নারায়ণ সান্যাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Al Riaz Uddin Ripon (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4195669 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
Remove external link
১৯ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:


==সাহিত্যকর্ম==
==সাহিত্যকর্ম==
নারায়ণ সান্যালের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব মূলত তাঁর সাহিত্যকীর্তি৷ তিনি নানান বিষয়ের উপর প্রচুর বই লিখেছেন। তাঁর লেখনীর বিষয়বস্তুগুলি সাহিত্য ও সমাজের বিভিন্ন প্রান্তকে ছুঁয়ে যায়। তাঁর লেখার বিষয়ের মধ্যে শিশুসাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও স্থাপত্য, ভ্রমণ, মনস্তত্ত্ব, প্রযুক্তি, শরণার্থী সমস্যা, ইতিহাস, জীবনী , প্রাণীদের বিশ্বকোষ, সামাজিক উপন্যাস এবং দেবদাসি সম্পর্কিত বেশ কিছু লেখা আমরা পাই৷ সমাজের গভীর অন্ধকার দিকগুলি তাঁর লেখায় অন্য মাত্রা পেয়েছে। তাঁর লেখা কল্পবিজ্ঞানের গল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 'নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা'। <ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://sobbanglay.com/sob/narayan-sanyal/|শিরোনাম=নারায়ণ সান্যাল|তারিখ=2020-04-25|ওয়েবসাইট=সববাংলায়|ভাষা=bn-BD|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-28}}</ref>  
নারায়ণ সান্যালের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব মূলত তাঁর সাহিত্যকীর্তি৷ তিনি নানান বিষয়ের উপর প্রচুর বই লিখেছেন। তাঁর লেখনীর বিষয়বস্তুগুলি সাহিত্য ও সমাজের বিভিন্ন প্রান্তকে ছুঁয়ে যায়। তাঁর লেখার বিষয়ের মধ্যে শিশুসাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও স্থাপত্য, ভ্রমণ, মনস্তত্ত্ব, প্রযুক্তি, শরণার্থী সমস্যা, ইতিহাস, জীবনী , প্রাণীদের বিশ্বকোষ, সামাজিক উপন্যাস এবং দেবদাসি সম্পর্কিত বেশ কিছু লেখা আমরা পাই৷ সমাজের গভীর অন্ধকার দিকগুলি তাঁর লেখায় অন্য মাত্রা পেয়েছে। তাঁর লেখা কল্পবিজ্ঞানের গল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 'নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা'।


তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাস হল 'বিশ্বাসঘাতক'-এ স্থান পেয়েছেন পৃথিবীর বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকরা। সত্য ঘটনা আশ্রয় করে কল্পনার মিশেল ঘটিয়ে লেখকের কলম ঝলসে উঠেছে৷
তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাস হল 'বিশ্বাসঘাতক'-এ স্থান পেয়েছেন পৃথিবীর বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকরা। সত্য ঘটনা আশ্রয় করে কল্পনার মিশেল ঘটিয়ে লেখকের কলম ঝলসে উঠেছে৷


নারায়ণ সান্যাল রচিত আরেকটি অনবদ্য বই হল 'তিমি তিমিঙ্গল'। এই বইটিতে তিমিদের নিয়ে রয়েছে অসাধারণ গল্প, তাদের জন্ম, বড় হওয়া প্রেম বিবাহ এবং মানুষের মতন ভয়ঙ্কর জীবের জন্য তারা আজ লুপ্তপ্রায়৷ <ref name=":0" />
নারায়ণ সান্যাল রচিত আরেকটি অনবদ্য বই হল 'তিমি তিমিঙ্গল'। এই বইটিতে তিমিদের নিয়ে রয়েছে অসাধারণ গল্প, তাদের জন্ম, বড় হওয়া প্রেম বিবাহ এবং মানুষের মতন ভয়ঙ্কর জীবের জন্য তারা আজ লুপ্তপ্রায়৷


গোয়েন্দা কথাসাহিত্যের জগতে তাঁর লেখা 'কাঁটা' সিরিজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই সিরিজের  বেশিরভাগ গল্পই স্ট্যানলি গার্ডনার এবং আগাথা ক্রিস্টির বিভিন্ন বিদেশী উপন্যাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। নারায়ণ সান্যাল রচিত 'বিশুপালবধ উপসংহার' মূলত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত লেখা ব্যোমকেশ বক্সি সিরিজের শেষাংশ৷
গোয়েন্দা কথাসাহিত্যের জগতে তাঁর লেখা 'কাঁটা' সিরিজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই সিরিজের  বেশিরভাগ গল্পই স্ট্যানলি গার্ডনার এবং আগাথা ক্রিস্টির বিভিন্ন বিদেশী উপন্যাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। নারায়ণ সান্যাল রচিত 'বিশুপালবধ উপসংহার' মূলত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত লেখা ব্যোমকেশ বক্সি সিরিজের শেষাংশ৷


