দোয়াব (পাঞ্জাব): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বিষয়শ্রেণী:ভারতের অঞ্চলসমূহ সরিয়ে মূল বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী:ভারতের অঞ্চল স্থাপন |
|||
১৯০ নং লাইন: | ১৯০ নং লাইন: | ||
{{সূত্র তালিকা}} |
{{সূত্র তালিকা}} |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের |
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের অঞ্চল]] |
১৬:৩৩, ১২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ভারতের, পাঞ্জাবের বিপাশা ও শতদ্রু নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলটি দোয়াব (গুরুমুখী: ਦੋਆਬਾ)। এটি বিস্ট দোয়াব বা জলুন্দর দোয়াব নামেও পরিচিত। এটি পাঁচ পাঞ্জাব দোয়াবের একটি। এই অঞ্চলের অধিবাসীরা দোয়াবীয়া নামে পরিচিত। এই অঞ্চলের পাঞ্জাবী ভাষাকে দোয়াবি বলা হয়। "দোয়াবি". শব্দটি "দোয়াবা" বা "দোয়াব" থেকে প্রাপ্ত, ফার্সি "دو آب" (না āb দুই "জল"), যার অর্থ, "দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থলভাগ".[১]
দোয়াবের সমস্ত জনসংখ্যার মধ্যে ৩৫ % এর বেশি তফসিলি জাতি, একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশ দোয়াবির অভিবাসনের ফল হিসেবে, এই এলাকাটিকে পাঞ্জাবের অনাবাসী ভারতীয় হাব বলা হয় .[২]
দোয়াবের জেলাসমূহ
দোয়াব নিম্নলিখিত জেলা নিয়ে গঠিত :[৩]
- হোসিয়ারপুর
- কাপুরথালা
- জলন্ধর
- শহীদ ভগৎ সিং নগর (পূর্বে নওয়াশহর)
উপ-বিভাগ
ঐতিহ্যগতভাবে, দোয়াব, মঞ্জকি,দোনা,ঢাক,সির্বাল,কান্ডি এবং বেট অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। মঞ্জকি,দোনা,ঢাকেের সীমানা খুব পরিষ্কার ভাবে বিভক্ত নয় । উদাহরণ সরূপ মঞ্জকি ও ঢাকের মধ্যে বিভাজন রেখা হল গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড। যদিও এই রাস্তার পূর্ববর্ত্তী অঞ্চলে( বরা পিণ্ডের আশেপাশে) মঞ্জকির জমি আছে। স্থানীয়েরা নিজেদের সুবিধার জন্য এই এলাকাটিকে ঢাক বলে উল্লেখ করে থাকেন।
স্থানীয় লোকের অনুসারে প্রত্যেকটি অঞ্চলের এক একটি নিজস্ব ঐতিহ্য গড়ে উঠেছিল। এই ঘটনাটি স্থানীয়দের ছোট ছোট অঞ্চলের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেছিল। এই কারণগুলো অবশ্য এখন বিবেচিত হয় না।
মঞ্জকি
নাকোদার তহশীলের একটি বৃহৎ অংশ,গড়ায়া উপ-তহশীলের পশ্চিম ভাগ, নুরমহল উপ তহশিল এবং ফিলাউর উপ-তহশীলের পশ্চিম ভাগ নিয়ে মাঞ্জকি সংগঠিত। [৪] জান্দিয়ালা এবং বুন্দালার গ্রামগুলি মঞ্জকিতে অবস্থিত। ফাগুরার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল মঞ্জকির মধ্যে পড়েi[৫] যাইহোক, এটা স্পষ্ট নয়, ফাগুয়ারা তহসীল এলাকায় কোন কোন অঞ্চল পড়ে। তবে, ডেঞ্জিল লেবেস্টনের উদ্ধৃতি অনুযায়ী দক্ষিণ ফাগুয়ারার বারা পিণ্ড ও ১২টি গ্রাম মান্জ রাজপুতেদের হাতে ছিল।
এলাকাটির নাম মঞ্জকি, মঞ্জ উপজাতির থেকে এসেছে কিনা, যারা একসময়ে নাকোদার আশেপাশের এলাকার অধিকারী ছিলেন, বা নামটি জমির অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত, এটা স্পষ্ট নয়।[৪] যাইহোক,দক্ষিণ পশ্চিম জলন্ধর জেলার অনেকখানি অংশ যেগুলি তালোয়ানা ,নাকোদার এবং নাকোদার শহরের পশ্চিমে অঞ্চলে পড়ে সেগুলি মঞ্জ রাজপুতেদের হাতে আছে। [৪]
