বিষয়বস্তুতে চলুন

ইতিহাসের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কিছু বানান ভূল সংশোধন করা হয়েছে, সংশোধন
Rakibh99 (আলোচনা | অবদান)
নতুন কোনো পরিবর্তন নেই, শুধু গোলাম আহমাদ মর্তুজার লেখা আরো কিছু উল্লেখযোগ্য বইয়ের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে, পাশাপাশি কেনো পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর বই নিষিদ্ধ করেছে তার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
{{বাঁকা শিরোনাম}}
{{বাঁকা শিরোনাম}}
'''''ইতিহাসের ইতিহাস''''' [[গোলাম আহমাদ মোর্তজা|গোলাম আহমাদ মোর্তজার]] একটি [[ইতিহাস]] ভিত্তিক গ্রন্থ। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন। ভারতের গতানুগতিক ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকগুলোতে যে মুসলিমবিদ্বেষী ব্রিটিশ তথ্যগুলো রয়েছে, সেই তথ্যগুলোর বিরোধীতা করেন এবং সেগুলো মিথ্যা দাবী করে তিনি প্রমাণসহকারে খণ্ডনের চেষ্টা করেন। পাশাপাশি [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]], [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[মহাত্মা গান্ধী]], [[রাজা রামমোহন রায়]], [[দেবেন্দনাথ ঠাকুর]] ও আরও অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তি সম্বন্ধে এই বইয়ে তিনি সমালোচনা করেন এবং তাদের চাপা পড়া ইতিহাস সামনে তুলে এনে প্রমাণসহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। ''ইতিহাসের ইতিহাস'' বইটি ১৯৮১ সালে [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার]] সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করে।
'''''ইতিহাসের ইতিহাস''''' [[গোলাম আহমাদ মোর্তজা|গোলাম আহমাদ মোর্তজার]] একটি [[ইতিহাস]] ভিত্তিক গ্রন্থ। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন। ভারতের গতানুগতিক ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকগুলোতে যে মুসলিমবিদ্বেষী ব্রিটিশ তথ্যগুলো রয়েছে, সেই তথ্যগুলোর বিরোধীতা করেন এবং সেগুলো মিথ্যা দাবী করে তিনি প্রমাণসহকারে খণ্ডনের চেষ্টা করেন। পাশাপাশি [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]], [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[মহাত্মা গান্ধী]], [[রাজা রামমোহন রায়]], [[দেবেন্দনাথ ঠাকুর]] ও আরও অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তি সম্বন্ধে এই বইয়ে তিনি সমালোচনা করেন এবং তাদের চাপা পড়া ইতিহাস সামনে তুলে এনে প্রমাণসহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। ''ইতিহাসের ইতিহাস'' বইটি ১৯৮১ সালে [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার]] সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করে।

এই বইয়ের সমর্থনে গোলাম আহমাদ মর্তুজা আরো একটি বই লিখেছেন, যার নাম "চেপে রাখা ইতিহাস"। সেই বইয়েও তিনি অত্যন্ত যুক্তি ও প্রমাণ সহকারে বিভিন্ন ব্যাক্তি যেমন কাজী নজরুল ইসলাম এবং অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিষয়েও প্রমাণ সহকারে তথ্যভিত্তিক আলোচনা করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বইটি সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ করার মূল কারণ ছিল, বইটিতে যাদের কথা লিখা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং তাদের প্রায় সবাইই অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ছিলেন, ফলে ভারতীয় জনগণের নিকট তারা ঈশ্বরতূল্য ছিলেন কারণ বৃটিশ শাসনের সময় কালে তারা অধিক পরিমাণ মিডিয়া কভারেজ পেয়েছেন।

ভারতীয় জনগণের মাঝে সাম্প্রদায়িক মানসিকতার সৃষ্টি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ আরো কিছু প্রখ্যাত সাহিত্যিকের হাত ধরেই। ফলে তাদের সঠিক ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জনগণের নিকট পীড়াদায়ক হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল।

ইতিহাসের নিরেট সত্য তুলে ধরে গোলাম আহমাদ মর্তুজা আরো বেশ কয়েকটি বই রচনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই সমূহ হচ্ছে-

১. [https://rokomari.com/এ এক অন্য ইতিহাস এ এক অন্য ইতিহাস]

২. সিরাজুদ্দৌলার সত্য ইতিহাস ও রবীন্দ্রনাথ

৩. রক্তাক্ত ডায়েরী

৪. ধর্মের সহিংস ইতিহাস

৫. পুস্তক সম্রাট ইত্যাদি।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

০৮:৫৪, ২৮ জুন ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইতিহাসের ইতিহাস গোলাম আহমাদ মোর্তজার একটি ইতিহাস ভিত্তিক গ্রন্থ। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন। ভারতের গতানুগতিক ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকগুলোতে যে মুসলিমবিদ্বেষী ব্রিটিশ তথ্যগুলো রয়েছে, সেই তথ্যগুলোর বিরোধীতা করেন এবং সেগুলো মিথ্যা দাবী করে তিনি প্রমাণসহকারে খণ্ডনের চেষ্টা করেন। পাশাপাশি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, রাজা রামমোহন রায়, দেবেন্দনাথ ঠাকুর ও আরও অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তি সম্বন্ধে এই বইয়ে তিনি সমালোচনা করেন এবং তাদের চাপা পড়া ইতিহাস সামনে তুলে এনে প্রমাণসহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। ইতিহাসের ইতিহাস বইটি ১৯৮১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করে।

এই বইয়ের সমর্থনে গোলাম আহমাদ মর্তুজা আরো একটি বই লিখেছেন, যার নাম "চেপে রাখা ইতিহাস"। সেই বইয়েও তিনি অত্যন্ত যুক্তি ও প্রমাণ সহকারে বিভিন্ন ব্যাক্তি যেমন কাজী নজরুল ইসলাম এবং অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিষয়েও প্রমাণ সহকারে তথ্যভিত্তিক আলোচনা করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বইটি সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ করার মূল কারণ ছিল, বইটিতে যাদের কথা লিখা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং তাদের প্রায় সবাইই অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ছিলেন, ফলে ভারতীয় জনগণের নিকট তারা ঈশ্বরতূল্য ছিলেন কারণ বৃটিশ শাসনের সময় কালে তারা অধিক পরিমাণ মিডিয়া কভারেজ পেয়েছেন।

ভারতীয় জনগণের মাঝে সাম্প্রদায়িক মানসিকতার সৃষ্টি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ আরো কিছু প্রখ্যাত সাহিত্যিকের হাত ধরেই। ফলে তাদের সঠিক ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জনগণের নিকট পীড়াদায়ক হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল।

ইতিহাসের নিরেট সত্য তুলে ধরে গোলাম আহমাদ মর্তুজা আরো বেশ কয়েকটি বই রচনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই সমূহ হচ্ছে-

১. এ এক অন্য ইতিহাস

২. সিরাজুদ্দৌলার সত্য ইতিহাস ও রবীন্দ্রনাথ

৩. রক্তাক্ত ডায়েরী

৪. ধর্মের সহিংস ইতিহাস

৫. পুস্তক সম্রাট ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র