হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
202.134.14.139 (আলাপ)-এর করা আস্থা রাখা সম্পাদনা বাতিল: ভুল তথ্য । (টুইং) |
|||
২৭ নং লাইন: | ২৭ নং লাইন: | ||
হেমচন্দ্রের প্রথম কাব্য ''চিন্তাতরঙ্গিনী'' (১৮৬১)। ''বৃত্রসংহার'' মহাকাব্য এবং কবির শ্রেষ্ঠ রচনা। এছাড়াও আছে- |
হেমচন্দ্রের প্রথম কাব্য ''চিন্তাতরঙ্গিনী'' (১৮৬১)। ''বৃত্রসংহার'' মহাকাব্য এবং কবির শ্রেষ্ঠ রচনা। এছাড়াও আছে- |
||
{{div col|2}} |
{{div col|2}} |
||
*''প্রথম কাব্য চিন্তাতরঙ্গিনী'' (১৮৬১) |
|||
*''বীরবাহু'' (১৮৬৪), |
*''বীরবাহু'' (১৮৬৪), |
||
*''আশাকানন'' (১৮৭৬), |
*''আশাকানন'' (১৮৭৬), |
||
৩৪ নং লাইন: | ৩৩ নং লাইন: | ||
*''বিবিধ কবিতা'' (১৩০০) ও |
*''বিবিধ কবিতা'' (১৩০০) ও |
||
*''বৃত্রসংহার'' (১৮৭৫) |
*''বৃত্রসংহার'' (১৮৭৫) |
||
*'' দশ মহাবিদ্যা'' |
*'' দশ মহাবিদ্যা''<ref>[[রফিকুল ইসলাম (অধ্যাপক)|রফিকুল ইসলাম]], মোহাম্মদ আবু জাফর ও [[আবুল কাসেম ফজলুল হক]] সম্পাদিত; ''কবিতা সংগ্রহ''; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জুলাই ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৫১-৪৫২।</ref> |
||
</div> |
|||
==খণ্ড কবিতা== |
|||
{{div col|2}} |
|||
*'' জীবন সঙ্গীত '' |
|||
*'' ভারত সঙ্গীত '' |
|||
*'' ভারত বিলাপ '' |
|||
*'' গঙ্গার উৎপত্তি '' |
|||
*'' পদ্মের মৃণাল '' |
|||
*'' ভারত কাহিনী '' |
|||
*'' অশোকতরু '' |
|||
*'' কুলিন কন্যাগণের আক্ষেপ '' |
|||
</div> |
</div> |
||
১৬:০২, ৯ জুন ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ১৭ এপ্রিল, ১৮৩৮ গুলিটা, রাজবল্লভহাট গ্রাম, হুগলী |
মৃত্যু | ২৪ মে, ১৯০৩ খিদিরপুর, কলকাতা |
পেশা | কবি |
পরিচিতির কারণ | বাঙালি কবি |
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭ এপ্রিল, ১৮৩৮ - ২৪ মে, ১৯০৩) হিন্দু কলেজের ছাত্র এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। মধুসূদনের পরবর্তী কাব্য রচয়িতাদের মধ্যে ইনি সে সময় সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন। বাংলা মহাকাব্যের ধারায় হেমচন্দ্রের বিশেষ দান হচ্ছে স্বদেশ প্রেমের উত্তেজনা সঞ্চার।
জন্ম ও শৈশব
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলীর উত্তরপাড়া গ্রামে। কুলীনের ঘরে জন্ম। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে সর্বজ্যৈষ্ঠ। পিতা কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অতিশয় দরিদ্র। কৌলীন্যের বলে কৈলাসচন্দ্র গুলিটা, রাজবল্লভহাট গ্রাম নিবাসী কলকাতা আদালতের মোক্তার রাজচন্দ্র চক্রবর্তীর একমাত্র সন্তান আনন্দময়ীকে বিবাহ করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কৈলাসচন্দ্র বিশেষ কোনও কাজকর্ম করতেন না বিধায় শ্বশুরের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন। হেমচন্দ্র কলকাতার খিদিরপুর বাঙ্গালা স্কুলে পাঠকালে রাজচন্দ্র চক্রবর্তী মৃত্যুমুখে পতিত হলে আর্থিক সংকটে পড়ে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় হেমচন্দ্রকে ১৮৫৩ সালে কলকাতার হিন্দু কলেজে সিনিয়র স্কুল বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন। জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাসিক দশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন ১৮৫৫ সালে। একই বছর কলকাতার ভবানীপুর নিবাসী কালীনাথ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা কামিনী দেবীর সংগে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৫৭ সালে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে দুই বছরের জন্য মাসিক পচিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণিতে পাঠকালে বৃত্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে লেখাপড়া ত্যাগ করেন।[১]
কর্মজীবন
১৮৫৯ সালে হেমচন্দ্র মিলিটারি অডিট অফিসে কেরানী পদে চাকরি গ্রহণ করেন । পরে ক্যালকাটা ট্রেনিং একাডেমীর প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৮৬১ সালে এল. এল. ডিগ্রি লাভ করার পর কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন এবং ১৮৬২ সালে মুন্সেফ পদ পান। কয়েক মাস পরে তিনি পুনরায় হাইকোর্টে ওকালতিতে ফিরে এসে ১৮৬৬ সালে বি.এল. পাস করেন। এপ্রিল ১৮৯০ সালে সরকারি উকিল নিযুক্ত হন।[২]
কবিতা চর্চা
হেমচন্দ্রের প্রধান পরিচয় তিনি একজন দেশপ্রেমিক যশস্বী কবি। তাঁর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রচনা বৃত্রসংহার কাব্য (১৮৭৫-৭৭ দুই খণ্ড) এই কাব্যগ্রন্থে তিনি পৌরাণিক কাহিনীর সাহায্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছিলেন। জুলাই ১৮৭২-এ এডুকেশন গেজেট পত্রিকায় তাঁর 'ভারত সঙ্গীত' কবিতাটি প্রকাশিত হলে তিনি সরকারের রোষানলে পড়েন এবং সম্পাদক ভূদেব মুখোপাধ্যায়কেও সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।[৩]এই কবিতায় স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষভাবে ভারতবাসীকে অধীনতার পাশ থেকে মুক্ত হবার আহ্বান জানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনিই প্রথম জাতীয় কবি যিনি সমগ্র স্বাধীন ভারতের এক সংহতিপূর্ণ চিত্র দেখেছিলেন।[২] হেমচন্দ্রের প্রথম কাব্য চিন্তাতরঙ্গিনী (১৮৬১)। বৃত্রসংহার মহাকাব্য এবং কবির শ্রেষ্ঠ রচনা। এছাড়াও আছে-
- বীরবাহু (১৮৬৪),
- আশাকানন (১৮৭৬),
- সাঙ্গরূপক কাব্য,
- ছায়াময়ী (১৮৮০),
- বিবিধ কবিতা (১৩০০) ও
- বৃত্রসংহার (১৮৭৫)
- দশ মহাবিদ্যা[৪]
মৃত্যু
কলকাতার খিদিরপুরে ২৪ মে, ১৯০৩ মারা যান।
তথ্যসূত্র
- ↑ সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৪৪২-৪৪৩।
- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৮৭৩-৮৭৪, ISBN 978-81-7955-135-6
- ↑ https://shikkhasova.wordpress.com/2016/01/07/বাংলার-মহাকবি-হেমচন্দ্র/
- ↑ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু জাফর ও আবুল কাসেম ফজলুল হক সম্পাদিত; কবিতা সংগ্রহ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জুলাই ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৫১-৪৫২।