রাজবাড়ী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎১। ঝালাইপট্টি: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Arising angle (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩১ নং লাইন: ৩১ নং লাইন:
| coordinates_footnotes =
| coordinates_footnotes =
| coordinates_region =
| coordinates_region =
| subdivision_type = Country
| subdivision_type = দেশ
| subdivision_name =বাংলাদেশ
| subdivision_name =বাংলাদেশ
| subdivision_type1 =বিভাগ
| subdivision_type1 =বিভাগ
১০০ নং লাইন: ১০০ নং লাইন:
| footnotes =
| footnotes =
}}
}}
'''রাজবাড়ী''' শহর বাংলাদেশের [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] অন্তর্গত একটি জেলা শহর। [[পদ্মা নদী|পদ্মানদীর]] তীরে অবস্থিত এই শহর ঢাকা বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা শহর। [[রাজবাড়ী জেলা|রাজবাড়ী]] শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৬০,০০০। এই শহরটি [[রেলগাড়ি|রেলে]]র শহর  নামেও পরিচিত। এখানে দেশের সেরা [[মিষ্টি|মিষ্টিজাত]] দ্রব্য উৎপন্ন হয়।বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ক্ষুদ্রতম জেলাশহর হলো রাজবাড়ী। রাজবাড়ী একটি রেলকেন্দ্রিক শহর। ১৯২৩ সাল থেকে রাজবাড়ী পৌরসভার কার‍্যক্রম শুরু হয়। আর ১৯৮৪ সালে রাজবাড়ী জেলাশহরের মর‍্যাদালাভ করে। বর্তমানে এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। শহরের আয়তন প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৬০০০০ জন।
'''রাজবাড়ী''' শহর বাংলাদেশের [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] অন্তর্গত একটি জেলা শহর। [[পদ্মা নদী|পদ্মানদীর]] তীরে অবস্থিত এই শহর ঢাকা বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা শহর। [[রাজবাড়ী জেলা|রাজবাড়ী]] শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৬০,০০০। এই শহরটি [[রেলগাড়ি|রেলে]]র শহর  নামেও পরিচিত। এখানে দেশের সেরা [[মিষ্টি|মিষ্টিজাত]] দ্রব্য উৎপন্ন হয়।বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ক্ষুদ্রতম জেলাশহর হলো রাজবাড়ী। রাজবাড়ী একটি রেলকেন্দ্রিক শহর। ১৯২৩ সাল থেকে রাজবাড়ী পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। আর ১৯৮৪ সালে রাজবাড়ী জেলাশহরের মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। শহরের আয়তন প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৬০০০০ জন।
রেলপথ রাজবাড়ী শহরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর রাজবাড়ী আর দক্ষিণ রাজবাড়ী। শহরের এই দুটি প্রধান ভাগকে সংযোগ করেছে রেলগেট। এটি খুব ব্যস্ত স্থান। উত্তর রাজবাড়ীর অংশবিশেষকেই ঐতিহ্যগতভাবে সেন্ট্রাল রাজবাড়ী বলা যেতে পারে। বিশেষত স্টেশন রোড, কলেজ রোড, মারোয়াড়ী পট্টি, বড়বাজার ইত্যাদি হলো সেন্ট্রাল রাজবাড়ীর অংশ। অন্যদিকে দক্ষিণ রাজবাড়ী একটু নতুনভাবে গড়ে উঠেছে। রেলগেট থেকে বড়পুল পর‍্যন্ত দ্বিমুখী রাজপথের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শহরের নামকরা হাইস্কুলগুলো এই অংশে অবস্থিত। তাছাড়া ফার্স্ট ফুড শপ, ইলেক্ট্রনিক শোরুম, হসপিটাল, ক্লিনিক ও প্রশাসনিক দপ্তরসমূহ এ অংশে অবস্থিত। ছোট্ট এ শহরটির মানুষজন সহজ সরল এবং বন্ধুত্বসুলভ। কয়েকটি নাগরিক সমস্যা ব্যতীত রাজবাড়ী একটি শান্তির শহর। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.rajbari.gov.bd/site/page/37640534-2013-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF|শিরোনাম=|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
রেলপথ রাজবাড়ী শহরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর রাজবাড়ী আর দক্ষিণ রাজবাড়ী। শহরের এই দুটি প্রধান ভাগকে সংযোগ করেছে রেলগেট। এটি খুব ব্যস্ত স্থান। উত্তর রাজবাড়ীর অংশবিশেষকেই ঐতিহ্যগতভাবে সেন্ট্রাল রাজবাড়ী বলা যেতে পারে। বিশেষত স্টেশন রোড, কলেজ রোড, মারোয়াড়ী পট্টি, বড়বাজার ইত্যাদি হলো সেন্ট্রাল রাজবাড়ীর অংশ। অন্যদিকে দক্ষিণ রাজবাড়ী একটু নতুনভাবে গড়ে উঠেছে। রেলগেট থেকে বড়পুল পর‍্যন্ত দ্বিমুখী রাজপথের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শহরের নামকরা হাইস্কুলগুলো এই অংশে অবস্থিত। তাছাড়া ফার্স্ট ফুড শপ, ইলেক্ট্রনিক শোরুম, হসপিটাল, ক্লিনিক ও প্রশাসনিক দপ্তরসমূহ এ অংশে অবস্থিত। ছোট্ট এ শহরটির মানুষজন সহজ সরল এবং বন্ধুত্বসুলভ। কয়েকটি নাগরিক সমস্যা ব্যতীত রাজবাড়ী একটি শান্তির শহর। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.rajbari.gov.bd/site/page/37640534-2013-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF|শিরোনাম=|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>