প্রতিষ্ঠিত শহর জলন্ধর নিকটে হওয়ার দরুন এবং শতদ্রু র আশেপাশের উর্বর মাটি সম্পন্ন ও অপেক্ষাকৃত সামঞ্জস্যপূর্ণ সমতল অঞ্চল থাকার জন্য, মঞ্জকি ছিল পাঞ্জাবেের অন্যতম উন্নত এলাকা।১৯৪৭ সালের পরে, এই অঞ্চল থেকে বিপুল মাত্রায় মানুষ দেশত্যাগ করে, উত্তরাঞ্চলীয় দেশগুলি, যেমন ইউ কে, কানাডা এবং মার্কিন দেশে পাড়ি দেন। এর ফলে ভারতীয় পাঞ্জাবে অনাবাসী ভারতীয়র সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর ফলস্বরূপ এই অঞ্চলে অনাবাসী ভারতীয়র বিনিয়োগ ও তুলনামূলক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটেছে।
১৯৪৭ সালের আগে দোয়াব অঞ্চলে বিশেষ করে জলন্ধর জেলায় আরাইনের একটি মুসলমান উপজাতি বসতি স্থাপন করেছিল। [৬] এই আরাইনেরা উমাইয়া আরব সেনাবাহিনী, যারা সিন্ধু দিয়ে মুহাম্মদ বিন কাসিম এর সঙ্গে ভারতীয় উপ - মহাদেশে এসেছিলেন তাঁদের বংশধর। যেহেতু তাঁরা লোধির সেনাবাহিনীতে ছিলেন এবং পরে মুঘল সেনাবাহিনীতে ছিলেন, বাহলোল লোধির রাজত্বের সময় থেকেই তাঁরা দোয়াব অঞ্চলেে বসতি স্থাপন করেন।[৭][৮]। ১৭৪৮ সালে আরিয়ান উপজাতির জেনারেল আদিনা বেগ খান বেশ কয়েক মাসের জন্য দোয়াব অঞ্চল শাসন করেন। [৯] জলন্ধরের অন্যতম সুপরিচিত আরিয়ান, পাকিস্তানের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক ।[১০] স্যার ফাজ-আমি-হোসেন,[১১] কে.সি.এস.আই (১৮৭৭-১৯৩৬) একজন আরাইন রাজনীতিবিদ যিনি পাঞ্জাবেের জলন্ধরেে জন্মগ্রহণ করেন। হোসেন পুরাতন পাঞ্জাব ইউনিওনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন , এবং মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর স্বাধীন পাকিস্তান দৃষ্টিভঙ্গীর বিরোধী ছিলেন। আরাইনরা প্রধানত ফাগুওয়ারা,নাকোদার,কোটলা,নিহাং,দৌলতপুর ও নুরপুরে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তারা কৃষি পার্বত্য অঞ্চলের ভূস্বামী ছিলেন । [১২] দেশ বিভাগের পর প্রায় সব আরাইন জনতা, জলন্ধর থেকে পাকিস্তানেের ফয়সালাবাদ (পূর্বে লয়ালপুর), বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোর জেলায় চলে যান[১৩]
বর্তমানে,এই অঞ্চলের প্রধান ধর্ম শিখ। দেশ ভাগের আগে অঞ্চলটিতে উল্লেখযোগ্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, যার জন্য মুসলিম লীগ প্রত্যাশী ছিল যে জলন্ধর পাকিস্তানেের অন্তর্ভুক্ত হবে।[১৪] সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা দেশ বিভাগের পর এই এলাকায ছেড়ে পাকিস্তানেের ফয়সালাবাদ (পূর্বে লায়ালপুর) জেলায় চলে যান ,[১৫] যদিও, একটি ছোট সংখ্যালঘু অংশ, লেখাপড়ার জন্য শহুরে কেন্দ্র লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিকে বেছে নেন। প্রচুর শিখ লায়ালপুর জেলার থেকে দোয়াব অঞ্চলেে, বিশেষ করে মাঞ্জকিতে চলে আসেন।[১৬]
ঢাক
ফিলাউর তহশিলের পূর্ব অংশ এবং নওয়ানশাহর জেলা, ঢাক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত রয়েছে .[৪] ঢাক এলাকা ও মাঞ্জকি এলাকা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড দিয়ে বিভক্ত। ফাগুওয়ারা তহশিলের মাঝখানের অংশ হল ঢাক[৫] অতীতে এই এলাকায় ঢাক গাছের প্রাচুর্য ছিল, সেই হিসেবে এই অঞ্চল ঢাক নামে পরিচিত ছিল। ঢাক গাছ পলাশ নামেও পরিচিত। ফাগুওয়ারা তহশিলের অনেক গ্রামেের নামে ঢাকের উল্লেখ আছে যেমন ঢাক পলাশ, ঢাক দাদোলী,ঢাক চাচোকি।
