রাইনার মারিয়া রিলকে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) তথ্যছক |
|||
৫ নং লাইন: | ৫ নং লাইন: | ||
| স্থানীয়_নাম = |
| স্থানীয়_নাম = |
||
| জন্ম_নাম = René Karl Wilhelm Johann Josef Maria Rilke |
| জন্ম_নাম = René Karl Wilhelm Johann Josef Maria Rilke |
||
| জন্ম_তারিখ = {{ |
| জন্ম_তারিখ = {{জন্ম তারিখ|1875|12|04|df=y}} |
||
| জন্ম_স্থান = [[প্রাগ]], [[বোহেমিয়া রাজ্য |
| জন্ম_স্থান = [[প্রাগ]], [[বোহেমিয়া রাজ্য|বোহেমিয়া]], [[অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি]] |
||
| মৃত্যু_তারিখ = {{ |
| মৃত্যু_তারিখ = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1926|12|29|1875|12|04|df=y}} |
||
| মৃত্যু_স্থান = [[মন্ট্রাক্স]], [[ভডের ক্যান্টন |
| মৃত্যু_স্থান = [[মন্ট্রাক্স]], [[ভডের ক্যান্টন|ভড]], সুইজারল্যান্ড |
||
| পেশা = কবি, ঔপন্যাসিক |
| পেশা = কবি, ঔপন্যাসিক |
||
| ভাষা = জার্মান, ফরাসি |
| ভাষা = জার্মান, ফরাসি |
||
২০ নং লাইন: | ২০ নং লাইন: | ||
| স্বাক্ষর = Rilke Signature.gif |
| স্বাক্ষর = Rilke Signature.gif |
||
}} |
}} |
||
'''রাইনের মারিয়া রিলকে''' ({{lang-de|René Karl Wilhelm Johann Josef Maria Rilke}}, ৪ঠা ডিসেম্বর ১৮৭৫ - ২৯শে ডিসেম্বর ১৯২৬) বিখ্যাত [[জার্মানি|জার্মান]] কবি ও ঔপন্যাসিক। রাইনের মারিয়া রিলকের পুরো নাম রেনে কার্ল উইলহেম জোহান জোসেফ মারিয়া রিলকে। |
'''রাইনের মারিয়া রিলকে''' ({{lang-de|René Karl Wilhelm Johann Josef Maria Rilke}}, ৪ঠা ডিসেম্বর ১৮৭৫ - ২৯শে ডিসেম্বর ১৯২৬) বিখ্যাত [[জার্মানি|জার্মান]] কবি ও ঔপন্যাসিক। রাইনের মারিয়া রিলকের পুরো নাম রেনে কার্ল উইলহেম জোহান জোসেফ মারিয়া রিলকে। তার লেখা কবিতা এবং গদ্য উভয়ই গীতিময়। একটা মিস্টিক বা রহস্যময় আঙ্গিক রিলকের লেখার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এলিয়টের মতোই তার বেশিরভাগ লেখাতে নিঃসঙ্গতা ও উদ্বিগ্নতা গ্রাস করেছে। সৃষ্টির মধ্যে অস্তিত্ত্বের এই টানাপোড়েনই তাকে যথার্থ আধুনিক কবি করে তুলেছে। |
||
== প্রারম্ভিক জীবন == |
== প্রারম্ভিক জীবন == |
||
রিলকে বর্তমান [[চেক প্রজাতন্ত্র|চেক প্রজাতন্ত্রে]]<nowiki/>র [[প্রাগ]] শহরে জন্মগ্রহণ করেন। |
রিলকে বর্তমান [[চেক প্রজাতন্ত্র|চেক প্রজাতন্ত্রে]]<nowiki/>র [[প্রাগ]] শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার ছোটোবেলাটা খুব সুখের ছিল না। বাবা জোসেফ রিলকে সেনাবাহিনীর চাকরি ছাড়ার পর রেলওয়ে অফিসার হন। মা সোফিয়ার সঙ্গেই রিলকের ছোটোবেলার বেশিরভাগ সময়টা কেটেছে। রিলকের জন্মের আগেই তার মায়ের প্রথম কন্যাসন্তান মারা যায়। সেই শোক ভুলতে না পেরেই তার মা তাকে মেয়েদের পোশাক পরিয়ে রাখতেন। বাবা মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের পরে তাকে জোর করে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হয়। ১৮৮৬ থেকে ১৮৯৫ পর্যন্ত সেখানে থাকার পর অসুস্থতার জন্য অ্যাকাডেমি ছেড়ে দেন। ১৮৯৫ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন। ১৮৯৬ পর্যন্ত তিনি সাহিত্য শিল্প ইতিহাস ও দর্শন নিয়ে প্রাগ ও [[মিউনিখ|মিউনিখে]] পড়াশোনা করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=Biography: Rainer Maria Rilke|শেষাংশ=1875–1926 on the Poetry Foundation|প্রথমাংশ=|তারিখ=|কর্ম=|সংগ্রহের-তারিখ=২৮ নভেম্বর ২০১৮}}</ref> |