১৯:১৭, ২০ মে ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রাজবাড়ী
শহর
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
অঞ্চলফরিদপুর অঞ্চল
জেলারাজবাড়ী জেলা
আয়তন
 • ১২.১৫ বর্গকিমি (৪.৬৯ বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলUTC +6:00
এলাকা কোড7700
ওয়েবসাইটwww.rajbari.gov.bd

রাজবাড়ী শহর বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা শহর। পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত এই শহর ঢাকা বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা শহর। রাজবাড়ী শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৬০,০০০। এই শহরটি রেলের শহর  নামেও পরিচিত। এখানে দেশের সেরা মিষ্টিজাত দ্রব্য উৎপন্ন হয়।বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ক্ষুদ্রতম জেলাশহর হলো রাজবাড়ী। রাজবাড়ী একটি রেলকেন্দ্রিক শহর। ১৯২৩ সাল থেকে রাজবাড়ী পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। আর ১৯৮৪ সালে রাজবাড়ী জেলাশহরের মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। শহরের আয়তন প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৬০০০০ জন। রেলপথ রাজবাড়ী শহরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর রাজবাড়ী আর দক্ষিণ রাজবাড়ী। শহরের এই দুটি প্রধান ভাগকে সংযোগ করেছে রেলগেট। এটি খুব ব্যস্ত স্থান। উত্তর রাজবাড়ীর অংশবিশেষকেই ঐতিহ্যগতভাবে সেন্ট্রাল রাজবাড়ী বলা যেতে পারে। বিশেষত স্টেশন রোড, কলেজ রোড, মারোয়াড়ী পট্টি, বড়বাজার ইত্যাদি হলো সেন্ট্রাল রাজবাড়ীর অংশ। অন্যদিকে দক্ষিণ রাজবাড়ী একটু নতুনভাবে গড়ে উঠেছে। রেলগেট থেকে বড়পুল পর‍্যন্ত দ্বিমুখী রাজপথের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শহরের নামকরা হাইস্কুলগুলো এই অংশে অবস্থিত। তাছাড়া ফার্স্ট ফুড শপ, ইলেক্ট্রনিক শোরুম, হসপিটাল, ক্লিনিক ও প্রশাসনিক দপ্তরসমূহ এ অংশে অবস্থিত। ছোট্ট এ শহরটির মানুষজন সহজ সরল এবং বন্ধুত্বসুলভ। কয়েকটি নাগরিক সমস্যা ব্যতীত রাজবাড়ী একটি শান্তির শহর। [১]