যদিও ঢাক অঞ্চলটি ফাগুওয়ারা তহশিলেে রয়েছে । ঢাক এলাকার মাটির ধরন প্রথাগতভাবে এঁটেল মাটি বা দোআঁশ মাটির মাঝামাঝি, সেইজন্য এখানকার প্রধান ফসল আবর্ত হল ভুট্টা-গম, ধান-গম, আখ-গম ও পশুখাদ্য-গম, তুলা-গম.[১৭] যাইহোক, বর্তমানেে মাটির অবস্থা অনুযায়ী পাঞ্জাবের, ফসল আবর্ত বদলে গিয়েছে।
দোনা
দোনা শব্দের অর্থ বালির ভাগ বেশি এরকম বালি মাটি ও এঁটেল মাটির মিশ্রণ । বিপাশা নদীর দক্ষিণাংশ দোনায় পড়ে । এই অঞ্চলটি কাপুরথালা জেলার খানিকটা অংশ নিয়ে গঠিত।.[৫]
দোনার মাটির ধরনের দরুন, প্রথাগতভাবে প্রধান ফসল আবর্ত হল চীনেবাদাম-গম, চীনাবাদাম- ভুট্টা-গম, তুলা, গম ও পশুখাদ্য-গম.[১৭] তবে অন্যত্র, ফসল আবর্ত বর্ত্তমান মাটির অবস্থা অনুযায়ী নির্দ্ধারিত হয়।
বেট
দোয়াবের বিপাশা ও কালি বেইনের মধ্যবর্ত্তী জমিটি হল বেট।[৫] যে কোন নদীর ধারের অঞ্চলকে বেট বলে এবং পাঞ্জাবের সমস্ত নদী সংলগ্ন অঞ্চলকে বেট অঞ্চল বলা হয়।
বেটের মাটি,কাদা দোআঁশ মাটি অথবা দোআঁশ অথবা, কাদামাটি, সেইজন্য প্রথাগতভাবে প্রধান ফসল, আবর্ত অনুসৃত হয়েছে: ধান-গম, ভুট্টা-গম পশুখাদ্য-গম এবং তোরিয়া-গম.[১৭]
সিরোয়াল
ফাগওয়ারা তহশিলের উত্তর পূর্ব অংশে সিরোয়াল অঞ্চল অবস্থিত। জলন্ধর জেলার ভোগপুর এবং আদমপুর ব্লকও সিরয়ালের অন্তর্ভুক্ত। ভোগপুর আগে ভোগপুর সিরোওাল নামে পরিচিত ছিল।হোশিয়ারপুর জেলার ১ ও ২ নং ব্লক সিরওয়ালের অন্তর্ভুক্ত এবং সিংরিওয়ালার গ্রামগুলি ও পার্শ্ববর্ত্তী অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। মাহিলপুরের উপ-তহশিলও সিরওয়ালের মধ্যে পড়ে।
''সিরান'' নামটি থেকে সিরোয়াল শব্দটি থেকে এসেছে। এটি একটি পাঞ্জাবি শব্দ, যার মানে জলের স্তর উঁচু এবং চাপ বেশি থাকার জন্য, মাটি থেকে খুব জোরে নির্গত জলের ধারা। অতীতে সিরোয়ালের জন্য একথা খুব সত্য,কিন্তু বর্তমানে অত্যধিক নলকূপের অত্যধিক ব্যবহারেে জলস্তর নিচে চলে গেছে।
সিরোয়ালে বেটের বৈশিষ্ট্য আছে। হোসিয়ারপুর জেলা থেকে নেমে আসাা অসংখ্য পাহাড়ীী ঝর্না এখানকার মাটিকে সারা বছর আর্দ্র করে রাখে। এই ধরনের কিছু ঝর্না পলি বোঝাই করে আনে এবং প্রথম বয়ে আসাা মাটি উর্বর হলেও, পরবর্তী মাটিগুলিতে বালির পরিমাণ বেশি হতে থাকে। এই নিষ্কাশন চ্যানেলেগুলি থাকার কারণে, শক্ত কাদার তাল ও স্তর পাওয়া যায়।[৫] যে অঞ্চলগুলি দিয়ে মৌসুমী ধারা বয়ে যায় সেই অঞ্চলগুলি সিরোয়াল হিসাবে চিহ্নিত। এই ধরনের ধারাগুলিকে পাঞ্জাবি ভাষায় চোয়ে বলা হয়। এর মধ্যে নাস্রালা চোয়ে ও আছে, যেটি সাদা (ছিট্টি) বেইন নদীতে মেশে।
কান্দি
পাহাড়ের নীচের অঞ্চলগুলিকে কান্দি বলা হয়, হোসিয়ারপুরেের পূর্ব অংশ এবং নোয়ানশর জেলার, বালাচৌর তহশীল জুড়ে কান্দি অঞ্চল বিস্তৃত।
স্থান
সুলতানপুর লোধি
সুলতানপুর লোধি শহরে, গুরু নানক দেব তার বোন (বেবে নানকজি) এবং তার পরিবারেের সঙ্গে থাকতেন। এই বের সাহেব গুরুদ্বারেে গুরু নানক দেব বোধি প্রাপ্ত করেন।
