অ্যান্থনি মাসকারেনহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ... |
সম্প্রসারণ! |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''অ্যান্থনি মাসকারেনহাস''' ([[ |
'''নেভিলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস''' ({{lang-en|Neville Anthony Mascarenhas}}; [[জন্ম]]: [[১০ জুলাই]], [[১৯২৮]] - [[মৃত্যু]]: [[৬ই ডিসেম্বর]], [[১৯৮৬]]) দক্ষিণ এশিয়ার বিশিষ্ট [[সাংবাদিক]] ও [[লেখক]]। তিনি [[ভারত|ভারতের]] গোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পড়াশোনা করেন [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] করাচিতে। [[১৯৭১]] সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] চলাকালীন সময় তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত [[গণহত্যা]] ও অন্যান্য ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লিখেন যা বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করে।<ref>{{cite book|last=Veenhoven|first=Willem Adriaan|last2=Samenlevingen|first2=Stichting Plurale|title=Case Studies on Human Rights and Fundamental Freedoms: A World Survey|publisher=BRILL|year=1976|volume=Vol. 5|page=239|isbn=90-247-1779-5}}</ref> এ নিয়ে তিনি বইও লিখেছেন। তিনি ব্রিটেনের [[দ্য সানডে টাইমস]] পত্রিকায় ১৪ বছর কাজ করার পর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেন। |
||
== ব্যক্তি জীবন == |
|||
== জীবনী == |
|||
⚫ | জন্মসূত্রে মাসকারেনহাস ভারতীয় গোয়ানিজ খ্রিস্টান। তবে বসবাস করেছেন পাকিস্তানের করাচিতে। ইয়ন মাসকারেনহাস নাম্নী এক রমণীকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে পাঁচ সন্তান রয়েছে। ১৯৮৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] লন্ডনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।<ref>''অ্যান্থনি মাসকারেণহাস প্রণীত দ্যা রেইপ অফ বাংলাদেশ'' - অনুবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী; পপুলার পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। এই বইয়ের ব্যাক কাভার থেকে জীবনীটা সংগ্রহ করা হয়েছে।</ref> |
||
⚫ | |||
== কর্মজীবন == |
|||
⚫ | |||
⚫ | ১৯৪৭ সালে করাচিতে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল [[রয়টার্স]]। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সংবাদ সংস্থা, এপিপি, নিউইয়র্ক টাইমস এবং [[টাইম (সাময়িকী)|টাইম]]/লাইফ সাপ্তাহিকের সংবাদদাতা ছিলেন। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মে মাস পর্যন্ত ''দ্য মর্নিং নিউজ''-এ কর্মরত ছিলেন; প্রথমে চিফ রিপোর্টার এবং পরে সহ-সম্পাদক হিসেবে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বাংলাদেশের রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকায়]] যান এবং গণহত্যার তথ্যাদি সংগ্রহ করেন। ঢাকা থেকে লন্ডনে পালিয়ে গিয়ে এসব তথ্যাদি ১৩ জুন, ১৯৭১ তারিখে সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশ করেন।<ref name="BBC">[http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-16207201 "Bangladesh war: The article that changed history", Mark Dummett]</ref> তাঁর প্রকাশিত এইসব তথ্য বিশ্ববিবেককে নাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া তিনি উপমহাদেশের বিভিন্ন ঘটনা অন্তরঙ্গভাবে প্রত্যক্ষ করে সেগুলো নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে লিখে গেছেন। |
||
== রচনাবলী == |
== রচনাবলী == |
||
* ''[[বাংলাদেশ: আ লিগ্যাসি অফ ব্লাড]]'' |
* ''[[বাংলাদেশ: আ লিগ্যাসি অফ ব্লাড]]'' (১৯৭২) |
||
* ''[[দ্য রেইপ অফ বাংলাদেশ]]'' |
* ''[[দ্য রেইপ অফ বাংলাদেশ]]'' (১৯৮৬) |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
||
<references/> |
<references/> |
||
⚫ | |||
⚫ | |||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তিবর্গ]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তিবর্গ]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৮-এ জন্ম]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৮-এ জন্ম]] |
||
⚫ | |||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সাংবাদিক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সাংবাদিক]] |
||
⚫ |
১৭:০৭, ২০ মার্চ ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
নেভিলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস (ইংরেজি: Neville Anthony Mascarenhas; জন্ম: ১০ জুলাই, ১৯২৮ - মৃত্যু: ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৮৬) দক্ষিণ এশিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক। তিনি ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পড়াশোনা করেন পাকিস্তানের করাচিতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লিখেন যা বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করে।[১] এ নিয়ে তিনি বইও লিখেছেন। তিনি ব্রিটেনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায় ১৪ বছর কাজ করার পর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেন।
ব্যক্তি জীবন
জন্মসূত্রে মাসকারেনহাস ভারতীয় গোয়ানিজ খ্রিস্টান। তবে বসবাস করেছেন পাকিস্তানের করাচিতে। ইয়ন মাসকারেনহাস নাম্নী এক রমণীকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে পাঁচ সন্তান রয়েছে। ১৯৮৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের লন্ডনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।[২]
কর্মজীবন
১৯৪৭ সালে করাচিতে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল রয়টার্স। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সংবাদ সংস্থা, এপিপি, নিউইয়র্ক টাইমস এবং টাইম/লাইফ সাপ্তাহিকের সংবাদদাতা ছিলেন। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মে মাস পর্যন্ত দ্য মর্নিং নিউজ-এ কর্মরত ছিলেন; প্রথমে চিফ রিপোর্টার এবং পরে সহ-সম্পাদক হিসেবে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যান এবং গণহত্যার তথ্যাদি সংগ্রহ করেন। ঢাকা থেকে লন্ডনে পালিয়ে গিয়ে এসব তথ্যাদি ১৩ জুন, ১৯৭১ তারিখে সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশ করেন।[৩] তাঁর প্রকাশিত এইসব তথ্য বিশ্ববিবেককে নাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া তিনি উপমহাদেশের বিভিন্ন ঘটনা অন্তরঙ্গভাবে প্রত্যক্ষ করে সেগুলো নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে লিখে গেছেন।
রচনাবলী
- বাংলাদেশ: আ লিগ্যাসি অফ ব্লাড (১৯৭২)
- দ্য রেইপ অফ বাংলাদেশ (১৯৮৬)
তথ্যসূত্র
- ↑ Veenhoven, Willem Adriaan; Samenlevingen, Stichting Plurale (১৯৭৬)। Case Studies on Human Rights and Fundamental Freedoms: A World Survey। Vol. 5। BRILL। পৃষ্ঠা 239। আইএসবিএন 90-247-1779-5।
- ↑ অ্যান্থনি মাসকারেণহাস প্রণীত দ্যা রেইপ অফ বাংলাদেশ - অনুবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী; পপুলার পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। এই বইয়ের ব্যাক কাভার থেকে জীবনীটা সংগ্রহ করা হয়েছে।
- ↑ "Bangladesh war: The article that changed history", Mark Dummett