নামকরণের ইতিহাস

রাজবাড়ী যে কোন রাজার বাড়ীর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে কখন থেকে ও কোন রাজার নামানুসারে রাজবাড়ী নামটি এসেছে তার সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলার রেল ভ্রমণ পুস্তকের (এল.এন. মিশ্র প্রকাশিত ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ক্যালকাটা ১৯৩৫) একশ নয় পৃষ্ঠায় রাজবাড়ী সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খান ঢাকায় সুবাদার নিযুক্ত হয়ে আসেন। এ সময় এ অঞ্চলে পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমনের জন্যে তিনি সংগ্রাম শাহকে নাওয়ারা প্রধান করে পাঠান। তিনি বানিবহতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন এবং লালগোলা নামক স্থানে দুর্গ নির্মাণ করেন। এ লালগোলা দুর্গই রাজবাড়ী শহরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বর্তমানে লালগোলা গ্রাম নামে পরিচিত। সংগ্রাম শাহ্ ও তাঁর পরিবার পরবর্তীকালে বানিবহের নাওয়ারা চৌধুরী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

এল.এন. মিশ্র উক্ত পুস্তকে উল্লেখ করেন যে, রাজা সংগ্রাম শাহের রাজদরবার বা রাজকাচারী ও প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী অফিস বর্তমান রাজবাড়ী এলাকাকে কাগজে কলমে রাজবাড়ী লিখতেন (লোকমুখে প্রচলিত)। ঐ পুস্তকের শেষের পাতায় রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে রাজবাড়ী নামটি লিখিত পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশনটি ১৮৯০ সালে স্থাপিত হয়। ঐতিহাসিক আনন্দনাথ রায় ফরিদপুরের ইতিহাস পুস্তকে বানিবহের বর্ণনায় লিখেছেন - নাওয়ারা চৌধুরীগণ পাঁচথুপি থেকে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে বানিবহে এসে বসবাস শুরু করেন। বানিবহ তখন ছিল জনাকীর্ণ স্থান। বিদ্যাবাগিশ পাড়া, আচার্য পাড়া, ভট্টাচার্য পাড়া, শেনহাটিপাড়া, বসুপাড়া, বেনেপাড়া, নুনেপাড়া নিয়ে ছিল বানিবহ এলাকা। নাওয়ারা চৌধুরীগণের বাড়ি স্বদেশীগণের নিকট রাজবাড়ী নামে অভিহিত ছিল। মতান্তরে রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ হয়। রাজা সূর্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মচারী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এসে আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তাঁরই পুত্র রাজা সুর্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ করা হয় ১৮৯০ সালে। বিভিন্ন তথ্য হতে জানা যায় যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে করার দাবি তোলা হলে বানিবহের জমিদারগণ প্রবল আপত্তি তোলেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে যে স্থানটিতে রাজবাড়ী রেল স্টেশন অবস্থিত উক্ত জমির মালিকানা ছিল বানিবহের জমিদারগণের। তাঁদের প্রতিবাদের কারণেই স্টেশনের নাম রাজবাড়ীই থেকে যায়। এ সকল বিশ্লেষণ থেকে ধারণা করা হয় যে, রাজবাড়ী নামটি বহু পূর্ব থেকেই প্রচলিত ছিল। এলাকার নাওয়ারা প্রধান, জমিদার, প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিগণ রাজা বলে অভিহিত হতেন। তবে রাজা সূর্য কুমার ও তাঁর পূর্ব পুরুষগণের লক্ষীকোলের বাড়ীটি লোকমুখে রাজার বাড়ি বলে সমধিক পরিচিত ছিল। এভাবেই আজকের রাজবাড়ী।

পৌর প্রশাসন

শিক্ষা

চিত্তাকর্ষ‌ক স্থান

১। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন

রাজবাড়ী রেলওয়ে ওভার ব্রিজ

২। গোদার বাজার (পদ্মানদী)

৩। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় লাল ভবন

৪। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ

৫। মেইন স্ট্রিট

প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী

৬। রাজবাড়ী শিশু পার্ক

৭। রাজবাড়ী অ্যাক্রোবেটিক সেন্টার

৮। কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়াম

বাজার

ঘোষপট্টি, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী শহরের বাজার (বড়বাজার) শহরের উত্তর অংশে গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে একই ধরণের দোকানগুলো গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে গড়ে উঠেছে।