ফাগুয়ারা
ফাগুয়ারা শাহ জাহান দ্বারা নির্মিত একটি বাজার ভিত্তিক শহর। সময়ের সাথে সাথে, ফাগুয়ারায় কিছু মানুষ চাষবাস শুরু করেন এবং এটি একটি গ্রামীণ চেহারা নেয়। ফাগুয়ারা সারকি, মূল গ্রামীণ ফাগুয়ারার আওতায় পড়ে , কিন্তু বর্তমানে শুধু সুখচাইনাইনা গুরুদ্বার (সুখচাইন নগর) অঞ্চলে কিছু লোক চাষআবাদ অব্যাহত রেখেছেন। এখন ফাগুয়ারা একটি শিল্প ভিত্তিক শহর এবং পোশাক কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয়। এখানে লাভলি পেশাগত বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
জলন্ধর শহর
জলন্ধর, পূর্বে জালান্দার হিসাবে পরিচিত ছিল। এটি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর জেলার একটি শহর।এর শহুরে জনসংখ্যা প্রায় দশ লাখ, এবং আরও দশ লাখ বাস করে শহরের বাইরে, গ্রামাঞ্চলে।
জলন্ধর শহর, ১২টি বস্তি ও ১২টি মহল্লা নিয়ে জলন্ধর শহর গঠিত হয়। জলন্ধরে ১২টি প্রবেশদ্বার ছিল, সময়ের সাথে সাথে বস্তি,মহল্লা ও দ্বারগুলির পরিচয় ও অবস্থান নিরূপণ করা কঠিন।
, তবে স্থানীয় মানুষেের অনুযায়ী , পরিচিত বস্তিগুলি হল:
- বস্তি দনিশমন্দন,যেটি মূলত ইব্রাহিমপুর, ১৬০৬ সালে কানিকুরামের আনসারি শেখ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
- বস্তি শেখ দরবেশ যেটি বস্তি শেখ হিসাবে জনপ্রিয়, আসলে সূরাজাবাদ, ১৬১৪ সালে শেখ দরবেশ এবং কানিকুরামের আনসারি শেখ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
- বস্তি গুজন,শাহজাহানের রাজত্বকালে, গুজ সম্প্রদায়ের, বাড়াকি পাঠানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা প্রথম জলন্ধরে,পরে বস্তি শেখে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁরা লোধি আফগান, সৈয়দ এবং শেখেদের থেকে জায়গা কিনে, নিজস্ব বাজার নির্মাণ করেন।
- বস্তি বায়া খেল, মূলত বাবাপুর বলে পরিচিত, ১৬২০-২১ সালে, বাবা খেল গোষ্ঠীর, বরাকী পাঠানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
- বস্তি পিরাদ,বস্তি বাবা খেলের একটি প্রশাখা।
- বস্তি শাহ কুলি এবং বস্তি শাহ ইব্রাহিম, শাহজাহানের রাজত্বকালের, বরাকী জনবসতি।
- বস্তি মিঠু সাহেব। এটি বস্তি শেখ দরবেশেের একটু পরে প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন পেশোয়ারের আশপাশ থেকে আসা খলিল ম্যাটজাই পাঠান।
- বাস্তি নাউ,বস্তি শাহ কুলির সংলগ্ন, ১৭৫৯ সালে শিখ বিজয়েের পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
পরিচিত কট/ মহল্লাগুলি হল:
- কট কিষাণ চাঁদ
- কট লাখপাত রাই শুরুর দিকে কট দৌলত খান হিসাবে পরিচিত ,
- কট সাদাত খান
- কট আচ্ছি
- কট চিম্বিয়ান
- কট পখসিয়ান
- কট বাহাদুর খান
- কট মোহাম্মদ আমিন, এখন শিবরাজ গড় হিসাবে পরিচিত।
- কট সাদিক
- কট বাদল খান
- কট ফজল করিম
- কট আসমান খান
মূল দ্বারগুলি হল: বাল্মীকি গেট, নিলা মহল গেট, জওরা গেট, খিংরান গেট, সাইদান গেট, ফাগুয়ারা গেট শীতলা গেট, খোদিয়ান গেট, দেয়ালভি গেট, শাহ কুলি গেট, লাহোর গেট।