এছাড়া তাঁর লেখা অন্যান্য সাহিত্যকর্ম গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য  হল,'সত্যকাম' যেটি নিয়ে পরবর্তী কালে হিন্দি সিনেমা হয়েছে৷ এছাড়াও তাঁর লেখা 'নাগচম্পা', 'অশ্লীলতার দায়ে', 'নীলিমায় নীল' 'প্রশান্ত পন্ডিত' প্রভৃতি গল্পগুলি নিয়েও বাংলা সিনেমা হয়েছে। তাঁর লেখা কিশোর সাহিত্য হিসেবে উল্লেখযোগ্য 'শার্লক হেবো', 'অরিগ্যামি', 'ডিসনিল্যান্ড', 'নাক উঁচু', 'হাতি আর হাতি' ইত্যাদি৷ এছাড়া তাঁর লেখা অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে 'হে হংসবলাকা', 'আজি হতে শতবর্ষ পরে', 'অবাক পৃথিবী', 'আজি হতে শতবর্ষ পরে', ' অজন্তা অপরূপা', 'ভারতীয় ভাস্কর্যে মিথুন', ' রূপমঞ্জরী', 'দণ্ডকশবরী', 'অন্তর্লীনা', 'মনামী', 'সুতনুকা একটি দেবদাসীর নাম', ' সুতনুকা কোন দেবদাসীর নাম নয়', ' মান মানে কচু' প্রভৃতি৷ জীবনীমূলক লেখাও তিনি লিখেছেন যেমন,  'আমি নেতাজিকে দেখেছি', 'আমি রাসবিহারীকে দেখেছি', 'লিন্ডবার্গ' ইত্যাদি।<ref name=":0" />
এছাড়া তাঁর লেখা অন্যান্য সাহিত্যকর্ম গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য  হল,'সত্যকাম' যেটি নিয়ে পরবর্তী কালে হিন্দি সিনেমা হয়েছে৷ এছাড়াও তাঁর লেখা 'নাগচম্পা', 'অশ্লীলতার দায়ে', 'নীলিমায় নীল' 'প্রশান্ত পন্ডিত' প্রভৃতি গল্পগুলি নিয়েও বাংলা সিনেমা হয়েছে। তাঁর লেখা কিশোর সাহিত্য হিসেবে উল্লেখযোগ্য 'শার্লক হেবো', 'অরিগ্যামি', 'ডিসনিল্যান্ড', 'নাক উঁচু', 'হাতি আর হাতি' ইত্যাদি৷ এছাড়া তাঁর লেখা অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে 'হে হংসবলাকা', 'আজি হতে শতবর্ষ পরে', 'অবাক পৃথিবী', 'আজি হতে শতবর্ষ পরে', ' অজন্তা অপরূপা', 'ভারতীয় ভাস্কর্যে মিথুন', ' রূপমঞ্জরী', 'দণ্ডকশবরী', 'অন্তর্লীনা', 'মনামী', 'সুতনুকা একটি দেবদাসীর নাম', ' সুতনুকা কোন দেবদাসীর নাম নয়', ' মান মানে কচু' প্রভৃতি৷ জীবনীমূলক লেখাও তিনি লিখেছেন যেমন,  'আমি নেতাজিকে দেখেছি', 'আমি রাসবিহারীকে দেখেছি', 'লিন্ডবার্গ' ইত্যাদি।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://sobbanglay.com/sob/narayan-sanyal/|শিরোনাম=নারায়ণ সান্যাল|তারিখ=2020-04-25|ওয়েবসাইট=সববাংলায়|ভাষা=bn-BD|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-28}}</ref>


== পুরস্কার ==
== পুরস্কার ==
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:
* [http://www.imdb.com/name/nm1238805/ IMDb profile]
* [http://www.imdb.com/name/nm1238805/ IMDb profile]
* [http://worldcat.org/search?q=au%3ANarayan+Sanyal&fq=dt%3Abks&qt=facet_dt%3A WorldCat Booklist]
* [http://worldcat.org/search?q=au%3ANarayan+Sanyal&fq=dt%3Abks&qt=facet_dt%3A WorldCat Booklist]
*[https://sobbanglay.com/sob/narayan-sanyal/ নারায়ণ সান্যাল ।। সববাংলায়]


{{নারায়ণ সান্যালের সাহিত্যকর্ম}}
{{নারায়ণ সান্যালের সাহিত্যকর্ম}}

১৫:৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নারায়ণ সান্যাল
জন্ম(১৯২৪-০৪-২৬)২৬ এপ্রিল ১৯২৪
কলকাতা, ভারত
মৃত্যু৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫(2005-02-07) (বয়স ৮০)
কলকাতা, ভারত
পেশাসাহিত্যিক, সরকারী বাস্তুকার
জাতীয়তাভারতীয়

নারায়ণ সান্যাল (২৬ এপ্রিল ১৯২৪ - ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখক। এছাড়াও তিনি একজন পুর প্রকৌশলী।[১] নিত্য নতুন বিষয়বস্তু নির্বাচন ছিল তার রচনাশৈলীর এক বৈশিষ্ট্য।