||
== সাহিত্যকর্ম == |
== সাহিত্যকর্ম == |
||
রাইনের মারিয়া রিলকে |
রাইনের মারিয়া রিলকে তার 'দুইনো এলিজি'কাব্যের জন্য বিখ্যাত হলেও জার্মান ও ফরাসি ভাষায় তিনি বহু কবিতা ও গদ্য লিখে গেছেন। ''Das Stunden-Buch'' ("ঘণ্টার বই") (১৯০৫) হল তিনটি কবিতার সম্পূর্ণ সংকলন। বিশ শতকের গোড়ার দিকে রাশিয়ায় ভ্রমণকালে সেন্ট ফ্রান্সিস ও [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিশ্চান]] ধর্মের ঈশ্বরবিশ্বাস নিয়ে কবিতাগুলি লেখা। |
||
''Die Aufzeichnungen des Malte Laurids'' ("মাল্ট লরিডস ব্রিজের নোটবুক") (১৯১০) জার্মান ভাষায় লেখা রিলকের একমাত্র আত্মজৈবনিক ধাঁচের উপন্যাস। "যৌবনে লেখা বইগুলিতে রিলকে বারবার নিঃসঙ্গতার প্রসঙ্গে ফিরে আসছেন,'মাল্টে'তে তা গম্ভীর ও ভারি হয়ে ঝুলে আছে বাংলাদেশের শ্রাবণ মাসে মেঘাছন্ন, বৃষ্টিহীন আকাশের মতো। কিন্তু যে-নিঃসঙ্গতাশ মাল্টে ছিলো পীড়িত, রিলকে তাকে ঐশ্বর্যে রূপান্তরিত করেন।" |
''Die Aufzeichnungen des Malte Laurids'' ("মাল্ট লরিডস ব্রিজের নোটবুক") (১৯১০) জার্মান ভাষায় লেখা রিলকের একমাত্র আত্মজৈবনিক ধাঁচের উপন্যাস। "যৌবনে লেখা বইগুলিতে রিলকে বারবার নিঃসঙ্গতার প্রসঙ্গে ফিরে আসছেন,'মাল্টে'তে তা গম্ভীর ও ভারি হয়ে ঝুলে আছে বাংলাদেশের শ্রাবণ মাসে মেঘাছন্ন, বৃষ্টিহীন আকাশের মতো। কিন্তু যে-নিঃসঙ্গতাশ মাল্টে ছিলো পীড়িত, রিলকে তাকে ঐশ্বর্যে রূপান্তরিত করেন।" |
||
===দুইনো এলিজি=== |
===দুইনো এলিজি=== |
||
১৯১২ সাল থেকে কাউন্টেস মারি ভন থার্ন এর অতিথি হয়ে দুইনো ক্যাসল এ থাকতে শুরু করেন। ১৯১২ থেকে ১৯২২ এই সময়েই তিনি |
১৯১২ সাল থেকে কাউন্টেস মারি ভন থার্ন এর অতিথি হয়ে দুইনো ক্যাসল এ থাকতে শুরু করেন। ১৯১২ থেকে ১৯২২ এই সময়েই তিনি তার বিখ্যাত এলিজিগুলো লেখেন। মাঝে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে কয়েকবছর লেখা বন্ধ রাখেন। এলিজিগুলোর গীতিকাব্যময়তা ও মিস্টিসিজমের পাশাপাশি অস্তিত্ত্বের টানাপোড়েন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।রিলকে ইম্প্রেশনিস্ট কবি,তাই খ্রিশ্চান ধর্ম ও বিশ্বাস নিয়ে প্রতীকী দৃষ্টিভঙ্গি কবিতাগুলোর বিশেষত্ব। |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
৩৭ নং লাইন: | ৩৭ নং লাইন: | ||
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:রিলকে, রাইনার মারিয়া}} |
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:রিলকে, রাইনার মারিয়া}} |
||
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৭৫-এ জন্ম]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৭৫-এ জন্ম]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৬-এ মৃত্যু]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৬-এ মৃত্যু]] |
১৩:৫৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রাইনার মারিয়া রিলকে | |
---|---|
জন্ম | René Karl Wilhelm Johann Josef Maria Rilke ৪ ডিসেম্বর ১৮৭৫ প্রাগ, বোহেমিয়া, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি |
মৃত্যু | ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৬ মন্ট্রাক্স, ভড, সুইজারল্যান্ড | (বয়স ৫১)
পেশা | কবি, ঔপন্যাসিক |
ভাষা | জার্মান, ফরাসি |
জাতীয়তা | অস্ট্রীয় |
সময়কাল | ১৮৯৪-১৯২৫ |
সাহিত্য আন্দোলন | আধুনিকতা |
দাম্পত্যসঙ্গী | ক্লারা ওয়েস্টহফ |
সন্তান | ১ |
স্বাক্ষর |
রাইনের মারিয়া রিলকে (জার্মান: René Karl Wilhelm Johann Josef Maria Rilke, ৪ঠা ডিসেম্বর ১৮৭৫ - ২৯শে ডিসেম্বর ১৯২৬) বিখ্যাত জার্মান কবি ও ঔপন্যাসিক। রাইনের মারিয়া রিলকের পুরো নাম রেনে কার্ল উইলহেম জোহান জোসেফ মারিয়া রিলকে। তার লেখা কবিতা এবং গদ্য উভয়ই গীতিময়। একটা মিস্টিক বা রহস্যময় আঙ্গিক রিলকের লেখার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এলিয়টের মতোই তার বেশিরভাগ লেখাতে নিঃসঙ্গতা ও উদ্বিগ্নতা গ্রাস করেছে। সৃষ্টির মধ্যে অস্তিত্ত্বের এই টানাপোড়েনই তাকে যথার্থ আধুনিক কবি করে তুলেছে।
প্রারম্ভিক জীবন
রিলকে বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার ছোটোবেলাটা খুব সুখের ছিল না। বাবা জোসেফ রিলকে সেনাবাহিনীর চাকরি ছাড়ার পর রেলওয়ে অফিসার হন। মা সোফিয়ার সঙ্গেই রিলকের ছোটোবেলার বেশিরভাগ সময়টা কেটেছে। রিলকের জন্মের আগেই তার মায়ের প্রথম কন্যাসন্তান মারা যায়। সেই শোক ভুলতে না পেরেই তার মা তাকে মেয়েদের পোশাক পরিয়ে রাখতেন। বাবা মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের পরে তাকে জোর করে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হয়। ১৮৮৬ থেকে ১৮৯৫ পর্যন্ত সেখানে থাকার পর অসুস্থতার জন্য অ্যাকাডেমি ছেড়ে দেন। ১৮৯৫ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন। ১৮৯৬ পর্যন্ত তিনি সাহিত্য শিল্প ইতিহাস ও দর্শন নিয়ে প্রাগ ও মিউনিখে পড়াশোনা করেন।[১]
সাহিত্যকর্ম
রাইনের মারিয়া রিলকে তার 'দুইনো এলিজি'কাব্যের জন্য বিখ্যাত হলেও জার্মান ও ফরাসি ভাষায় তিনি বহু কবিতা ও গদ্য লিখে গেছেন। Das Stunden-Buch ("ঘণ্টার বই") (১৯০৫) হল তিনটি কবিতার সম্পূর্ণ সংকলন। বিশ শতকের গোড়ার দিকে রাশিয়ায় ভ্রমণকালে সেন্ট ফ্রান্সিস ও খ্রিশ্চান ধর্মের ঈশ্বরবিশ্বাস নিয়ে কবিতাগুলি লেখা।
Die Aufzeichnungen des Malte Laurids ("মাল্ট লরিডস ব্রিজের নোটবুক") (১৯১০) জার্মান ভাষায় লেখা রিলকের একমাত্র আত্মজৈবনিক ধাঁচের উপন্যাস। "যৌবনে লেখা বইগুলিতে রিলকে বারবার নিঃসঙ্গতার প্রসঙ্গে ফিরে আসছেন,'মাল্টে'তে তা গম্ভীর ও ভারি হয়ে ঝুলে আছে বাংলাদেশের শ্রাবণ মাসে মেঘাছন্ন, বৃষ্টিহীন আকাশের মতো। কিন্তু যে-নিঃসঙ্গতাশ মাল্টে ছিলো পীড়িত, রিলকে তাকে ঐশ্বর্যে রূপান্তরিত করেন।"
দুইনো এলিজি
১৯১২ সাল থেকে কাউন্টেস মারি ভন থার্ন এর অতিথি হয়ে দুইনো ক্যাসল এ থাকতে শুরু করেন। ১৯১২ থেকে ১৯২২ এই সময়েই তিনি তার বিখ্যাত এলিজিগুলো লেখেন। মাঝে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে কয়েকবছর লেখা বন্ধ রাখেন। এলিজিগুলোর গীতিকাব্যময়তা ও মিস্টিসিজমের পাশাপাশি অস্তিত্ত্বের টানাপোড়েন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।রিলকে ইম্প্রেশনিস্ট কবি,তাই খ্রিশ্চান ধর্ম ও বিশ্বাস নিয়ে প্রতীকী দৃষ্টিভঙ্গি কবিতাগুলোর বিশেষত্ব।
তথ্যসূত্র
- ↑ 1875–1926 on the Poetry Foundation। Biography: Rainer Maria Rilke।