সময়ের সাথে সাথে, জলন্ধর শহর নির্মাণের জন্য অনেক বস্তি এবং মহল্লা উন্নত করা হয়েছে।। ১৯৪৭ সালের পরে, ভার্গভ শিবির, মডেল টাউন, মডেল হাউস, সেন্ট্রাল টাউন, প্রীত নগর, পুরানো জহর নগর, সুভাষ নগর, লাজপত রাই নগর, শক্তি নগর, নতুন জহর নগর ও আদর্শ নগর এবং বিভিন্ন অন্যান্য ছোট আবাসিক কলোনি নির্মিত হয়। চাহার বাগ এবং পাক্কা বাগ ১৯৪৭ সালের আগের থেকেই ছিল, কিন্তু ১৯৪৭ এর পর ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে।
ইদানীং কাছাকাছি গ্রামগুলিকে, নতুন এস্টেটে উন্নত করা হয়েছে।
জলন্ধর জেলা
ফিল্লাউর ফোর্ট, তালহান সাহেব গুরুদ্বার এবং দেবী তালাব মন্দির জলন্ধর জেলায় অবস্থিত। ওয়ান্ডারল্যান্ড থিম পার্কটি, জলন্ধর থেকে লাম্ব্রার কাছে নাকোদার রোডের মাঝে রয়েছে।
নাকোদার
নাকোদার একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ শহর, এবং নিম্নলিখিত স্থানগুলি এখানে আছে:
ধর্মীয় স্থান
- বাবা মল জি মলরি
- নয়া নানাাক্ষর তখৎ, বালান্দা
- জগদম্বে ধাম (দেবী তালাব মন্দির)
- শ্রী সুদর্শন মন্দির
- মালরি সাহেব গুরুদ্বার
- নানাাক্ষর সাহেব গুরুদ্বার
- মাতা জাম্বা জৈন মন্দির
- মাতা চক্রশ্বরী দেবী জৈন মন্দির
- আদিনাথ জৈন মন্দির
- নানাাক্ষর সাহেব, (বাল্লান ওয়ালা)
- প্রাচীন শিবালয় মন্দির ২৯১৩ কাটরা মিশ্রাণ, নাকোদার
- জগন্নাথ মন্দির (বাবা চারেন দাস)
জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান
- মোহাম্মদ মোমিন এর সমাধি
- হাজি জামাল এর সমাধি
- গুজ্ঞা জহর বীর মন্দির
- বাবা সাহস চাঁদ বোপরাই কালান
কার্তারপুর
কার্তারপুর, দোয়াবে থাকাকালীন পঞ্চম শিখ গুরু অর্জন দেব জির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম দিকের একটি গুরু গ্রন্থ সাহিব জি কার্তারপুরে রাখা আছে। এখানে কাঠের তৈরি জিনিসের কারখানা আছে।
নুরমহল
কাহালুর কোট(মহল্লা) নামক একটি প্রাচীন শহরের উপর নুরমহল তৈরী হয়েছিল। ইটেের নমুনা এবং ওই শহরের, মাটির নীচে পাওয়া অনেক ধাতু মুদ্রা দ্বারা প্রমাণিত হয় কাহালুর একটি প্রাচীন শহর ছিল। প্রাচীন শহরটি প্রায় ১৩০০ বছর আগে অজ্ঞাত কারণে পরিত্যক্ত বা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, বলে ধারণা করা হয়।
নুরমহল, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরেের(১৬০৫-১৬২৭) স্ত্রী নূর জাহানের, নামে নামকরণ হয়, যিনি এখানে বড় হয়েছিলেন, এবং মনে করা হয় যে এখানে তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন। শহরে তারপর আগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার আগে,তালবান রাজপুত ও রানঘরের শাসনাধীন ছিল।
নুরমহলেের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র নূর জাহান নির্মিত মুঘল সরাই দ্বারা . এই ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগেের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সরাইয়ের পুরো গঠন ১৪০ কক্ষ বিশিষ্ট চতুষ্কোন আকারে, কাঠামোটির চারদিকে বিস্তৃত।
ফিল্লাউর
ফিল্লাউর, ফুল নামক একজন সংগ্রেহা জাট, যিনি আগেে এই স্থানটির নাম ফুলনগর রেখেছিলেন, তাঁর নামে নামকরণ হয়েছিল। তবে রাই শাহর দ্বারা প্রেরিত, নাড়ু রাজপুত, যখন শাহর ছেলে রতন পাল, মাউ ছেড়ে ফিল্লাউরে থাকতে শুরু করেন, তখন এই শহরে দখল নেন। পুরানো সরাইখানাটি মহারাজা রঞ্জিত সিং দুর্গে রূপান্তরিত করেন এবং বর্তমানে এটি পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমি (পিটিএ) হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