জীবনী

লেখকের আদি নিবাস নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর। কৃষ্ণনগরে জন্ম হলেও তিনি কলকাতায় শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। ম্যাট্রিক পাশ করেন আসানসোল ই আই আর বিদ্যালয় থেকে।[২] স্কুলের খাতায় নাম ছিল নারায়নদাস সান্যাল। ১৯৪৮ সালে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি.ই. সম্পন্ন করেন। তিনি ইন্সটিট্যুট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া)-এর ফেলো ছিলেন। ১৯৮২ সালে সরকারী চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছিলেন।

সাহিত্যকর্ম

নারায়ণ সান্যালের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব মূলত তাঁর সাহিত্যকীর্তি৷ তিনি নানান বিষয়ের উপর প্রচুর বই লিখেছেন। তাঁর লেখনীর বিষয়বস্তুগুলি সাহিত্য ও সমাজের বিভিন্ন প্রান্তকে ছুঁয়ে যায়। তাঁর লেখার বিষয়ের মধ্যে শিশুসাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও স্থাপত্য, ভ্রমণ, মনস্তত্ত্ব, প্রযুক্তি, শরণার্থী সমস্যা, ইতিহাস, জীবনী , প্রাণীদের বিশ্বকোষ, সামাজিক উপন্যাস এবং দেবদাসি সম্পর্কিত বেশ কিছু লেখা আমরা পাই৷ সমাজের গভীর অন্ধকার দিকগুলি তাঁর লেখায় অন্য মাত্রা পেয়েছে। তাঁর লেখা কল্পবিজ্ঞানের গল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 'নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা'।

তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাস হল 'বিশ্বাসঘাতক'-এ স্থান পেয়েছেন পৃথিবীর বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকরা। সত্য ঘটনা আশ্রয় করে কল্পনার মিশেল ঘটিয়ে লেখকের কলম ঝলসে উঠেছে৷

নারায়ণ সান্যাল রচিত আরেকটি অনবদ্য বই হল 'তিমি তিমিঙ্গল'। এই বইটিতে তিমিদের নিয়ে রয়েছে অসাধারণ গল্প, তাদের জন্ম, বড় হওয়া প্রেম বিবাহ এবং মানুষের মতন ভয়ঙ্কর জীবের জন্য তারা আজ লুপ্তপ্রায়৷

গোয়েন্দা কথাসাহিত্যের জগতে তাঁর লেখা 'কাঁটা' সিরিজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই সিরিজের  বেশিরভাগ গল্পই স্ট্যানলি গার্ডনার এবং আগাথা ক্রিস্টির বিভিন্ন বিদেশী উপন্যাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। নারায়ণ সান্যাল রচিত 'বিশুপালবধ উপসংহার' মূলত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত লেখা ব্যোমকেশ বক্সি সিরিজের শেষাংশ৷

এছাড়া তাঁর লেখা অন্যান্য সাহিত্যকর্ম গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য  হল,'সত্যকাম' যেটি নিয়ে পরবর্তী কালে হিন্দি সিনেমা হয়েছে৷ এছাড়াও তাঁর লেখা 'নাগচম্পা', 'অশ্লীলতার দায়ে', 'নীলিমায় নীল' 'প্রশান্ত পন্ডিত' প্রভৃতি গল্পগুলি নিয়েও বাংলা সিনেমা হয়েছে। তাঁর লেখা কিশোর সাহিত্য হিসেবে উল্লেখযোগ্য 'শার্লক হেবো', 'অরিগ্যামি', 'ডিসনিল্যান্ড', 'নাক উঁচু', 'হাতি আর হাতি' ইত্যাদি৷ এছাড়া তাঁর লেখা অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে 'হে হংসবলাকা', 'আজি হতে শতবর্ষ পরে', 'অবাক পৃথিবী', 'আজি হতে শতবর্ষ পরে', ' অজন্তা অপরূপা', 'ভারতীয় ভাস্কর্যে মিথুন', ' রূপমঞ্জরী', 'দণ্ডকশবরী', 'অন্তর্লীনা', 'মনামী', 'সুতনুকা একটি দেবদাসীর নাম', ' সুতনুকা কোন দেবদাসীর নাম নয়', ' মান মানে কচু' প্রভৃতি৷ জীবনীমূলক লেখাও তিনি লিখেছেন যেমন,  'আমি নেতাজিকে দেখেছি', 'আমি রাসবিহারীকে দেখেছি', 'লিন্ডবার্গ' ইত্যাদি।[৩]

পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. "Biography of Narayan Sanyal"Shibpur International। shibpurinternational.com। ১৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১১ 
  2. নারায়ন সান্যাল (২০০০)। বাছাই গল্প। কলকাতা: মন্ডল বুক হাউস। পৃষ্ঠা ৭৮। 
  3. "নারায়ণ সান্যাল"সববাংলায়। ২০২০-০৪-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৮ 

বহিঃসযোগ