১। ঝালাইপট্টি

ঝালাইপট্টি অঞ্চলে প্রধানত শহরের বেশিরভাগ স্বর্ণ, লৌহ প্রভৃতির দোকানপাট অবস্থিত।

২। ঘোষপট্টি

ঘোষপট্টি এলাকা গড়ে এখানে ওঠে মূলত ঘোষেদের মিষ্টি ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাণিজ্যের কারণে। এখানকার শংকর সাহার মিষ্টি গোটা অঞ্চলে বিখ্যাত।[২]

৩। পালপট্টি

৪। চামড়াপট্টি

৫। পানবাজার

৬। চালবাজার

৭। শীলপট্টি

৮। খলিফাপট্টি

খলিফাপট্টি যা কিনা 'সমরদা লেন' নামেও পরিচিত; রাজবাড়ী স্টেশন রোডের একটি গলি। এখানে আগে শহরের বেশিরভাগ টেইলার্স‌ অবস্থিত ছিল। এখানে অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য সংস্থা হলো 'আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়া'। এই সংস্থার নিয়ন্ত্রণে প্রতিবছর রাজবাড়ী রেল স্টেশন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ওরশ যাত্রীবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়। [৩]

মুক্তিযুদ্ধে রাজবাড়ী

১৮ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক রাজবাড়ী মুক্ত দিবস। রাজবাড়ীতে পাকিস্তানিদের দোসর অবাঙালি বিহারিরা ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠে। তারা তখনও বুঝতে পারেনি পতন অনিবার্য। তারা সমস্ত শহর দখলে রাখে। ৯ ডিসেম্বর শহরের লক্ষীকোল এলাকায় বিহারিদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়। বিহারিদের গুলিতে রফিক, শফিক ও সাদিক শহীদ হন। বিহারিরা ১৩ ডিসেম্বর শহরের বিনোদপুর বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রহরীকে হত্যা করে। ১৬ ডিসেম্বর প্রায় সারা দেশে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও রাজবাড়ী শহর তখনো অবাঙালি বিহারিদের আয়ত্তে থাকে। তারা ঘোষনা দেয় সারাদেশ বাংলাদেশ হলেও রাজবাড়ী পাকিস্তান হয়ে থাকবে। এ সময় জেলার সকল অঞ্চল থেকে মুক্তি বাহিনীর বিভিন্ন দল রাজবাড়ীতে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে সংগঠিত হতে থাকে। ইতোমধ্যে শহিদুন্নবী আলম, ইলিয়াস মিয়া, সিরাজ আহম্মেদ, আবুল হাসেম বাকাউল, কামরুল হাসান লালী, রফিকুল ইসলাম তাদের কমান্ডে মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিকে ঘিরে রাখে। এদের সাথে জেলার পাংশা থেকে জিল্লুল হাকিম, আব্দুল মতিন, নাসিরুল হক সাবু, আব্দুল মালেক, সাচ্চু, আব্দুর রব তাদের দল নিয়ে যুদ্ধে যোগদান করেন। বিহারিরা শহরের রেল লাইনের উত্তর পাশে অবস্থান নেয়। তারা রেলওয়ে লোকোসেড থেকে ড্রাই আইস ফ্যক্টরী পর্যন্ত রেলের মালগাড়ী দিয়ে ব্যূহ তৈরী করে। মুক্তিবাহিনী শহরের দক্ষিণ দিক থেকে গুলি চালাতে থাকে। তবে মালগাড়ী থাকার কারণে কোন ফল হয় না। সে সময় গোলাম মোস্তফা ও আনিসুর রহমান আবি মাগুরার শ্রীপুর থেকে মর্টার আনে। ওই মর্টার দিয়ে গুলি ছুড়লে বিহারীরা পিছু হটে। পরাজয় অনিবার্য মনে করে বিহারীরা আত্মসমর্পণ করার উদ্দেশ্যে ফরিদপুর অভিমুখে যেতে থাকে। তবে তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কয়েক হাজার বিহারী নিহত হয়। ওই যুদ্ধে দিয়ানত আলী শহীদ হন এবং ইলিয়াস হোসেন হন গুরুতর আহত। যে কারনে ১৮ই ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় রাজবাড়ী।

  1. http://www.rajbari.gov.bd/site/page/37640534-2013-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  2.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  3. "রাজবাড়ী থেকে ভারতের মেদিনীপুরে যাচ্ছে বিশেষ ট্রেন"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২৮