১৮৭০ সাল নাগাদ জনপ্রিয় হিন্দীী গান জয় জগদীশ হরে ফিল্লাউর নিবাসী, স্থানীয় পণ্ডিত শারধা রাম ফিল্লাউরীর দ্বারা রচিত হয়। রচনার সঠিক তারিখ জানা যায় না। সম্ভবত হিন্দির প্রথম উপন্যাসও শারধা রাম ফিল্লাউরীর লিখিত উপন্যাস। তাঁর স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ আছে।
হোসিয়ারপুর
হোসিয়ারপুর মৌসুমী ছোট নদীর দেশ বলা হয়, এইরকম প্রায় ৩৯টি নদী, বর্ষায় বন্যার কারণ। এই এলাকাটি কাঠের এবং হাতির দাঁতের হস্তশিল্পর জন্য প্রসিদ্ধ। হাতির দাঁত এখন কৃত্রিম বিকল্প দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। হিমালয়ের পাদদেশে, শিবালিক পাহাড়ে এটি অবস্থিত। হোসিয়ারপুর হিমাচলের ও হিমালয়ের দরজা নামে পরিচিত। হোসিয়ারপুরেের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর সবথেকে অল্প দূরত্ব। তাখনি রেমাপুর অভয়ারণ্য, হোসিয়ারপুর জেলায় অবস্থিত। ধোলবাহা ঘরগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।
দসুয়া
ভিরাট রাজার নগর হিসাবে, প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য, মহাভারতে, উল্লেখ করা হয়। এর স্বীকৃতিস্বরূপ দসুয়া এখনও বিরাট কি নগরী হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[১৮]
কাপুরথালা
কাপুরথালা (পাঞ্জাবি: ਕਪੂਰਥਲਾ) ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর। এটা কাপুরথালা জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। এটি ছিল কাপুরথালা রাজ্যের রাজধানী,যেটি ছিল ব্রিটিশ ভারতের একটি স্বাধীন করদ রাজ্য। ফরাসি ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্য বিশিষ্ট ভবনেের সঙ্গে শহরের ধর্মনিরপেক্ষ এবং নান্দনিক মিশ্রণ, একটি জাঁকজমকপূর্ণ অতীত স্ব-বর্ণনা করে। এটি প্রাসাদ ও উদ্যানের শহর হিসাবে পরিচিত এবং এখানে জগজিৎ প্রাসাদ আছে।
শহীদ ভগৎ সিং নগর জেলা
শহীদ ভগৎ সিং নগর জেলা ৭ই নভেম্বর,১৯৯৫ সালে পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুর এবং জলন্ধর জেলা থেকে বানান হয়েছিল । এটি পাঞ্জাব রাজ্যের ষোড়শ জেলা। নওয়াশহর জেলা, শহীদ ভগৎ সিং নগর জেলার নামে পরিবির্তিত হয়। নওয়াশহর শহীদ ভগৎ সিং নগর জেলার একটি পৌর পরিষদ। নওয়াশহর শহরটি একজন আফগান আফগান সেনাবাহিনী প্রধান নসের খানেের দ্বারা নির্মিত বলা হয়, দ্বারা নির্মিত হয়েছে, পূর্বে এটির নাম ছিল নৌসর কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, এটি ''নওয়াশহর'' বলে পরিচিত হয়। নওয়ানশাহরেে সাইনি ও জাটের বিভিন্ন গোষ্ঠীর এবং মুসলিম ঘোরেওহা রাজপুত যারা সমন্ধসূত্রে আকবরের আত্মীয় ছিলেন, তাঁদের আধিক্য ছিল।
শহীদ ভগৎ সিং নগর জেলায় , বাঙ্গা শহরের কাছে, খাটকার কালান গ্রামটি, শহীদ ভগৎ সিংয়ের পৈতৃক গ্রাম, যেখানে তাঁদের পৈতৃক বাড়ী ও একটি সংগ্রহশালা আছে।
সঙ্গীত এবং নৃত্য
শাস্ত্রীয়
হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি ঘরানার নাম শ্যাম চৌরাসিয়া ঘরানা, যেটি দ্বৈত কণ্ঠসঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দুই ভাই, সালামত আলী খান ও নাজাকত আলী খানের দ্বৈত কণ্ঠসঙ্গীত।এই ঘরানাটি শ্যাম চৌরাসিয়া বা শ্যামচুরাসি নামক গ্রামের, যেটি পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুর জেলায় অবস্থিত।
নাচ
দোয়াব জুড়ে জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী নারী লোক নৃত্য হল গিদ্ধা নৃত্য। যদিও পুরুষদের কোন লোক নৃত্য নেই, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর, ভাংড়া এই অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়। পুরুষদের দ্বারা ঐতিহ্যগত লোকজ গান গাওয়া শৈলীকে বলা হয় "দোহায়" যেটির অস্তিত্ব ও শৈলী নিয়ে অধ্যয়নের প্রয়োজন। বলিয়ানের মত দোহায় দোহাবে, ক্ষেতে কাজ করার সময়, পুরুষদের গাইবার গান।
মেলা ও উৎসব
মেলা
কাপুরথালার, শালিমার বাগে বার্ষিক বসন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক দশেরা মেলা লাখপুরে অনুষ্ঠিত হয়। পাঞ্ছাট এবং তালহানেে বার্ষিক বৈশাখী মেলা হয়।
উৎসব
দোয়াবিরা লোরি, বসন্ত ঘুড়ি উৎসব (পাঞ্জাব), মাঘী, বৈশাখী, হোলি, হল্লা মহল্লা, দ্বীপাবলী, রাখি বন্ধন, দশেরা এবং তীয়ান উৎসব উদযাপন করেন।
আরও দেখুন
- পাঞ্জাব Doabs
- Majha
- Malwa
- Poadh
তথ্যসূত্র
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ Gurharpal Singh; Darsham Singh Tatla (২০০৬)। Sikhs in Britain: The Making of a Community। London: Zed Books Ltd। আইএসবিএন 978 1 84277 717 6।
- ↑ Grover, Parminder Singh; Grewal, Davinderjit Singh (২০১১)। Discover Punjab: Attractions of Punjab। self-published। পৃষ্ঠা 179।
- ↑ ক খ গ ঘ A Glossary of the tribes and castes of the Punjab & North-West Frontier Province, H.A.Rose, Ibbeston, Maclagan [১]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৩০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ District Gazetteers: Ibbetson series, 1883-1884
- ↑ http://araincounciluk.com/acuk/wp/?page_id=41
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ Adina Beg
- ↑ Muhammad Zia-ul-Haq
- ↑ Fazl-i-Hussain
- ↑ https://archive.org/stream/panjabcastes00ibbe/panjabcastes00ibbe_djvu.txt
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Horrors of Partition"। http://www.frontlineonnet.com। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
|কর্ম=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "Pak residents still approach MC for birth certificates"। [২]। ১১ আগস্ট ২০০১।
|কর্ম=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "Remembering Partition, One Story at a Time"। ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ গ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ Sharma, Baldev Raj, সম্পাদক (১৯৭৯)। "Punjab Gazetteer: Hoshiarpur"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২।