তৃতা দেন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তার মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব আছে। কারো মতে তিনি গৃহযুদ্ধ প্রসূত দুর্ভিক্ষে মারা যান।
ব্লকের একটি কবিতা
Night, street, lamp, drugstore,
|
Ночь, улица, фонарь, аптека, |
(১০ অক্টোবার ১৯১২ খ্রীস্টাব্দে লেখা। উৎস: [১])